সড়কের পাশে পাঠদান
(পটুয়াখালীর
গলাচিপার পশ্চিম রতনদী-তালতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন পরিত্যক্ত।
শিক্ষার্থীদের পড়ানো হচ্ছে সড়কের পাশে গাছতলায়। সম্প্রতি তোলা ছবি l
প্রথম আলো) পটুয়াখালীর
গলাচিপা উপজেলার পশ্চিম রতনদী-তালতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন
ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। তাই দেড় মাস ধরে পাঠদান চলছে বিদ্যালয়ের
কাছের গলাচিপা-চরবিশ্বাস সড়কের পাশে ও গাছতলায়। সম্প্রতি এক দুপুরে
সরেজমিনে দেখা গেছে, বিদ্যালয় ভবনের ছাদের পলেস্তারা খসে পড়েছে।
দেয়ালগুলো ভাঙাচোরা। স্তম্ভগুলোর (পিলার) একটিও ভালো অবস্থায় নেই। অনেক
স্তম্ভ ভেঙে ভেতরের রড বেরিয়ে গেছে। এর একটি কক্ষ বিদ্যালয়ের দপ্তর
হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। দুজন শিক্ষক বলেন, কোনো উপায় না দেখে ঝুঁকি নিয়ে
দাপ্তরিক কাজ করছেন তাঁরা।
বিদ্যালয় থেকে কিছু দূরে গলাচিপা-চরবিশ্বাস সড়কের পাশে বেঞ্চ পেতে পাঠদান করানো হচ্ছিল। এ সময় প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির পাঠদান চলছিল। শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিও ভালো ছিল। পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী লিভা আকতার বলে, ‘বাইরে ক্লাস করতে আমাদের কষ্ট হয়। সকালে শীত লাগে, আবার দুপুরে রোদে কষ্ট করতে হয়। একটু বৃষ্টি হলে দৌড়ে চলে যেতে হয় বাড়িতে। কোথাও মাথা গোঁজার সুযোগও থাকে না।’
সহকারী শিক্ষক মো. সামসুল হক গাজী জানান, বিদ্যালয়ের একমাত্র ভবনটির অবস্থা এতই খারাপ যে ভেতরে ঢুকতেই সাহস হয় না। যেকোনো মুহূর্তে এটির ছাদ, দেয়াল ধসে পড়তে পারে। এ কারণে বাধ্য হয়ে তাঁরা শিক্ষার্থীদের পড়ানোর ব্যবস্থা করেছেন বাইরে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. দেলোয়ার হোসেন জানান, পশ্চিম রতনদী-তালতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৯৮৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এ বিদ্যালয়ে এখন দেড় শ ছাত্রছাত্রী পড়াশোনা করছে। আগে এখানে টিনের ঘর ছিল। ১৯৯৩-১৯৯৪ অর্থবছরে স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তর পাঁচ কক্ষবিশিষ্ট একতলা ভবনটির নির্মাণাদেশ দেন। স্থানীয় ঠিকাদার জামাল তালুকদার এ কাজটি করেন। নির্মাণের পর একবারও সংস্কার না করায় ভবনটি নষ্ট হয়ে যায়।
গত ডিসেম্বর মাসে গলাচিপা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ের মৌখিক নির্দেশে ওই ভবনের ভেতরে শিক্ষার্থীদের পাঠদান বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ কারণে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে বিদ্যালয়ের দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মাহতাব উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার দিক বিবেচনা করে জরাজীর্ণ ভবনে পাঠদান না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ওই বিদ্যালয়ের নতুন একটি ভবন নির্মাণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
বিদ্যালয় থেকে কিছু দূরে গলাচিপা-চরবিশ্বাস সড়কের পাশে বেঞ্চ পেতে পাঠদান করানো হচ্ছিল। এ সময় প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির পাঠদান চলছিল। শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিও ভালো ছিল। পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী লিভা আকতার বলে, ‘বাইরে ক্লাস করতে আমাদের কষ্ট হয়। সকালে শীত লাগে, আবার দুপুরে রোদে কষ্ট করতে হয়। একটু বৃষ্টি হলে দৌড়ে চলে যেতে হয় বাড়িতে। কোথাও মাথা গোঁজার সুযোগও থাকে না।’
সহকারী শিক্ষক মো. সামসুল হক গাজী জানান, বিদ্যালয়ের একমাত্র ভবনটির অবস্থা এতই খারাপ যে ভেতরে ঢুকতেই সাহস হয় না। যেকোনো মুহূর্তে এটির ছাদ, দেয়াল ধসে পড়তে পারে। এ কারণে বাধ্য হয়ে তাঁরা শিক্ষার্থীদের পড়ানোর ব্যবস্থা করেছেন বাইরে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. দেলোয়ার হোসেন জানান, পশ্চিম রতনদী-তালতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৯৮৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এ বিদ্যালয়ে এখন দেড় শ ছাত্রছাত্রী পড়াশোনা করছে। আগে এখানে টিনের ঘর ছিল। ১৯৯৩-১৯৯৪ অর্থবছরে স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তর পাঁচ কক্ষবিশিষ্ট একতলা ভবনটির নির্মাণাদেশ দেন। স্থানীয় ঠিকাদার জামাল তালুকদার এ কাজটি করেন। নির্মাণের পর একবারও সংস্কার না করায় ভবনটি নষ্ট হয়ে যায়।
গত ডিসেম্বর মাসে গলাচিপা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ের মৌখিক নির্দেশে ওই ভবনের ভেতরে শিক্ষার্থীদের পাঠদান বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ কারণে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে বিদ্যালয়ের দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মাহতাব উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার দিক বিবেচনা করে জরাজীর্ণ ভবনে পাঠদান না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ওই বিদ্যালয়ের নতুন একটি ভবন নির্মাণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
No comments