সেচের বিদ্যুতের মূল্য ৬৯.৩২% বাড়ানোর প্রস্তাব
গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম গড়ে ২১.৩১ শতাংশ বৃদ্ধির প্রস্তাব করেছে ওয়েস্টজোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো)। এর মধ্যে কৃষি সেচে ব্যবহৃত বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে ৬৯ দশমিক ৩২ শতাংশ। বর্তমানে সেচের বিদ্যুতের প্রতি ইউনিটের মূল্য হচ্ছে ২.৫১ টাকা। আর তা বৃদ্ধি করে ৪.২৫ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। অস্তিত্ব রক্ষার জন্য এই মূল্য বাড়ানো আবশ্যক বলে প্রস্তাবে উল্লেখ করেছে কোম্পানিটি। গতকাল বিকালে রাজধানীর কাওরানবাজারে অবস্থিত টিসিবি ভবনে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির গণশুনানিতে এ প্রস্তাব উত্থাপন করে কোম্পানিটি। গণশুনানিতে উত্থাপিত প্রস্তাবে বলা হয়, গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম না বাড়িয়ে শুধু পাইকারি পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হলে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ৩শ’ কোটি টাকা লোকসান হবে। ওজোপাডিকোর প্রস্তাবে বলা হয়েছে, প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের ক্রয়মূল্য পড়ছে ৭ দশমিক ৬৯৪৯ টাকা। আর বিক্রি করছে ৭ দশমিক ৬৯২৪ টাকা। ফলে প্রতি ইউনিটে লোকসান হয়েছে দশমিক ০০২৫ টাকা। এতে গত অর্থবছরে প্রায় ৪০ কোটি টাকা লোকসান দিতে হয়েছে বলে জানান ডিজিএম (কমার্শিয়াল) রবীন্দ্রনাথ দত্ত। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলায় বিদ্যুৎ বিতরণের দায়িত্ব পালন করছে ওজোপাডিকো। এর আগে সকালে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রস্তাবের ওপর গণশুনানি করা হয়। গণশুনানিতে হুইলিং চার্জ ১৬.৭৪ শতাংশ বাড়ানোর দাবি জানায় পিজিসিবি। ১৩২ কেভি লাইনে প্রতি ইউনিটের জন্য ৩৮ পয়সা (.৩৮৭৩) এবং ৩৩ কেভিতে প্রায় ৩৯ পয়সা (.৩৮৯৬) করার প্রস্তাব করে কোম্পানিটি। পিজিসিবি বর্তমানে ইউনিট প্রতি হুইলিং চার্জ যথাক্রমে দশমিক ২২৬৮ ও দশমিক ২২৯১ পয়সা হারে আদায় করছে। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, দাম বাড়ানো না হলে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ৮১৮ কোটি টাকা লোকসান হবে। আর তেমনটি হলে সরকার ও দাতা সংস্থার ঋণের টাকা সময়মতো পরিশোধ করা কঠিন হয়ে পড়বে। গণশুনানি গ্রহণ করেন বিইআরসি’র চেয়ারম্যান এআর খান, সদস্য ড. সেলিম মাহমুদ, প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেন, রহমান মুরশেদ ও মাকসুদুল হক।
No comments