ঘরেবাইরে নয়া নীতি
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা তার স্টেট অব দ্য ইউনিয়নের বার্ষিক ভাষণে নিজের দেশ আমেরিকা ও বিশ্বব্যবস্থার জন্য নতুন দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক সংকটের সমাপ্তিসহ নিজের সাফল্য তুলে ধরার পাশাপাশি, অভ্যন্তরীণ নানা আইন ও পদ্ধতির সংস্কারের প্রস্তাব করেন তিনি। এই ভাষণে একইসঙ্গে উঠে এসেছে বিশ্বব্যবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান। সন্ত্রাসবাদ দমন, এশিয়ার অর্থনীতি, রাশিয়াকে হুমকি, ইরানের পরমাণু আলোচনা ও কিউবার সম্পর্ক।
১. গরিব-মধ্যবিত্তদের উন্নয়ন
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা তার ভাষণে ‘মধ্যবিত্ত অর্থনীতি’র পরিকল্পনার কথা প্রকাশ করেন। এ সময় তিনি পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কর্মক্ষম পরিবারগুলোর প্রতি আহ্বান জানান। তিনি মনে করেন এর মাধ্যমে গরিব ও মধ্যবিত্ত জীবনমানের উন্নয়ন ঘটবে। ওবামা বলেন, ‘আগামী ১৫ বছর আমরা কাদের চাই তা পছন্দ করার সময় এসেছে।’ তিনি বলেন, ‘মধ্যবিত্ত অর্থনীতি কাজ করছে। কাজের সুযোগ বৃদ্ধি করেছে। রাজনীতি ব্যাঘাত না ঘটালে এটা চলতেই থাকবে।’ প্রেসিডেন্ট জানান, তিনি কর্মক্ষম পরিবারগুলোকে অসুস্থতা ও মাতৃত্বকালীন ছুটি দান এবং সামর্থ্যরে মধ্যে শিশুসেবা সরবরাহের মাধ্যমে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে চান।
২. নারী-পুরুষের সমান মজুরি
নারীকে পুরুষের সমান মজুরি দিতে আইন পাস করতে কংগ্রেসের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ওবামা। তিনি বলেন, ‘এখন ২০১৫। এটাই সময়।’ এ সময় দেশজুড়ে অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও কমিউনিটি কলেজগুলোতে বিনা ফি’তে ভর্তি সুবিধা দেয়ার মাধ্যমে প্রতিযোগিতামূলক অর্থনীতি গড়ে তোলার পরিকল্পনা ব্যক্ত করেন ওবামা। তিনি বলেন, ‘এই পরিকল্পনা নতুন অর্থনীতির জন্য ঋণহীন গ্র্যাজুয়েট তৈরির সুযোগ করে দেবে।’
৩. ধনীরা বেশি করে কর দিন
ওবামা বলেন, ‘যারা ধনী আছেন, তারা বেশি করে কর দিন। এতে মধ্যবিত্তরা একটু স্বস্তি পাবে। গরিবদের ওপর বোঝা কমাতে হবে।’ তিনি ধনীদের আয়ের ওপর করসীমা ২৩ দশমিক ৮ শতাংশ থেকে ২৮ শতাংশে বৃদ্ধি করার প্রস্তাব দিয়েছেন। ৫ হাজার কোটি ডলারের পরিমাণ সম্পদের মালিক অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর নতুন করে কর ধার্যের পরিকল্পনাও প্রকাশ করেছেন তিনি। তবে রিপাবলিকান সংখ্যাগরিষ্ঠ কংগ্রেসে ওবামার পরিকল্পনা পাস হওয়ার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। কংগ্রেসে সংখ্যাগরিষ্ঠ রিপাবলিকানদের অনেক জ্যেষ্ঠ নেতাই ইতিমধ্যে এটাকে ‘শ্রেণী কল্যাণ’ আখ্যা দিয়ে তা পাস না করার ইঙ্গিত দিয়েছেন।
৪. গুয়ান্তানামো বন্ধের প্রতিশ্রুতি
কুখ্যাত গুয়ান্তানামো বে কারাগার বন্ধের প্রক্রিয়া তরান্বিত করার ঘোষণা দেন ওবামা। তিনি বলেন, ‘আমি আমার প্রতিশ্রুতি রাখতে চাই। এখন সময় এসেছে এই অধ্যায় সমাপ্ত করার।’ তিনি আরও বলেন, ন্যায়বিচারের প্রতি আমাদের দায়বদ্ধ থাকা উচিত। যে কারাগারের ওপর বিশ্ববাসীর ওপর নিন্দা, সেখানের প্রতিটি বন্দির পেছনে ৩০ লাখ ডলার ব্যয় করার কোনো মানে হয় না।
৫. কিউবায় নতুন নীতি
কিউবার ওপর থেকে গত অর্ধশতাব্দীর অবরোধ তুলে নেয়ার পথ বের করতে কংগ্রেসের আইনপ্রণেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ওবামা। তিনি বলেন, অবিশ্বাসের যুগ পেছনে ফেলে সম্পর্কের স্বাভাবিক পথে হাঁটতে হবে আমাদের। তিনি বলেন, যে পথ গত ৫০ বছরে কাজে আসেনি, সে পথ নতুন করে নির্মাণ করার সময় এসেছে। তাই কিউবায় গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ বিকাশ ও তার জনগণের সঙ্গে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিন। কংগ্রেসকে এ বছরেই অবরোধ তুলে নেয়া উচিত।
৬. ইরানের ওপর অবরোধ কূটনৈতিক প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করবে
কংগ্রেসকে হুশিয়ার করে ওমাবা বলেন, ইরানের ওপর নতুন কোনো অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ করা হলে তা পরমাণু আলোচনার কূটনৈতিক প্রচেষ্টাকে ব্যাহত করবে। তিনি বলেন, এই সময়ে এসে কংগ্রেসের নতুন অবরোধ পাস করার কোনো মানে নেই। এটা শুধু আমাদের কূটনৈতিক প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করার গ্যারান্টি দেবে। এখন সমঝোতা করার সময় এসেছে।
৭. চীন নয়, যুক্তরাষ্ট্রই ঠিক করবে এশিয়ার বাণিজ্যনীতি
এশিয়ার বাণিজ্যনীতি যুক্তরাষ্ট্রই ঠিক করে দেবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন ওবামা। তিনি বলেন, এশিয়ার বাণিজ্যনীতি কী হবে, তা চীন লিখবে না। এই নিয়ম-নীতি লেখা হবে যুক্তরাষ্ট্রের কলমে। কংগ্রেসকে তিনি বলেন, বাণিজ্য চুক্তি বিষয়ে হোয়াইট হাউসকে স্বাধীনতা দিন। ওবামা জানান, এশিয়া নীতি চীন তৈরি করলে তা আমাদের স্বার্থ ও মার্কিন ব্যবসায়ীদের অনুকূলে হবে না। তিনি বলেন, পৃথিবীতে অনেক দেশ আছে। চীনও রয়েছে। কিন্তু একটা জিনিস মনে রাখতে হবে, যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়া অর্থনৈতিক নেতৃত্ব চলবে না।
১. গরিব-মধ্যবিত্তদের উন্নয়ন
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা তার ভাষণে ‘মধ্যবিত্ত অর্থনীতি’র পরিকল্পনার কথা প্রকাশ করেন। এ সময় তিনি পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কর্মক্ষম পরিবারগুলোর প্রতি আহ্বান জানান। তিনি মনে করেন এর মাধ্যমে গরিব ও মধ্যবিত্ত জীবনমানের উন্নয়ন ঘটবে। ওবামা বলেন, ‘আগামী ১৫ বছর আমরা কাদের চাই তা পছন্দ করার সময় এসেছে।’ তিনি বলেন, ‘মধ্যবিত্ত অর্থনীতি কাজ করছে। কাজের সুযোগ বৃদ্ধি করেছে। রাজনীতি ব্যাঘাত না ঘটালে এটা চলতেই থাকবে।’ প্রেসিডেন্ট জানান, তিনি কর্মক্ষম পরিবারগুলোকে অসুস্থতা ও মাতৃত্বকালীন ছুটি দান এবং সামর্থ্যরে মধ্যে শিশুসেবা সরবরাহের মাধ্যমে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে চান।
২. নারী-পুরুষের সমান মজুরি
নারীকে পুরুষের সমান মজুরি দিতে আইন পাস করতে কংগ্রেসের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ওবামা। তিনি বলেন, ‘এখন ২০১৫। এটাই সময়।’ এ সময় দেশজুড়ে অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও কমিউনিটি কলেজগুলোতে বিনা ফি’তে ভর্তি সুবিধা দেয়ার মাধ্যমে প্রতিযোগিতামূলক অর্থনীতি গড়ে তোলার পরিকল্পনা ব্যক্ত করেন ওবামা। তিনি বলেন, ‘এই পরিকল্পনা নতুন অর্থনীতির জন্য ঋণহীন গ্র্যাজুয়েট তৈরির সুযোগ করে দেবে।’
৩. ধনীরা বেশি করে কর দিন
ওবামা বলেন, ‘যারা ধনী আছেন, তারা বেশি করে কর দিন। এতে মধ্যবিত্তরা একটু স্বস্তি পাবে। গরিবদের ওপর বোঝা কমাতে হবে।’ তিনি ধনীদের আয়ের ওপর করসীমা ২৩ দশমিক ৮ শতাংশ থেকে ২৮ শতাংশে বৃদ্ধি করার প্রস্তাব দিয়েছেন। ৫ হাজার কোটি ডলারের পরিমাণ সম্পদের মালিক অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর নতুন করে কর ধার্যের পরিকল্পনাও প্রকাশ করেছেন তিনি। তবে রিপাবলিকান সংখ্যাগরিষ্ঠ কংগ্রেসে ওবামার পরিকল্পনা পাস হওয়ার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। কংগ্রেসে সংখ্যাগরিষ্ঠ রিপাবলিকানদের অনেক জ্যেষ্ঠ নেতাই ইতিমধ্যে এটাকে ‘শ্রেণী কল্যাণ’ আখ্যা দিয়ে তা পাস না করার ইঙ্গিত দিয়েছেন।
৪. গুয়ান্তানামো বন্ধের প্রতিশ্রুতি
কুখ্যাত গুয়ান্তানামো বে কারাগার বন্ধের প্রক্রিয়া তরান্বিত করার ঘোষণা দেন ওবামা। তিনি বলেন, ‘আমি আমার প্রতিশ্রুতি রাখতে চাই। এখন সময় এসেছে এই অধ্যায় সমাপ্ত করার।’ তিনি আরও বলেন, ন্যায়বিচারের প্রতি আমাদের দায়বদ্ধ থাকা উচিত। যে কারাগারের ওপর বিশ্ববাসীর ওপর নিন্দা, সেখানের প্রতিটি বন্দির পেছনে ৩০ লাখ ডলার ব্যয় করার কোনো মানে হয় না।
৫. কিউবায় নতুন নীতি
কিউবার ওপর থেকে গত অর্ধশতাব্দীর অবরোধ তুলে নেয়ার পথ বের করতে কংগ্রেসের আইনপ্রণেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ওবামা। তিনি বলেন, অবিশ্বাসের যুগ পেছনে ফেলে সম্পর্কের স্বাভাবিক পথে হাঁটতে হবে আমাদের। তিনি বলেন, যে পথ গত ৫০ বছরে কাজে আসেনি, সে পথ নতুন করে নির্মাণ করার সময় এসেছে। তাই কিউবায় গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ বিকাশ ও তার জনগণের সঙ্গে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিন। কংগ্রেসকে এ বছরেই অবরোধ তুলে নেয়া উচিত।
৬. ইরানের ওপর অবরোধ কূটনৈতিক প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করবে
কংগ্রেসকে হুশিয়ার করে ওমাবা বলেন, ইরানের ওপর নতুন কোনো অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ করা হলে তা পরমাণু আলোচনার কূটনৈতিক প্রচেষ্টাকে ব্যাহত করবে। তিনি বলেন, এই সময়ে এসে কংগ্রেসের নতুন অবরোধ পাস করার কোনো মানে নেই। এটা শুধু আমাদের কূটনৈতিক প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করার গ্যারান্টি দেবে। এখন সমঝোতা করার সময় এসেছে।
৭. চীন নয়, যুক্তরাষ্ট্রই ঠিক করবে এশিয়ার বাণিজ্যনীতি
এশিয়ার বাণিজ্যনীতি যুক্তরাষ্ট্রই ঠিক করে দেবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন ওবামা। তিনি বলেন, এশিয়ার বাণিজ্যনীতি কী হবে, তা চীন লিখবে না। এই নিয়ম-নীতি লেখা হবে যুক্তরাষ্ট্রের কলমে। কংগ্রেসকে তিনি বলেন, বাণিজ্য চুক্তি বিষয়ে হোয়াইট হাউসকে স্বাধীনতা দিন। ওবামা জানান, এশিয়া নীতি চীন তৈরি করলে তা আমাদের স্বার্থ ও মার্কিন ব্যবসায়ীদের অনুকূলে হবে না। তিনি বলেন, পৃথিবীতে অনেক দেশ আছে। চীনও রয়েছে। কিন্তু একটা জিনিস মনে রাখতে হবে, যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়া অর্থনৈতিক নেতৃত্ব চলবে না।
No comments