প্রচারমাধ্যমের অধিকারে হস্তক্ষেপ -সম্পাদক পরিষদের উদ্বেগ আমলে নিন
সম্পাদক
পরিষদ সংবাদপত্র ও প্রচারমাধ্যমের অধিকারে হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে বলে
বিবৃতির মাধ্যমে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। পরিষদের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে,
সরকারের পক্ষ থেকে প্রচারমাধ্যমের অধিকারে হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে। স্বাধীন ও
নিরপেক্ষ সংবাদ সংগ্রহ ও পরিবেশনের ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে। কখনো
কখনো কোনো পত্রিকা বা টেলিভিশনকে অন্যায়ভাবে বিশেষ দল বা গোষ্ঠীর মুখপাত্র
হিসেবে অভিযুক্ত করা হচ্ছে। একটি গণতান্ত্রিক সরকার কখনো সংবাদমাধ্যমের ওপর
এ ধরনের অন্যায় চাপ প্রয়োগ করতে পারে না। গণমাধ্যমের ওপর নানা ছলছুতায় চাপ
প্রয়োগ করে সরকার নিজেকে গণতান্ত্রিক দাবি করতে পারে না।
পরিষদের বিবৃতিতে বলা হয়, জাতীয় সংসদে সম্পাদক ও প্রকাশকদের বিরুদ্ধে বক্তব্য দেয়া হয়েছে, যা তাদের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে হুমকিস্বরূপ। ইতোমধ্যে একাধিক সম্পাদক ও প্রকাশকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে তাদের হয়রানি করা হচ্ছে। ইংরেজি দৈনিক নিউ এজ পত্রিকার অফিসে তল্লাশির নামে পুলিশি হয়রানির ঘটনাও ঘটছে। পরিষদ এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
এর আগেও পত্রিকা ও টিভি চ্যানেল অফিসে পুলিশের অভিযান চালানো হয়েছে। অফিস থেকে সম্পাদককে গ্রেফতারের ঘটনাও ঘটেছে। সাংবাদিক ও সংবাদমাধ্যম নেতাদের পক্ষ থেকে তখন ঐক্যবদ্ধ প্রতিবাদ দেখা যায়নি। অনেকে বরং সরকারের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন। এবার একটি ইংরেজি দৈনিকের বিরুদ্ধে সংসদে প্রধানমন্ত্রী ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেছেন। এখনো সংবাদমাধ্যম জগতের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে পর্যাপ্ত ঐক্যের কোনো সুর নেই। এ দিকে, ডেইলি স্টারের বিরুদ্ধে বিচারবিভাগীয় পদক্ষপ না নেয়ার আহবান জানিয়েছে সাংবাদিকদের অধিকারবিষয়ক আন্তর্জাতিক সংগঠন রিপোর্টার্স উইথআউট বর্ডার।
পরিষদের বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, একাধিক টিভি চ্যানেল মালিককে গ্রেফতার করে ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়েছে। টকশোর অতিথি তালিকা নির্দিষ্ট করে দেয়া হচ্ছে। লাইভ অনুষ্ঠান প্রচার নিয়ে হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে। গণমাধ্যমে কোনো কোনো সাংবাদিককে সরকারি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে এবং দলীয় কার্যক্রমের খবর সংগ্রহের সুযোগ দেয়া হচ্ছে না। পরিষদ মনে করে, প্রচারমাধ্যম ও অন্যান্য পক্ষকে বিরুদ্ধ শক্তি হিসেবে দাঁড় করিয়ে অযথা হয়রানি করা স্বাধীন গণমাধ্যমের সহায়ক হতে পারে না। পরিস্থিতি যখন একটা চরম পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে, তখন সম্পাদক পরিষদ এমন বিবৃতি দিয়েছে। এ ধরনের পরিস্থিতি এক দিনে সৃষ্টি হয়নি। যথাসময়ে সংবাদমাধ্যম কর্মীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে অন্যায়ের প্রতিবাদ করলে তাদের স্বাধীনতা এতটা খর্ব করা সম্ভব হতো না।
স্বাধীনতা, বস্তুনিষ্ঠতা ও নিরপেক্ষতা গণতান্ত্রিক পরিবেশের জন্যই দরকার। পরিষদ এ ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে অধিকতর দায়িত্বশীল ও সহযোগিতামূলক আচরণ প্রত্যাশা করেছে। বিশ্ব গণমাধ্যম স্বাধীনতাসূচকে বাংলাদেশের অবস্থানের অবনতি হয়েছে। সরকার যদি তাদের চাপ প্রয়োগ নীতি অব্যাহত রাখে, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিঃসন্দেহে আরো খর্ব হবে। আমরা আশা করি, সরকার গণতান্ত্রিক পরিবেশের স্বার্থেই সম্পাদক পরিষদের উদ্বেগকে বিশেষ বিবেচনায় নেবে।
পরিষদের বিবৃতিতে বলা হয়, জাতীয় সংসদে সম্পাদক ও প্রকাশকদের বিরুদ্ধে বক্তব্য দেয়া হয়েছে, যা তাদের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে হুমকিস্বরূপ। ইতোমধ্যে একাধিক সম্পাদক ও প্রকাশকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে তাদের হয়রানি করা হচ্ছে। ইংরেজি দৈনিক নিউ এজ পত্রিকার অফিসে তল্লাশির নামে পুলিশি হয়রানির ঘটনাও ঘটছে। পরিষদ এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
এর আগেও পত্রিকা ও টিভি চ্যানেল অফিসে পুলিশের অভিযান চালানো হয়েছে। অফিস থেকে সম্পাদককে গ্রেফতারের ঘটনাও ঘটেছে। সাংবাদিক ও সংবাদমাধ্যম নেতাদের পক্ষ থেকে তখন ঐক্যবদ্ধ প্রতিবাদ দেখা যায়নি। অনেকে বরং সরকারের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন। এবার একটি ইংরেজি দৈনিকের বিরুদ্ধে সংসদে প্রধানমন্ত্রী ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেছেন। এখনো সংবাদমাধ্যম জগতের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে পর্যাপ্ত ঐক্যের কোনো সুর নেই। এ দিকে, ডেইলি স্টারের বিরুদ্ধে বিচারবিভাগীয় পদক্ষপ না নেয়ার আহবান জানিয়েছে সাংবাদিকদের অধিকারবিষয়ক আন্তর্জাতিক সংগঠন রিপোর্টার্স উইথআউট বর্ডার।
পরিষদের বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, একাধিক টিভি চ্যানেল মালিককে গ্রেফতার করে ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়েছে। টকশোর অতিথি তালিকা নির্দিষ্ট করে দেয়া হচ্ছে। লাইভ অনুষ্ঠান প্রচার নিয়ে হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে। গণমাধ্যমে কোনো কোনো সাংবাদিককে সরকারি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে এবং দলীয় কার্যক্রমের খবর সংগ্রহের সুযোগ দেয়া হচ্ছে না। পরিষদ মনে করে, প্রচারমাধ্যম ও অন্যান্য পক্ষকে বিরুদ্ধ শক্তি হিসেবে দাঁড় করিয়ে অযথা হয়রানি করা স্বাধীন গণমাধ্যমের সহায়ক হতে পারে না। পরিস্থিতি যখন একটা চরম পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে, তখন সম্পাদক পরিষদ এমন বিবৃতি দিয়েছে। এ ধরনের পরিস্থিতি এক দিনে সৃষ্টি হয়নি। যথাসময়ে সংবাদমাধ্যম কর্মীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে অন্যায়ের প্রতিবাদ করলে তাদের স্বাধীনতা এতটা খর্ব করা সম্ভব হতো না।
স্বাধীনতা, বস্তুনিষ্ঠতা ও নিরপেক্ষতা গণতান্ত্রিক পরিবেশের জন্যই দরকার। পরিষদ এ ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে অধিকতর দায়িত্বশীল ও সহযোগিতামূলক আচরণ প্রত্যাশা করেছে। বিশ্ব গণমাধ্যম স্বাধীনতাসূচকে বাংলাদেশের অবস্থানের অবনতি হয়েছে। সরকার যদি তাদের চাপ প্রয়োগ নীতি অব্যাহত রাখে, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিঃসন্দেহে আরো খর্ব হবে। আমরা আশা করি, সরকার গণতান্ত্রিক পরিবেশের স্বার্থেই সম্পাদক পরিষদের উদ্বেগকে বিশেষ বিবেচনায় নেবে।
No comments