ব্রজমোহন কলেজ ছাত্রাবাসের প্রতি আসনে দুজন, তবু সংকট by সাইফুর রহমান
(বরিশালের ব্রজমোহন কলেজের জরাজীর্ণ কবি জীবনানন্দ দাশ ছাত্রাবাস। আসনসংকটের কারণে এই ছাত্রাবাসের একটি আসনে দুজন করে শিক্ষার্থী থাকছেন। একই অবস্থা কলেজের অন্যান্য ছাত্রাবাসেরও। গতকাল বিকেলে তোলা ছবি l প্রথম আলো) বরিশালে
উচ্চতর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের সংখ্যা ৫০ হাজারের ওপর।
এর মধ্যে প্রায় ২৩ হাজার শিক্ষার্থী ব্রজমোহন (বিএম) কলেজে পড়াশোনা
করেন। কিন্তু কলেজের সাতটি ছাত্রাবাসে শিক্ষার্থীর থাকার ব্যবস্থা আছে
মাত্র ১ হাজার ২০০ জনের। শিক্ষার্থীদের একটা অংশ বাড়িতে থেকে পড়াশোনা
করে। আর প্রায় ১২ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে আবাসন সংকটে। তাঁরা নগরের বিভিন্ন
মেস বা আত্মীয়স্বজনের বাসায় থেকে পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছেন। অথচ কলেজের
নিজস্ব সম্পত্তি থাকার পরও আবাসন সংকট সমাধান হচ্ছে না।
কলেজ সূত্র জানায়, ৫৮ একর জমির ওপর নির্মিত ব্রজমোহন কলেজ দক্ষিণাঞ্চলের সবচেয়ে বড় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ২২টি বিষয়ে স্নাতক (সম্মান) ও ১৯টি বিষয়ে স্নাতকোত্তর চালু রয়েছে। বর্তমানে প্রায় ২৩ হাজার শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছেন। বরিশালের বাইরে থেকেও বিশেষ করে সাতক্ষীরা, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে অনেক শিক্ষার্থী এসে এখানে পড়াশোনা করেন।
সূত্র জানায়, বিশাল এই শিক্ষার্থীর বেশির ভাগই রয়েছেন আবাসন সংকটে। কলেজের মোট ছাত্রাবাসের সংখ্যা সাতটি। এর মধ্যে কবি জীবনানন্দ দাশ ছাত্রাবাস ও অশ্বিনী কুমার ছাত্রাবাসের দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার নেই। এ কারণে বসবাসের প্রায় অনুপযোগী এ দুটি ছাত্রাবাস। তা ছাড়া ইতিমধ্যে বাতিল করা হয়েছে সুরেন্দ্রনাথ ছাত্রাবাস। ছাত্রীদের জন্য নির্মাণ করা একমাত্র বনমালী গাঙ্গুলী ছাত্রীনিবাসের অবস্থাও শোচনীয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বনমালী গাঙ্গুলী ছাত্রীনিবাসে ৩৫০ জন ছাত্রীর থাকার ব্যবস্থা থাকলেও সেখানে গাদাগাদি করে থাকছেন ৭৫০ জন। আবাসন সংকট ছাড়াও সেখানে বিদ্যুৎ, গোসলখানার সমস্যা প্রকট। দরজা-জানালাও ভাঙা।
কবি জীবনানন্দ দাশ ছাত্রাবাসের ছাত্র উজ্জ্বল ব্যাপারী বলেন, সংস্কার না হওয়ায় ছাত্রাবাসটির অবস্থা জরাজীর্ণ। তার ওপর চারজনের কক্ষে আটজন থাকায় পড়াশোনায় সমস্যা লেগেই আছে।
কলেজ ছাত্র কর্মপরিষদের সহসভাপতি মঈন তুষারের অভিযোগ, কলেজের জায়গার সমস্যা নেই। কিন্তু প্রশাসনিক জটিলতায় ছাত্রাবাস নির্মাণকাজ বন্ধ রয়েছে। ছাত্রাবাসের অভাবে শিক্ষার্থীদের মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে।
বনমালী ছাত্রীনিবাসের তত্ত্বাবধায়ক শাহ সাজেদা বলেন, ছাত্রীনিবাসের ভাঙাচোরা দরজা-জানালা সংস্কার করা হচ্ছে। কিন্তু তার চেয়েও বেশি সমস্যা একটি কক্ষে আটজন শিক্ষার্থীর থাকা। এর ফলে পড়াশোনার পরিবেশ থাকছে না। তিনি জানান, কলেজের উন্নয়নে ২০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। তাঁর দাবি, ছাত্রীদের জন্য দ্রুত একটি ভবন নির্মাণ করা হোক।
শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এস এ কাইউমউদ্দিন জানান, নতুন একটি ছাত্রাবাস নির্মাণের কাজ শুরু হলেও ঠিকাদারের গাফিলতির কারণে তা হচ্ছে না। এবার দরপত্র আহ্বায়ন করা হয়েছে। এর সঙ্গে ছাত্রীদের জন্যও একটি ভবন নির্মাণের বরাদ্দ রয়েছে।
জানতে চাইলে কলেজের অধ্যক্ষ এম ফজলুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ব্রজমোহন কলেজে শিক্ষার্থীদের তুলনায় ছাত্রাবাসের সংখ্যা কম থাকায় আবাসন সমস্যা রয়েছে। দুই বছর আগে একটি ছাত্রাবাস নির্মাণের কাজ শুরু হলেও তা বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে ওই ভবন নির্মাণে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ছাত্রীদেও জন্য পৃথক ভবন নির্মাণ করা হবে। তখন আবাসন সংকট কিছুটা নিরসন হবে বলে তিনি আশা করেন।
কলেজ সূত্র জানায়, ৫৮ একর জমির ওপর নির্মিত ব্রজমোহন কলেজ দক্ষিণাঞ্চলের সবচেয়ে বড় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ২২টি বিষয়ে স্নাতক (সম্মান) ও ১৯টি বিষয়ে স্নাতকোত্তর চালু রয়েছে। বর্তমানে প্রায় ২৩ হাজার শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছেন। বরিশালের বাইরে থেকেও বিশেষ করে সাতক্ষীরা, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে অনেক শিক্ষার্থী এসে এখানে পড়াশোনা করেন।
সূত্র জানায়, বিশাল এই শিক্ষার্থীর বেশির ভাগই রয়েছেন আবাসন সংকটে। কলেজের মোট ছাত্রাবাসের সংখ্যা সাতটি। এর মধ্যে কবি জীবনানন্দ দাশ ছাত্রাবাস ও অশ্বিনী কুমার ছাত্রাবাসের দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার নেই। এ কারণে বসবাসের প্রায় অনুপযোগী এ দুটি ছাত্রাবাস। তা ছাড়া ইতিমধ্যে বাতিল করা হয়েছে সুরেন্দ্রনাথ ছাত্রাবাস। ছাত্রীদের জন্য নির্মাণ করা একমাত্র বনমালী গাঙ্গুলী ছাত্রীনিবাসের অবস্থাও শোচনীয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বনমালী গাঙ্গুলী ছাত্রীনিবাসে ৩৫০ জন ছাত্রীর থাকার ব্যবস্থা থাকলেও সেখানে গাদাগাদি করে থাকছেন ৭৫০ জন। আবাসন সংকট ছাড়াও সেখানে বিদ্যুৎ, গোসলখানার সমস্যা প্রকট। দরজা-জানালাও ভাঙা।
কবি জীবনানন্দ দাশ ছাত্রাবাসের ছাত্র উজ্জ্বল ব্যাপারী বলেন, সংস্কার না হওয়ায় ছাত্রাবাসটির অবস্থা জরাজীর্ণ। তার ওপর চারজনের কক্ষে আটজন থাকায় পড়াশোনায় সমস্যা লেগেই আছে।
কলেজ ছাত্র কর্মপরিষদের সহসভাপতি মঈন তুষারের অভিযোগ, কলেজের জায়গার সমস্যা নেই। কিন্তু প্রশাসনিক জটিলতায় ছাত্রাবাস নির্মাণকাজ বন্ধ রয়েছে। ছাত্রাবাসের অভাবে শিক্ষার্থীদের মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে।
বনমালী ছাত্রীনিবাসের তত্ত্বাবধায়ক শাহ সাজেদা বলেন, ছাত্রীনিবাসের ভাঙাচোরা দরজা-জানালা সংস্কার করা হচ্ছে। কিন্তু তার চেয়েও বেশি সমস্যা একটি কক্ষে আটজন শিক্ষার্থীর থাকা। এর ফলে পড়াশোনার পরিবেশ থাকছে না। তিনি জানান, কলেজের উন্নয়নে ২০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। তাঁর দাবি, ছাত্রীদের জন্য দ্রুত একটি ভবন নির্মাণ করা হোক।
শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এস এ কাইউমউদ্দিন জানান, নতুন একটি ছাত্রাবাস নির্মাণের কাজ শুরু হলেও ঠিকাদারের গাফিলতির কারণে তা হচ্ছে না। এবার দরপত্র আহ্বায়ন করা হয়েছে। এর সঙ্গে ছাত্রীদের জন্যও একটি ভবন নির্মাণের বরাদ্দ রয়েছে।
জানতে চাইলে কলেজের অধ্যক্ষ এম ফজলুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ব্রজমোহন কলেজে শিক্ষার্থীদের তুলনায় ছাত্রাবাসের সংখ্যা কম থাকায় আবাসন সমস্যা রয়েছে। দুই বছর আগে একটি ছাত্রাবাস নির্মাণের কাজ শুরু হলেও তা বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে ওই ভবন নির্মাণে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ছাত্রীদেও জন্য পৃথক ভবন নির্মাণ করা হবে। তখন আবাসন সংকট কিছুটা নিরসন হবে বলে তিনি আশা করেন।
No comments