জনগণের ওপর প্রতিশোধ নিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী -সাবেক ১০১ ছাত্রনেতা
৫ই জানুয়ারির নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রে না যাওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণের ওপর প্রতিশোধ নিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন আশির দশকের ছাত্রদল নেতারা। সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের জবাবে গতকাল সংগঠনটির সমন্বয়ক সরওয়ার আজম খান স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তারা এ অভিযোগ করেন। বিবৃতিতে বলা হয়, খালেদা জিয়ার আহ্বানে জনগণ কেন ভোট কেন্দ্রে গেল না। এ কারণেই শেখ হাসিনা জনগণের ওপর চরম ক্ষুব্ধ। প্রতিহিংসা ও জিঘাংসা চরিতার্থ করার জন্য প্রধানমন্ত্রী জনগণের উপর প্রতিশোধ নিচ্ছেন। গণহত্যায় লিপ্ত রয়েছেন। শেখ হাসিনা মুখে যা-ই বলুক না কেন ভোটার বিহীন সংসদের নেতা হিসেবে তিনি নিজেই লজ্জিত ও অসম্মানিত। এই উপলব্ধি থেকেই তিনি জনগণের উপর প্রতিশোধ গ্রহণ করছেন। বিবৃতিতে বলা হয়, ৫ই জানুয়ারির ইতিহাসের জঘন্যতম প্রহসনের নির্বাচন বর্জন করে খালেদা জিয়া কোন ভুল করেননি। বরং প্রধান বিরোধী দলকে বাইরে রেখে স্বৈরাচার, বিকলাঙ্গ, ল্যাংড়া, খোঁড়াদের নিয়ে ভোটারবিহীন নির্বাচন করে ক্ষমতালিপ্সু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই ভুল করেছেন। এখন তার ভুলের খেসারত জনগণকে দিতে হচ্ছে। তারা বলেন, ৮৬’র নির্বাচন বর্জনের পর এরশাদ-হাসিনা একই ভুলের কথা বলেছিলেন খালেদা জিয়াকে। জনগণের ভালোবাসা নিয়ে ৯১’র অবাধ স্বাধীন ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে খালেদা জিয়া প্রমাণ করেছিলেন ৮৬’র নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল। এবারও তিনি প্রমাণ করতে সক্ষম হবেন ৫ই জানুয়ারির ভোটারবিহীন সাজানো-পাতানো, তামাশা ও প্রহসনের নির্বাচন বর্জন করে তিনি যথার্থই সঠিক সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। আশির দশকের ১০১ ছাত্রনেতা বলেন, দেশ, জনগণ ও গণতন্ত্রের প্রতি ন্যূনতম ভালবাসা ও শ্রদ্ধাবোধ থাকলে মর্যাদাহীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উচিত অবিলম্বে গণহত্যা বন্ধ করা। আলোচনার মাধ্যমে অচলাবস্থার অবসান ঘটানো। অন্যথায় এর সকল প্রকার দায়-দায়িত্ব তাকেই বহন করতে হবে। বিবৃতি প্রদানকারীদের মধ্যে রয়েছেন- তাপস পাঠান, অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন, তকদীর হোসেন জসিম, সরওয়ার আজম খান, সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, আবু তাহের তালুকদার, ফোরকান-ই-আলম, জাহান্দার আলী জাহান, স্বপন চৌধুরী, জেড মর্তুজা তুলা, মনির-উজ-জামান মনির, জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু, রিয়াজ উদ্দিন নসু, মাহবুব আলমগীর আলো, গোলাম রাব্বানী, খন্দকার আহসান হাবীব, মুন্সি ওয়াজিউল হক শরীফ, মোরতাজুল করিম বাদরু প্রমুখ।
No comments