সন্ত্রাসীদের নিঃশেষ করতে নির্দেশ চান শামীম ওসমান
খালেদা
জিয়া ও তার ‘সন্ত্রাসীদের’ নিঃশেষ করার জন্য সরকারের ‘শুধু একটি নির্দেশ’
চেয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য শামীম ওসমান। গতকাল
সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে ফ্লোর নিয়ে তিনি বলেন, খালেদা জিয়া আপনি বোমা
মেরে আমাদের ভয় দেখান? আমি শুধু বলবো- নির্দেশ দেন, পুলিশ-র্যাব-বিজিবি’র
দরকার নেই। শুধু একটা নির্দেশ দেন। খালেদা জিয়া ও তার সন্ত্রাসীদের নিঃশেষ
করতে আওয়ামী লীগের লাখ লাখ নেতাকর্মীই যথেষ্ট। শামীম ওসমান বলেন, খালেদা
জিয়া এমন কি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি যে তার সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। তিনি
যেভাবে মানুষকে পুড়িয়ে মারছেন, এখন যদি কেউ খালেদা জিয়াকেও পুড়িয়ে মারে-
তাহলে কি তার বিরুদ্ধে মামলা হবে না? তাহলে খালেদার বিরুদ্ধে কেন মামলা হবে
না। এরশাদ যদি পাঁচ বছর জেলে থাকতে পারেন, খালেদা জিয়া কেন জেলে যাবেন না।
খালেদা জিয়ার উচিত রাজনীতি ছেড়ে নির্বাসনে যাওয়া। তারেক রহমানের মতো
সন্ত্রাসী পুত্র আর যেন কারও না হয়। তিনি বলেন, একজন আইনজীবী কথায় কথায়
জ্ঞান দেন, তার মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন এক ইহুদির কাছে, তিনি জামায়াত-শিবিরের
পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের এক শিক্ষক
টকশোতে সরকারের সমালোচনা করেন, তিনি অনেকগুলো বিয়ে করেছেন। এর আগে ফ্লোর
নিয়ে বাংলাদেশ ন্যাশনালিসন্ট ফ্রন্ট বিএনএফ চেয়ারম্যান ও ঢাকা-১৭ আসনের
এমপি এসএম আবুল কালাম আজাদ বলেন, আজ (বুধবার) বনানীতে গ্রেনেড বানানোর
সরঞ্জামসহ কয়েক শিবিরকর্মী ধরা পড়েছে। বনানীতে যখন তারা ঢুকে পড়েছে তাহলে
বারিধারা ও গুলশানও এর বাইরে নয়। গুলশান, বনানী ও বারিধারা কূটনৈতিক জোন।
অথচ এখানে কয়েকটি দলের রাজনৈতিক কার্যালয় রয়েছে। এ এলাকার নিরাপত্তার
স্বার্থে ওই সব এলাকা থেকে রাজনৈতিক কার্যালয় প্রত্যাহার করে নেয়া হোক।
তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়া গুলশানে যে অফিসে অবস্থান করছেন সেখানে
সন্ত্রাসীরা লুকিয়ে থাকতে পারে। সেখানে অবিলম্বে অপারেশন সার্চ লাইট চালানো
হোক। ঝিনাইদহ-২ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য তাহজীব আলম সিদ্দিকী বলেন,
আন্দোলনের নামে যারা পেট্রলবোমা মেরে মানুষ পুড়িয়ে মারছে তাদের ধিক্কার
জানাই। তাদের অনুরোধ করবো- আপনারা আপনাদের যৌক্তিক দাবি তুলে ধরুন। জনগণকে
জিম্মি করবেন না। সরকারকেও বলবো, আন্দোলন-সংগ্রামের পরিক্রমায় আপনাদের
জন্ম, আপনাদের কাছ থেকে জনগণ সংবেদনশীলতা আশা করে। কোন অজুহাত, বক্তব্য বা
প্রেস ব্রিফিং নয়, দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনুন। আরেক স্বতন্ত্র সদস্য
হাজী সেলিম বলেন, হরতাল-অবরোধের কারণে ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যাচ্ছে,
ব্যবসায়ীরা পথে বসছেন। অবিলম্বে নাশকতার বিরুদ্ধে সরকারকে কঠোর ব্যবস্থা
নিতে হবে।
No comments