লালবাগে বাসায় বিস্ফোরণ- হাত উড়ে গেছে ছাত্রদল নেতার
(রাজধানীর
লালবাগের একটি বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণে ঝলসে যাওয়া শিশু লিপন (ডানে কোলে) ও
হ্যাপিকে (সামনে ডানে) হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছেন স্বজনেরা l প্রথম আলো) পুরান
ঢাকার লালবাগের একটি বাসায় গতকাল বুধবার বিস্ফোরণে মাহবুবুর রহমান ওরফে
বাপ্পী (২৫) নামে এক যুবকের ডান হাত কনুই পর্যন্ত বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
তিনি নিউমার্কেট থানা ছাত্রদলের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
বিস্ফোরণে তাঁর ভাগনি হ্যাপি আক্তার (১২) ও ভাগনে লিপন (৬) জখম হয়েছে। আহত
এই তিনজনকে পুলিশের পাহারায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে
ভর্তি করা হয়েছে। বিস্ফোরণে বাপ্পীর ডান চোখ ক্ষতিগ্রস্ত ও বাঁ হাত ঝলসে
গেছে। হ্যাপির মুখমণ্ডল, হাত এবং লিপনের চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং
মুখমণ্ডল, হাত ও পা ঝলসে গেছে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, বাপ্পীর ১৭ শতাংশ,
হ্যাপির ১৯ ও লিপনের শরীর ১০ শতাংশ পুড়ে গেছে।
পুলিশের লালবাগ বিভাগের উপকমিশনার মফিজউদ্দিন আহাম্মেদ বলেন, বোমা বানানোর সময় বিস্ফোরণে বাপ্পীর ডান হাত উড়ে গেছে। তিনি কাঁটাবনের ‘বোমা বাপ্পী’ হিসেবে পরিচিত। এ ঘটনায় আহত তিনজন, বাপ্পীর বোন, ভগ্নিপতিসহ ১০ জনকে আটক করা হয়েছে।
পুলিশের দাবি, বাপ্পী নিউমার্কেট থানা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক। তবে ছাত্রদল সূত্র জানিয়েছে, তিনি নিউমার্কেট থানা শাখার বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম সম্পাদক। বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বাপ্পীর বোন ঝুমুর আক্তার প্রথম আলোকে বলেন, বোমার বিস্ফোরণে নয়, কক্ষ গরম করার বড় লাইট বিস্ফোরণে তাঁর মেয়ে হ্যাপি, ভাই বাপ্পী, বোনের ছেলে লিপন আহত হয়। তিনি একটু দূরে থাকায় কিছু হয়নি।
বাপ্পী ঝুমুরদের সঙ্গে লালবাগের ঢাকেশ্বরী সড়কের ২৯/২ নম্বর পাঁচতলা বাড়ির দোতলায় থাকেন। তাঁর ভগ্নিপতি আবদুল হাকিম। লিপন থাকে মা-বাবার সঙ্গে কাঁটাবনে, খালার বাসায় বেড়াতে এসেছিল। বাপ্পীদের বাসার পাশের ফ্ল্যাটেই থাকেন বাড়ির মালিক আবুল কাশেম।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে কাশেমের স্ত্রী সুফিয়া বেগম প্রথম আলোকে বলেন, এক মাস আগে বাপ্পী নিজেকে টাইলসের দোকানের কর্মচারী ও ভগ্নিপতি হাকিমকে গাড়িচালক পরিচয় দিয়ে দুই কক্ষের বাসা ভাড়া নেন। গতকাল বেলা তিনটার দিকে ওই বাসায় বিস্ফোরণের বিকট শব্দে বাড়িটি কেঁপে ওঠে। বিদ্যুৎও চলে যায়। ওই বাসা থেকে ‘বাঁচাও’, ‘বাঁচাও’ চিৎকার শোনা যায়। প্রথমে তিনি ভেবেছিলেন বাড়ি ধসে পড়েছে। বিদ্যুৎ এলে দেখেন পাশের বাসার স্টিলের দরজা খোলা। পুরো দোতলা ধোঁয়াচ্ছন্ন। আগুনও জ্বলছিল। তাঁরা চিৎকার করে আশপাশের লোকজনকে ডেকে এনে পানি ছিটিয়ে আগুন নেভান। পরে আহতদের হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) বোমা উদ্ধার ও নিষ্ক্রিয়করণ দল এবং পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) অপরাধ শনাক্তকরণ দল।
ডিবির পরিদর্শক সফিউল্লাহ শেখ বলেন, হাতবোমা তৈরির সময় বিস্ফোরণ ঘটেছে। সেখানে বিস্ফোরকের আলামত পাওয়া গেছে। বিস্ফোরণের পর কক্ষে আগুন ধরে যাওয়ায় পানি ছিটিয়ে নেভানোর কারণে পোড়া বিস্ফোরক ছড়িয়ে-ছিটিয়ে গেছে। বিকেলে ওই বাসায় গিয়ে দেখা যায়, সামনের কক্ষে থাকা চৌকিটি ভেঙে খণ্ড খণ্ড হয়ে আছে। লেপ-তোশক, পোড়া কাপড়-চোপড় ও মালপত্র ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশের লালবাগ বিভাগের উপকমিশনার মফিজউদ্দিন বলেন, বিস্ফোরণস্থল দেখে মনে হচ্ছে চৌকির ওপর বোমা তৈরির সময় বিস্ফোরণ ঘটে। বাপ্পী কাঁটাবনের বোমা বাপ্পী হিসেবে পরিচিত। তিনি বিএনপির মিছিল-মিটিংয়ে যান। তিনি বোমা বানান এবং সরবরাহ করেন। বিস্ফোরণস্থল থেকে বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে। এর সঙ্গে জড়িত সবাইকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা হবে। মফিজউদ্দিন বলেন, ওই বোমা বিস্ফোরণের সঙ্গে যোগসূত্র পাওয়ায় পুলিশ ১০ জনকে আটক করেছে। তাঁদের মধ্যে আছেন বোমা বাপ্পীসহ আহত তিনজন, বাড়িওয়ালা আবুল কাশেম, বাপ্পীর বোন ঝুমুর ও তাঁর স্বামীসহ অন্যরা।
পুলিশের লালবাগ বিভাগের উপকমিশনার মফিজউদ্দিন আহাম্মেদ বলেন, বোমা বানানোর সময় বিস্ফোরণে বাপ্পীর ডান হাত উড়ে গেছে। তিনি কাঁটাবনের ‘বোমা বাপ্পী’ হিসেবে পরিচিত। এ ঘটনায় আহত তিনজন, বাপ্পীর বোন, ভগ্নিপতিসহ ১০ জনকে আটক করা হয়েছে।
পুলিশের দাবি, বাপ্পী নিউমার্কেট থানা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক। তবে ছাত্রদল সূত্র জানিয়েছে, তিনি নিউমার্কেট থানা শাখার বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম সম্পাদক। বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বাপ্পীর বোন ঝুমুর আক্তার প্রথম আলোকে বলেন, বোমার বিস্ফোরণে নয়, কক্ষ গরম করার বড় লাইট বিস্ফোরণে তাঁর মেয়ে হ্যাপি, ভাই বাপ্পী, বোনের ছেলে লিপন আহত হয়। তিনি একটু দূরে থাকায় কিছু হয়নি।
বাপ্পী ঝুমুরদের সঙ্গে লালবাগের ঢাকেশ্বরী সড়কের ২৯/২ নম্বর পাঁচতলা বাড়ির দোতলায় থাকেন। তাঁর ভগ্নিপতি আবদুল হাকিম। লিপন থাকে মা-বাবার সঙ্গে কাঁটাবনে, খালার বাসায় বেড়াতে এসেছিল। বাপ্পীদের বাসার পাশের ফ্ল্যাটেই থাকেন বাড়ির মালিক আবুল কাশেম।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে কাশেমের স্ত্রী সুফিয়া বেগম প্রথম আলোকে বলেন, এক মাস আগে বাপ্পী নিজেকে টাইলসের দোকানের কর্মচারী ও ভগ্নিপতি হাকিমকে গাড়িচালক পরিচয় দিয়ে দুই কক্ষের বাসা ভাড়া নেন। গতকাল বেলা তিনটার দিকে ওই বাসায় বিস্ফোরণের বিকট শব্দে বাড়িটি কেঁপে ওঠে। বিদ্যুৎও চলে যায়। ওই বাসা থেকে ‘বাঁচাও’, ‘বাঁচাও’ চিৎকার শোনা যায়। প্রথমে তিনি ভেবেছিলেন বাড়ি ধসে পড়েছে। বিদ্যুৎ এলে দেখেন পাশের বাসার স্টিলের দরজা খোলা। পুরো দোতলা ধোঁয়াচ্ছন্ন। আগুনও জ্বলছিল। তাঁরা চিৎকার করে আশপাশের লোকজনকে ডেকে এনে পানি ছিটিয়ে আগুন নেভান। পরে আহতদের হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) বোমা উদ্ধার ও নিষ্ক্রিয়করণ দল এবং পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) অপরাধ শনাক্তকরণ দল।
ডিবির পরিদর্শক সফিউল্লাহ শেখ বলেন, হাতবোমা তৈরির সময় বিস্ফোরণ ঘটেছে। সেখানে বিস্ফোরকের আলামত পাওয়া গেছে। বিস্ফোরণের পর কক্ষে আগুন ধরে যাওয়ায় পানি ছিটিয়ে নেভানোর কারণে পোড়া বিস্ফোরক ছড়িয়ে-ছিটিয়ে গেছে। বিকেলে ওই বাসায় গিয়ে দেখা যায়, সামনের কক্ষে থাকা চৌকিটি ভেঙে খণ্ড খণ্ড হয়ে আছে। লেপ-তোশক, পোড়া কাপড়-চোপড় ও মালপত্র ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশের লালবাগ বিভাগের উপকমিশনার মফিজউদ্দিন বলেন, বিস্ফোরণস্থল দেখে মনে হচ্ছে চৌকির ওপর বোমা তৈরির সময় বিস্ফোরণ ঘটে। বাপ্পী কাঁটাবনের বোমা বাপ্পী হিসেবে পরিচিত। তিনি বিএনপির মিছিল-মিটিংয়ে যান। তিনি বোমা বানান এবং সরবরাহ করেন। বিস্ফোরণস্থল থেকে বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে। এর সঙ্গে জড়িত সবাইকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা হবে। মফিজউদ্দিন বলেন, ওই বোমা বিস্ফোরণের সঙ্গে যোগসূত্র পাওয়ায় পুলিশ ১০ জনকে আটক করেছে। তাঁদের মধ্যে আছেন বোমা বাপ্পীসহ আহত তিনজন, বাড়িওয়ালা আবুল কাশেম, বাপ্পীর বোন ঝুমুর ও তাঁর স্বামীসহ অন্যরা।
No comments