শিবগঞ্জে ‘সাঈদী মঞ্চ’
জামায়াত-শিবিরের
উদ্যোগে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার রসুলপুর ঘোনটোলা গ্রামের পেছনে
আমবাগানের মধ্যে তৈরি হয়েছে ‘সাঈদী মঞ্চ’। এখানে পলিথিন, চাটাই ও খড়ের
তৈরি ছাউনির চালের নিচে বসা ও শোয়ার জন্য বাঁশের মাচা রয়েছে। এমন দুটি ঘর
নিয়েই সাঈদী মঞ্চ।
২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসির রায় ঘোষণার পর ওই মঞ্চ তৈরি করা হয়। এখানে তাঁরা নিয়মিত বৈঠক করেন ও বিভিন্ন সময় এসে আশ্রয়ও নেন।
গত মঙ্গলবার সরেজমিনে দেখা যায়, ওই দুটি ঘরের নিচে তিনটি মাচা। মাচার ওপর বিছানো রয়েছে ধানের খড়। খড়ের ওপর বিছানো সিমেন্টের খালি বস্তা। পাশের একটি বাড়ি থেকে নেওয়া হয়েছে বিদ্যুৎ-সংযোগ। মাচার নিচে দেখা যায়, ভাঙা ইটের স্তূপ ও খালি কয়েকটি প্লাস্টিকের বোতল। একটি ব্যাগে দেখা যায়, বড় বড় পাথরের টুকরো। অন্য দুটি ব্যাগে ছিল কাঠের গুঁড়া। এখানে রান্না করার চুলাও রয়েছে।
এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা জানান, জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা এখানে নিয়মিত বৈঠক করেন। এ ছাড়া হরতাল-অবরোধসহ বিভিন্ন কর্মসূচির আগে ককটেল, ইট-পাথরসহ বিভিন্ন অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাঁরা এখানে জড়ো হন। পরে তাঁরা এখান থেকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালান। এ ছাড়া তাঁরা এখানে রান্না করে খাওয়া-দাওয়াও করেন। এখানে বিভিন্ন মামলার আসামি জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা এসে মাঝেমধ্যে রাতেও থাকেন।
ওই বাসিন্দারা আরও জানান, গত বৃহস্পতিবার যৌথ বাহিনীর অভিযান পরিচালনার সময় জামায়াত-শিবিরের লোকজন আর এখানে জড়ো হয়নি। এ ছাড়া গ্রামের লোকজনও সিদ্ধান্ত নিয়েছে এখানে জড়ো হয়ে তারা যেন আর কোনো কার্যক্রম পরিচালনা করতে না পারে।
জামায়াতের শিবগঞ্জ উপজেলা শাখার নায়েবে আমির মনিরুল ইসলাম সাঈদী মঞ্চের অস্তিত্বের কথা ও এখানে মাঝেমধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা স্বীকার করেন। কিন্তু তিনি এখান থেকে কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা হয় না বলে জানান। তবে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, পুলিশের গ্রেপ্তার এড়াতে জামায়াত-শিবিরের কোনো কোনো কর্মী মাঝেমধ্যে সেখানে গিয়ে বিশ্রাম নেন এবং রাতেও থাকেন।
এ ব্যাপারে শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এম মঈনুল ইসলাম প্রথম আলোকে জানান, এমন কোনো সাঈদী মঞ্চের অস্তিত্বের কথা তাঁদের জানা নেই। এ বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হবে।
২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসির রায় ঘোষণার পর ওই মঞ্চ তৈরি করা হয়। এখানে তাঁরা নিয়মিত বৈঠক করেন ও বিভিন্ন সময় এসে আশ্রয়ও নেন।
গত মঙ্গলবার সরেজমিনে দেখা যায়, ওই দুটি ঘরের নিচে তিনটি মাচা। মাচার ওপর বিছানো রয়েছে ধানের খড়। খড়ের ওপর বিছানো সিমেন্টের খালি বস্তা। পাশের একটি বাড়ি থেকে নেওয়া হয়েছে বিদ্যুৎ-সংযোগ। মাচার নিচে দেখা যায়, ভাঙা ইটের স্তূপ ও খালি কয়েকটি প্লাস্টিকের বোতল। একটি ব্যাগে দেখা যায়, বড় বড় পাথরের টুকরো। অন্য দুটি ব্যাগে ছিল কাঠের গুঁড়া। এখানে রান্না করার চুলাও রয়েছে।
এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা জানান, জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা এখানে নিয়মিত বৈঠক করেন। এ ছাড়া হরতাল-অবরোধসহ বিভিন্ন কর্মসূচির আগে ককটেল, ইট-পাথরসহ বিভিন্ন অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাঁরা এখানে জড়ো হন। পরে তাঁরা এখান থেকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালান। এ ছাড়া তাঁরা এখানে রান্না করে খাওয়া-দাওয়াও করেন। এখানে বিভিন্ন মামলার আসামি জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা এসে মাঝেমধ্যে রাতেও থাকেন।
ওই বাসিন্দারা আরও জানান, গত বৃহস্পতিবার যৌথ বাহিনীর অভিযান পরিচালনার সময় জামায়াত-শিবিরের লোকজন আর এখানে জড়ো হয়নি। এ ছাড়া গ্রামের লোকজনও সিদ্ধান্ত নিয়েছে এখানে জড়ো হয়ে তারা যেন আর কোনো কার্যক্রম পরিচালনা করতে না পারে।
জামায়াতের শিবগঞ্জ উপজেলা শাখার নায়েবে আমির মনিরুল ইসলাম সাঈদী মঞ্চের অস্তিত্বের কথা ও এখানে মাঝেমধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা স্বীকার করেন। কিন্তু তিনি এখান থেকে কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা হয় না বলে জানান। তবে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, পুলিশের গ্রেপ্তার এড়াতে জামায়াত-শিবিরের কোনো কোনো কর্মী মাঝেমধ্যে সেখানে গিয়ে বিশ্রাম নেন এবং রাতেও থাকেন।
এ ব্যাপারে শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এম মঈনুল ইসলাম প্রথম আলোকে জানান, এমন কোনো সাঈদী মঞ্চের অস্তিত্বের কথা তাঁদের জানা নেই। এ বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হবে।
No comments