খালেদাকে হুকুমের আসামি করা যুক্তিযুক্ত
প্রধানমন্ত্রী
ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা অভিযোগ করেছেন, ঘর-বাড়ি ছেড়ে দলীয় কার্যালয়ে বসে
বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া অবরোধ-হরতালের নামে মানুষ হত্যার হুকুম দিচ্ছেন।
তার হুকুমেই মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করা হচ্ছে। মানুষ হত্যার ‘হুকুমের
আসামি’ হিসেবে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণই যুক্তিযুক্ত।
আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিষয়টি
যাচাই-বাছাই করে তারাই ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। সরকারের উন্নয়নে ভীত হয়েই
বিএনপি-জামায়াত জোট নাশকতা ও দেশে অরাজকতা করার চেষ্টা করছে। স্পিকার ড.
শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে গতকাল সংসদে প্রধানমন্ত্রীর জন্য
নির্ধারিত প্রশ্নোত্তরপর্বে সরকারদলীয় সংসদ সদস্য ক্যাপ্টেন (অব.) তাজুল
ইসলামের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে সংসদ নেতা এসব কথা বলেন। এসময়
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সন্ত্রাসীদেরকে যেখানেই পারেন ধরে পুলিশে সোপর্দ করুন।
আপনারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নাশকতার পূর্ব তথ্য সরবরাহ করে
জানমালের নিরাপত্তা বিধানে সহায়তা করুন। সরকার জনগণের জানমালের নিরাপত্তায়
সর্বদা তৎপর রয়েছে। তিনি বলেন, ২০১৩ সালের ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনের আগেও
নির্বাচন বানচালের নামে শত শত মানুষকে হত্যা করেছেন বিএনপি নেত্রী খালেদা
জিয়া। নৃশংসভাবে মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছেন তিনি। তবে নির্বাচনের পর
পরিস্থিতির উন্নতি হয়। দেশকে আমরা সবদিক থেকে এগিয়ে নিচ্ছি,
জাতীয়-আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে। উন্নয়নের
রোল মডেল হিসেবে সারাবিশ্বে বাংলাদেশ এখন পরিচিত হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে, দেশের মানুষ যখন একটু শান্তির মুখ দেখছে, উন্নয়নের ছোঁয়া পাচ্ছে, দু’বেলা খেয়ে-পরে স্বস্তিতে রয়েছে, ঠিক তখনই হঠাৎ করে কোন ইস্যু ছাড়াই খালেদা জিয়া মানুষ হত্যা শুরু করেছেন। ২০১৩ সালের মতো পুনরায় মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা শুরু করেছেন। ইসলাম ধর্মেও মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা সমর্থন করে না। অথচ উনি হুকুম দিয়ে মানুষ খুন করাচ্ছেন। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, খালেদা জিয়া কেন মানুষ হত্যায় নেমেছেন? কেন নিরীহ খেটে-খাওয়া মানুষের ওপর আক্রমণ চালাচ্ছেন, প্রাণ কেড়ে নিচ্ছেন- তা বোধগম্য নয়। আহত-নিহতদের পুনর্বাসনে সরকার থেকে সহযোগিতা করা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এসএসসি পরীক্ষার্থী অনিকের মুখে বোমা মেরে তার এক চোখ সম্পূর্ণ নষ্ট করে দেয়া হয়েছে, অন্য চোখও নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তার কী অপরাধ ছিল? অনিককে আমরা মাদ্রাজে শঙ্কর নেত্রালয়ে পাঠিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করছি। বিএনপি-জামায়াতের হামলায় আহতদের চিকিৎসাসহ নানা সহযোগিতা করা হচ্ছে। মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর মূল প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারের উন্নয়ন কর্মকা-ে ভীত হয়ে বিএনপি-জামায়াত জোট নাশকতামূলক কাজ এবং অরাজকতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। সাধারণ মানুষের কোন সমর্থন না পেয়ে তারা আরও নাশকতামূলক কাজে জড়িয়ে পড়ছে। তারা বিবেকবর্জিতভাবে যাত্রীবাহী বাসে পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করছে, কোথাও যাত্রীবাহী গাড়িতে গান পাউডার ছিটিয়ে আগুন ধরিয়ে দিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বিএনপি-জামায়াত আগুন দিয়ে নারী, শিশুসহ নিরীহ মানুষকে নির্মমভাবে পুড়িয়ে হত্যা করছে। সমপ্রতি একজন গর্ভবতী মহিলা তাদের নাশকতার শিকার হয়েছেন, তার শরীরের অধিকাংশ জায়গা পুড়ে গেছে এবং গর্ভের শিশুটি মারা গেছে। তাদের এমন পৈশাচিক হত্যাকা- ১৯৭১ সালের পাক সেনাবাহিনীর নৃশংসতাকেও হার মানিয়েছে। আমার প্রশ্ন- এটা কোন রাজনীতি? এরকম কাজে যারা লিপ্ত তারা কী মানুষ? তিনি বলেন, জনগণের জানমাল রক্ষার পবিত্র দায়িত্ব সরকারের। এ জন্য পুলিশ, বিজিবি, আনসার বাহিনী নিয়োগ করে সন্ত্রাস ও নাশকতা দমনের চেষ্টা চলছে।
তিনি জানান, পুলিশ-বিজিবি’র বিশেষ পাহারায় বাস ও ট্রাক চালানো, রেললাইন পাহারা দেয়ার জন্য আনসার নিয়োগসহ নাশকতা মোকাবিলায় সর্বাত্মক চেষ্টা করছে সরকার। তা সত্ত্বেও বিএনপি-জামায়াত চোরাগোপ্তা নাশকতা চালানোর চেষ্টা করছে। দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজন প্রশিক্ষিত পুলিশ বাহিনী। এ বাহিনীকে অধিকতর কার্যকর করার লক্ষ্যে সরকার বহুবিধ পদক্ষেপ নিয়েছে। কার্যকরভাবে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ দমনের উদ্দেশ্যে পুলিশের একটি বিশেষায়িত ইউনিট, সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেন্টার প্রতিষ্ঠা, রংপুর ও গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ ইউনিট গঠন এবং এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের জনবল বৃদ্ধির উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী জানান, সকল প্রকার অপরাধী তথা- জঙ্গি, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, ওয়ারেন্টভুক্ত ও সাজাপ্রাপ্ত আসামিসহ নিয়মিত মামলার আসামি গ্রেপ্তার, অবৈধ অস্ত্র ও বিস্ফোরক এবং মাদকদ্রব্যসহ সকল ধরনের অবৈধ মালামাল বা দ্রব্য উদ্ধারকল্পে অব্যাহতভাবে পুলিশের অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ এবং জনগণের জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা বিধানকল্পে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থাসমূহ গোয়েন্দা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। জঙ্গিবাদসহ নিত্য নতুন অপরাধ দমনে বিজ্ঞানভিত্তিক এবং প্রযুক্তিগত তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হচ্ছে। সরকারি দলের সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি’র প্রশ্নোত্তরে প্রধানমন্ত্রী জানান, বিএনপি-জামায়াত জোট ২০১৩ সালে সহিংস তা-ব চালিয়ে নৃশংসভাবে বহু মানুষ হত্যা করেছে, পুলিশ মেরেছে এবং জানমালের ব্যাপক ক্ষতি করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় সে সময় সাতক্ষীরাড় জেলাতেও জামায়াত-শিবির ও বিএনপি’র তা-বে রাজনৈতিক সহিংসতায় ১৬ জন আওয়ামী লীগ নেতা নিহত হয়েছে এবং ৫৫ জন আহত হয়েছে। আহতদের সরকারিভাবে চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। নিহতদের স্বজনদের ও আহতদের মধ্যে ৮৩ জনকে সরকারিভাবে আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে, দেশের মানুষ যখন একটু শান্তির মুখ দেখছে, উন্নয়নের ছোঁয়া পাচ্ছে, দু’বেলা খেয়ে-পরে স্বস্তিতে রয়েছে, ঠিক তখনই হঠাৎ করে কোন ইস্যু ছাড়াই খালেদা জিয়া মানুষ হত্যা শুরু করেছেন। ২০১৩ সালের মতো পুনরায় মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা শুরু করেছেন। ইসলাম ধর্মেও মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা সমর্থন করে না। অথচ উনি হুকুম দিয়ে মানুষ খুন করাচ্ছেন। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, খালেদা জিয়া কেন মানুষ হত্যায় নেমেছেন? কেন নিরীহ খেটে-খাওয়া মানুষের ওপর আক্রমণ চালাচ্ছেন, প্রাণ কেড়ে নিচ্ছেন- তা বোধগম্য নয়। আহত-নিহতদের পুনর্বাসনে সরকার থেকে সহযোগিতা করা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এসএসসি পরীক্ষার্থী অনিকের মুখে বোমা মেরে তার এক চোখ সম্পূর্ণ নষ্ট করে দেয়া হয়েছে, অন্য চোখও নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তার কী অপরাধ ছিল? অনিককে আমরা মাদ্রাজে শঙ্কর নেত্রালয়ে পাঠিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করছি। বিএনপি-জামায়াতের হামলায় আহতদের চিকিৎসাসহ নানা সহযোগিতা করা হচ্ছে। মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর মূল প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারের উন্নয়ন কর্মকা-ে ভীত হয়ে বিএনপি-জামায়াত জোট নাশকতামূলক কাজ এবং অরাজকতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। সাধারণ মানুষের কোন সমর্থন না পেয়ে তারা আরও নাশকতামূলক কাজে জড়িয়ে পড়ছে। তারা বিবেকবর্জিতভাবে যাত্রীবাহী বাসে পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করছে, কোথাও যাত্রীবাহী গাড়িতে গান পাউডার ছিটিয়ে আগুন ধরিয়ে দিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বিএনপি-জামায়াত আগুন দিয়ে নারী, শিশুসহ নিরীহ মানুষকে নির্মমভাবে পুড়িয়ে হত্যা করছে। সমপ্রতি একজন গর্ভবতী মহিলা তাদের নাশকতার শিকার হয়েছেন, তার শরীরের অধিকাংশ জায়গা পুড়ে গেছে এবং গর্ভের শিশুটি মারা গেছে। তাদের এমন পৈশাচিক হত্যাকা- ১৯৭১ সালের পাক সেনাবাহিনীর নৃশংসতাকেও হার মানিয়েছে। আমার প্রশ্ন- এটা কোন রাজনীতি? এরকম কাজে যারা লিপ্ত তারা কী মানুষ? তিনি বলেন, জনগণের জানমাল রক্ষার পবিত্র দায়িত্ব সরকারের। এ জন্য পুলিশ, বিজিবি, আনসার বাহিনী নিয়োগ করে সন্ত্রাস ও নাশকতা দমনের চেষ্টা চলছে।
তিনি জানান, পুলিশ-বিজিবি’র বিশেষ পাহারায় বাস ও ট্রাক চালানো, রেললাইন পাহারা দেয়ার জন্য আনসার নিয়োগসহ নাশকতা মোকাবিলায় সর্বাত্মক চেষ্টা করছে সরকার। তা সত্ত্বেও বিএনপি-জামায়াত চোরাগোপ্তা নাশকতা চালানোর চেষ্টা করছে। দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজন প্রশিক্ষিত পুলিশ বাহিনী। এ বাহিনীকে অধিকতর কার্যকর করার লক্ষ্যে সরকার বহুবিধ পদক্ষেপ নিয়েছে। কার্যকরভাবে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ দমনের উদ্দেশ্যে পুলিশের একটি বিশেষায়িত ইউনিট, সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেন্টার প্রতিষ্ঠা, রংপুর ও গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ ইউনিট গঠন এবং এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের জনবল বৃদ্ধির উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী জানান, সকল প্রকার অপরাধী তথা- জঙ্গি, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, ওয়ারেন্টভুক্ত ও সাজাপ্রাপ্ত আসামিসহ নিয়মিত মামলার আসামি গ্রেপ্তার, অবৈধ অস্ত্র ও বিস্ফোরক এবং মাদকদ্রব্যসহ সকল ধরনের অবৈধ মালামাল বা দ্রব্য উদ্ধারকল্পে অব্যাহতভাবে পুলিশের অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ এবং জনগণের জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা বিধানকল্পে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থাসমূহ গোয়েন্দা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। জঙ্গিবাদসহ নিত্য নতুন অপরাধ দমনে বিজ্ঞানভিত্তিক এবং প্রযুক্তিগত তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হচ্ছে। সরকারি দলের সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি’র প্রশ্নোত্তরে প্রধানমন্ত্রী জানান, বিএনপি-জামায়াত জোট ২০১৩ সালে সহিংস তা-ব চালিয়ে নৃশংসভাবে বহু মানুষ হত্যা করেছে, পুলিশ মেরেছে এবং জানমালের ব্যাপক ক্ষতি করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় সে সময় সাতক্ষীরাড় জেলাতেও জামায়াত-শিবির ও বিএনপি’র তা-বে রাজনৈতিক সহিংসতায় ১৬ জন আওয়ামী লীগ নেতা নিহত হয়েছে এবং ৫৫ জন আহত হয়েছে। আহতদের সরকারিভাবে চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। নিহতদের স্বজনদের ও আহতদের মধ্যে ৮৩ জনকে সরকারিভাবে আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়েছে।
No comments