মুশফিকুরেরও একই লক্ষ্য
মুশফিকুর রহিম বিশ্বকাপে যাচ্ছেন একজন খেলোয়াড় হিসেবে। দুই অধিনায়ক তত্ত্বে বাংলাদেশের ক্রিকেট প্রবেশ করার পর তিনি এখন শুধু টেস্ট দলের নেতৃত্বে। বিশ্বকাপে তার অধিনায়ক মাশরাফি। দায়িত্ব কর্তন তাকে নির্ভার করলেও করতে পারে। নিজেকে মেলে ধরার অপূর্ব সুযোগ পেলেন মুশফিক। যেখানে কোনো চাপ নেই। স্নায়ুক্ষয়ী টেনশনের থাবা থেকে অনেকটাই মুক্ত তিনি। তাই বলে দল নিয়ে তার ভাবাভাবির দিন শেষ, এমনটা হতে পারে না। দলের একজন সিনিয়র খেলোয়াড় হিসেবে তো বটে, উইকেটের পেছনে দাঁড়ান বলে খেলাটা ধরার সুবিধা তারই সবচেয়ে বেশি। মাশরাফির তাই একজন যোগ্য সহায়তাকারীর ভূমিকা পালন করতে পারেন মুশফিক। তার ওপর অতীত-অভিজ্ঞতাও তাকে খানিকটা এগিয়ে রাখবে। সব মিলিয়ে ২০১৫ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের যে ক’জন বিশ্বস্ত ও নির্ভরযোগ্য সারথি থাকবেন, মুশফিককে অনায়াসে তাদের কাতারে ফেলা যায়। ২০০৭ বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে তার হাফ সেঞ্চুরির ইনিংসের স্মৃতি আজও অক্ষয়। বাংলাদেশের জয়সূচক রান বাউন্ডারির মাধ্যমে এসেছিল তার ব্যাট থেকে। এরপর দেশের মাটিতে ২০১১ বিশ্বকাপেও খেলেছেন সব ম্যাচ। এবার মুশফিকুর রহিম নিজেকে প্রস্ফুটিত করতে চান আরও ভালোভাবে।
মঙ্গলবার অনুশীলন শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘ব্যক্তিগত লক্ষ্য তো সবারই থাকে। আমারও আছে। বিশ্বকাপ একটি বড় মঞ্চ। সবাই চাইবে নিজেকে মেলে ধরতে, আমারও লক্ষ্য আছে। আশা করি আমরা যদি নিজেদের সেরাটা খেলতে পারি, তাহলে আমাদের ব্যাটসম্যানরাও সেরা পাঁচে থাকতে পারবে।’ অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বৈরী কন্ডিশন নিয়ে কথা চালাচালির শেষ নেই। এ নিয়ে অহেতুক দুশ্চিন্তা করতে নারাজ মুশফিকুর রহিম, ‘কন্ডিশন নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। আমার মনে হয় না যে, কোনো সমস্যা হবে। অস্ট্রেলিয়ার কন্ডিশনে হয়তো বাউন্স থাকবে, তবে ওরকম সিমিং উইকেট হবে না। আমাদের যেমন প্রস্তুতি, আশা করি আমরা ভালো খেলব’, মুশফিকুর আÍপ্রত্যয়ী। বিশ্বকাপে দলের লক্ষ্যের কথাও জানালেন তিনি। সতীর্থদের মতো তারও স্বপ্ন কোয়ার্টার ফাইনাল। মুশফিক বলেন, ‘আমরা যদি প্রথম ম্যাচে ভালো শুরু করতে পারি, তাহলে আÍবিশ্বাস বেড়ে যাবে। আমাদের চারটি ম্যাচ জিততে হবে, নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারলে যে কাউকে হারাতেই পারি। চেষ্টা থাকবে কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত যাওয়ার।’ উড়ে যাওয়ার আগে দেশে যে প্রস্তুতি হয়েছে তাও টাইগারদের জন্য বেশ সহায়ক হবে বলে মনে করছেন মুশফিকুর রহিম।
No comments