মনের সুস্থতায় সংগীত ও শিল্প
(ভেনেজুয়েলার কারাকাসে গান শুনিয়ে রোগীদের মিউজিক থেরাপি দেওয়া হচ্ছে। ছবিটি কারাকাসের জেএম দে লস রিওস পেডিয়াট্রিক হাসপাতালের অনকোলজি বিভাগ থেকে তোলা। ছবি: এএফপি) গান
মানুষের মন চাঙা করে। শিল্প ছড়িয়ে দেয় ভালো লাগার অনুভূতি। এই দুটি
জিনিসকেই থেরাপি হিসেবে কাজে লাগাচ্ছেন পাকিস্তানের ক্যানসার বিশেষজ্ঞরা।
তাঁরা বলছেন, সংগীত ও শিল্প ছোট-বড় সব বয়সী মানুষের আত্মপ্রকাশের মহা
অবলম্বন। এর প্রভাবে শিশুরা স্বাভাবিকভাবে সৃজনশীলতার দিকে ধাবিত হয়।
ক্যানসারের গবেষণা ও চিকিৎসার জন্য করাচির ইন্দুস হাসপাতালের এমনিতেই বেশ
সুনাম রয়েছে। পাকিস্তানে তারাই প্রথম ক্যানসার রোগীদের মানসিক সমর্থন দিতে
ও মনোবল চাঙা করতে সংগীত আর শিল্পকে কাজে লাগানোর উদ্যোগ নিয়েছে। গানের
প্রতি মানুষের টান চিরন্তন। পপ, র্যাপসহ পশ্চিমা সংগীত কিংবা ধ্রুপদি গান
বা ধর্মীয় সংগীত—যা-ই হোক না কেন, আকর্ষণ থেকেই মানুষ নিয়মিত গান শোনে।
কখনো তা হতে পারে স্রেফ বিনোদন, কখনোবা তা হতে পারে মনের ক্লান্তি দূর করার
দাওয়াই। শারীরিক সুস্থতায় মানসিক প্রশান্তির জন্য কত কিছুই না করে
মানুষ। কত অর্থই না খরচ করে। অথচ ভালো লাগার কিছু গান মানুষকে দিতে পারে
সেই টনিক। শুধু তা-ই নয়, ক্যানসার রোগীদের জন্য এখন সংগীত ও শিল্পকলা
থেরাপি অপরিহার্য। এমনটাই বলছেন করাচির ইন্দুস হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক
সাইকো সোশ্যাল অনকোলজি বিভাগের প্রধান ইরাম গাজী।
ইরাম গাজী বলেন, ‘ক্যানসারে আক্রান্ত শিশু বা বয়স্ক ব্যক্তিদের গান শুনিয়ে ও সৃজনশীল কোনো কিছু দেখিয়ে তাঁদের যন্ত্রণা, স্নায়ুরোগ বা নিরাময় অযোগ্য কোনো সমস্যা থেকে কিছুটা মুক্তি দিতে সহায়তা করতে পারি।’
তিনি ওষুধের বিকল্প পদ্ধতির ওপর ডিপ্লোমা সম্পন্ন করেছেন। এটাই তাঁর এখন প্রধান কাজের ক্ষেত্র। বর্তমানে তিনি ক্যানসার রোগীদের পুনর্বাসন কেন্দ্রে কাজ করছেন।
ইরাম গাজী বলেন, ‘আমি দেখেছি কঠিন রোগের কারণে মানসিকভাবে ভেঙে পড়া রোগীদের গান শোনালে বা অন্য কোনো সৃজনশীল কিছু দেখালে সত্যি সত্যিই তাঁদের ভেতরে আত্মবিশ্বাসটা বহু গুণ বেড়ে যায়। ’
শিশুদের নিয়ে সাধারণ কিছু ভুল ধারণাও ভেঙে দিয়েছেন ইরাম গাজী। তিনি বলেন, অনেকের ধারণা যে বড়দের চেয়ে শিশুরা সহজেই মনের কথা, দুঃখ-কষ্টের কথা প্রকাশ করে। এটা ভুল ধারণা। এ ব্যাপারে শিশুদের যতটা অবোধ ভাবা হয়, আসলে তা নয়। বরং বড়রা পরিবারের কথা চিন্তা করে শিশুদের চেয়ে সহজেই দুঃখ-কষ্টের কথা প্রকাশ করে দেয়। তাঁদের এই কাজটাকেই আরও সহজ করে দেয় মিউজিক থেরাপি বা সংগীত ও শিল্পকলার চিকিৎসা কৌশল। এটা যখন ধরে, ওষুধ বা অন্য কোনো চিকিৎসার চেয়ে বেশ ভালো কাজে দেয়।
ইরাম গাজী বলেন, ‘ক্যানসারে আক্রান্ত শিশু বা বয়স্ক ব্যক্তিদের গান শুনিয়ে ও সৃজনশীল কোনো কিছু দেখিয়ে তাঁদের যন্ত্রণা, স্নায়ুরোগ বা নিরাময় অযোগ্য কোনো সমস্যা থেকে কিছুটা মুক্তি দিতে সহায়তা করতে পারি।’
তিনি ওষুধের বিকল্প পদ্ধতির ওপর ডিপ্লোমা সম্পন্ন করেছেন। এটাই তাঁর এখন প্রধান কাজের ক্ষেত্র। বর্তমানে তিনি ক্যানসার রোগীদের পুনর্বাসন কেন্দ্রে কাজ করছেন।
ইরাম গাজী বলেন, ‘আমি দেখেছি কঠিন রোগের কারণে মানসিকভাবে ভেঙে পড়া রোগীদের গান শোনালে বা অন্য কোনো সৃজনশীল কিছু দেখালে সত্যি সত্যিই তাঁদের ভেতরে আত্মবিশ্বাসটা বহু গুণ বেড়ে যায়। ’
শিশুদের নিয়ে সাধারণ কিছু ভুল ধারণাও ভেঙে দিয়েছেন ইরাম গাজী। তিনি বলেন, অনেকের ধারণা যে বড়দের চেয়ে শিশুরা সহজেই মনের কথা, দুঃখ-কষ্টের কথা প্রকাশ করে। এটা ভুল ধারণা। এ ব্যাপারে শিশুদের যতটা অবোধ ভাবা হয়, আসলে তা নয়। বরং বড়রা পরিবারের কথা চিন্তা করে শিশুদের চেয়ে সহজেই দুঃখ-কষ্টের কথা প্রকাশ করে দেয়। তাঁদের এই কাজটাকেই আরও সহজ করে দেয় মিউজিক থেরাপি বা সংগীত ও শিল্পকলার চিকিৎসা কৌশল। এটা যখন ধরে, ওষুধ বা অন্য কোনো চিকিৎসার চেয়ে বেশ ভালো কাজে দেয়।
No comments