ক্রসফায়ারে ছাত্রদল নেতা নিহত- আমার স্বামীর অপরাধ কি? -কেন ওরা আমার স্বামীকে হত্যা করলো? কি অপরাধ ছিল আমার স্বামীর? আল্লাহ আমাকে বিধবা করেছে যারা তুমি তাদের বিচার করো। এভাবে চিৎকার করে কাঁদছিলেন ডিবির ক্রসফায়ারে নিহত ছাত্রদল নেতা নূরুজ্জামান জনির স্ত্রী মুনিয়া পারভীন মণীষা। হৃদয়বিদারক দৃশ্য জনির বাড়িতে। স্বজনরাও সান্ত্বনা দেয়ার ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন। গ্রেপ্তারকৃত ছোট ভাইকে দেখতে সোমবার সকালে কেন্দ্রীয় কারাগারে যান ছাত্রদল নেতা নুরুজ্জামান জনি। ফিরে এসে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী মনীষাকে নিয়ে চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার কথা ছিল তার। কিন্তু তার আর ফেরা হয়নি। ফেরা হবে না আর কোন দিন। তার অনাগত সন্তান কোন দিন পিতার মুখ দেখতে পাবে না। মনীষা চিৎকার করে বলছিলেন, সে তো সন্ত্রাসী ছিল না। তবে কেন তাকে হত্যা করা হলো, রাজনীতি করাই কি তার অপরাধ? তাহলে দেশে রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হোক। প্রধানমন্ত্রী কি আমার স্বামীকে ফেরত দিতে পারবেন! আমার সন্তান তো তার পিতাকে কোন দিন দেখতে পাবে না। মনীষা জানান, তার স্বামী রাজনীতি করলেও কোন নাশকতায় জড়িত ছিলেন না। ছাত্রদলের খিলগাঁও থানার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে থাকার কারণেই তাকে ক্রসফায়ারের নামে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। মৃত্যুর পাঁচ দিন আগে জনি তাদের জানিয়েছিলেন, খিলগাঁও থানার বিএনপি-ছাত্রদলের চার-পাঁচজনকে ক্রসফায়ারের নামে হত্যা করা হবে। এরকম একটি তালিকা তৈরি করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তালিকাভুক্তদের যেখানে পাওয়া যাবে সেখানেই গুলি করে হত্যা করবে ডিবি। ওই তালিকায় জনির নাম রয়েছে। জনির মুখে এ কথা শোনার পর উৎকণ্ঠার মধ্যে ছিলেন স্ত্রী মনীষাসহ পরিবারের সদস্যরা। রাজধানীর খিলগাঁওয়ের তিলপাপাড়ার নিজেদের ২০১ নম্বর বাড়ি ছেড়ে তারা বাসা ভাড়া নেন অন্যত্র। তার পরও রাতে ঘরে থাকতেন না জনি। ধানমন্ডিসহ বিভিন্ন এলাকায় স্বজনদের বাড়িতে থাকতেন। এত কিছুর পরও বাঁচতে পারেননি তিনি। মঙ্গলবার রাতে ‘ক্রসফায়ারে’ নিহত হন ছাত্রদলের এই নেতা।-a Bengali Wikipedia or Archive of Bangla Article. একটি বাংলা নিউজ আর্টিকলের আর্কাইভ ও উইকিপিডিয়া Collection by Nejam Kutubi
No comments