অবরোধ তোলার দাবিতে খালেদার কার্যালয়ের কাছে বিক্ষোভ
(অবরোধ তুলে নেওয়ার দাবিতে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশানের কার্যালয় ঘেরাও করার চেষ্টা করেছে কয়েকটি সংগঠন । এ সময় পুলিশ তাদের বাধা দেয়। ছবি: সাহাদাত পারভেজ) অবরোধ
তুলে নেওয়ার দাবিতে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশানের
কার্যালয় ঘেরাও করার চেষ্টা করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগ ও আরও
কয়েকটি সংগঠন। তবে পুলিশ বাধা দেওয়ায় তারা কার্যালয় পর্যন্ত যেতে
পারেনি। কার্যালয়ের কাছে গুলশান ২ নম্বর গোলচত্বরে তারা অবস্থান নিয়ে
প্রায় সোয়া দুই ঘণ্টা বিক্ষোভ করে। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকেই সোয়া
একটা পর্যন্ত ওই বিক্ষোভ চলে। এ সময় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগ,
বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগ, খেটে খাওয়া নগরবাসী, গুলশান থানা
ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন সংগঠন মিছিল নিয়ে খালেদা জিয়ার কার্যালয়ের দিকে
যাওয়ার চেষ্টা চালায়। গুলশান ২ নম্বর সড়কে পুলিশ তাদের বাধা দিলে
সংগঠনগুলোর কয়েক শ নেতা-কর্মী গোলচত্বরে অবস্থান নেন ও বিক্ষোভ করেন। বেলা
পৌনে একটার দিকে ‘খেটে খাওয়া নগরবাসী’র ব্যানারে প্রায় ৫০ জনের একটি দল
খালেদা জিয়ার কার্যালয়ের একেবারে কাছাকাছি চলে যায়। তাদের সবার হাতে
কোদাল ও ঝুড়ি ছিল। ‘ভাত চাই, কাপড় চাই’, ‘খালেদা জিয়া কেন কর্মসূচি
দিয়েছেন?’, ‘মানি না মানব না’—এমন বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে তারা কার্যালয়ের
দিকে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কার্যালয়ের ভেতরে যেতে দেওয়ার জন্য তারা
পুলিশকে অনুরোধ করেন। খালেদা জিয়ার সঙ্গে কথা বলার সুযোগ চান। পুলিশ তাদের
কার্যালয়ের কাছে আটকে দেয়। পুলিশের বাধার মুখে খেটে খাওয়া নগরবাসীর
সদস্যরা কার্যালয়ের কাছে গুলশান মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে অবস্থান
নেন। এ সময় তাঁরা ‘পেটে লাথি মেরো না, তুলে নাও অবরোধ’, ‘আমার বাবাকে
পুড়িয়ে মারা হলো কেন?’ বলে স্লোগান দিতে থাকে। একপর্যায়ে খালেদা জিয়ার
কার্যালয় লক্ষ্য করে কয়েকটি ডিম ছুড়ে মারা হয়। নিজেকে লেবার সরদার
পরিচয় দিয়ে সুমন বলেন, তাঁর বাসা উত্তর বাড্ডায়। দেড় মাস ধরে তাঁরা
কোনো কাজ পাচ্ছেন না বলে জানান। ৬ জানুয়ারি অবরোধ শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত
মাত্র দুই থেকে তিন দিন কাজ পেয়েছেন বলে জানান সুমন। তিনি বলেন, ‘খাওয়া
তো দূরের কথা, বাসাভাড়া দিতে পারছি না।’
খেটে খাওয়া নগরবাসীর ব্যানারে যাঁরা মিছিল নিয়ে এসেছেন, তাঁরা সবাই নিজেদের শ্রমিক বলে দাবি করেন। তাঁরা জানান, তাঁরা রাজধানীর মিরপুর, বাড্ডা, গুলশান থেকে এসেছেন। গুলশান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ফিরোজ আহমেদের ভাষ্য, নিরাপত্তার জন্য যা যা দরকার, সবই তাঁরা করেছেন। এর আগে মুক্তিযোদ্ধা কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান ইসমত কাদির গামা বলেন, অবিলম্বে অবরোধ কর্মসূচি প্রত্যাহার করা না হলে তাঁরা খালেদা জিয়ার বাসভবন ও কার্যালয় অবরোধ করবেন। একটি পাখিও সেখানে যেতে পারবে না। অবরোধ, হরতালে হতাহতদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানান তিনি। পুলিশ গুলশান ২ নম্বর সড়কের দুই প্রান্তে ব্যারিকেড দিয়ে রেখেছে। সেখানে পুলিশের জলকামান, রায়ট গাড়ি ও প্রিজন ভ্যান রাখা হয়েছে। গুলশান ২ নম্বর থেকে খালেদা জিয়ার কার্যালয়ের দিকে যাওয়ার রাস্তায় যান চলাচল প্রায় বন্ধ রয়েছে। গতকাল বুধবার সম্মিলিত গাড়িচালক সমাজের এক বিজ্ঞপ্তিতে সারা দেশে সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, চোরাগোপ্তা বোমা হামলা, নাশকতা ও গাড়িচালকদের পেট্রলবোমা দিয়ে অগ্নিদগ্ধ ও মেরে ফেলার বিরুদ্ধে সমাবেশ, বিক্ষোভ মিছিল ও ঘেরাও কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়।
খেটে খাওয়া নগরবাসীর ব্যানারে যাঁরা মিছিল নিয়ে এসেছেন, তাঁরা সবাই নিজেদের শ্রমিক বলে দাবি করেন। তাঁরা জানান, তাঁরা রাজধানীর মিরপুর, বাড্ডা, গুলশান থেকে এসেছেন। গুলশান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ফিরোজ আহমেদের ভাষ্য, নিরাপত্তার জন্য যা যা দরকার, সবই তাঁরা করেছেন। এর আগে মুক্তিযোদ্ধা কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান ইসমত কাদির গামা বলেন, অবিলম্বে অবরোধ কর্মসূচি প্রত্যাহার করা না হলে তাঁরা খালেদা জিয়ার বাসভবন ও কার্যালয় অবরোধ করবেন। একটি পাখিও সেখানে যেতে পারবে না। অবরোধ, হরতালে হতাহতদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানান তিনি। পুলিশ গুলশান ২ নম্বর সড়কের দুই প্রান্তে ব্যারিকেড দিয়ে রেখেছে। সেখানে পুলিশের জলকামান, রায়ট গাড়ি ও প্রিজন ভ্যান রাখা হয়েছে। গুলশান ২ নম্বর থেকে খালেদা জিয়ার কার্যালয়ের দিকে যাওয়ার রাস্তায় যান চলাচল প্রায় বন্ধ রয়েছে। গতকাল বুধবার সম্মিলিত গাড়িচালক সমাজের এক বিজ্ঞপ্তিতে সারা দেশে সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, চোরাগোপ্তা বোমা হামলা, নাশকতা ও গাড়িচালকদের পেট্রলবোমা দিয়ে অগ্নিদগ্ধ ও মেরে ফেলার বিরুদ্ধে সমাবেশ, বিক্ষোভ মিছিল ও ঘেরাও কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়।
No comments