ইয়েমেন সংকট- বিদ্রোহীদের হাতে সানা
(ইয়েমেনের
রাজধানী সানায় গতকাল প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের বাইরে সামরিক বাহিনীর একটি
যানে বসে আছেন শিয়া হুতি যোদ্ধাদের কয়েকজন l ছবি: রয়টার্স) টানা
দুই দিনের সংঘর্ষের পর ইয়েমেনের রাজধানী সানার প্রায় সবকিছুই শিয়া হুতি
বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে। তারা গতকাল বুধবার দেশটির প্রেসিডেন্ট আবদুরাবুহ
মানসুর হাদির প্রাসাদের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। তবে হুতি যোদ্ধারা বলেছে,
তারা প্রেসিডেন্টকে উৎখাত করেনি। হুতি সম্প্রদায়ের নেতা বলেছেন, দেশ এখন
‘সংকটপূর্ণ ও চূড়ান্ত’ ক্ষণে রয়েছে। খবর এএফপি, রয়টার্স ও বিবিসির।
ইয়েমেনের হুতিরা শিয়া ইরানের মদদ পায়। মধ্যপ্রাচ্যে আঞ্চলিক ক্ষমতার
দ্বন্দ্বে শিয়া ইরান আবার ইয়েমেনের প্রতিবেশী সুন্নি সৌদি আরবের পুরোনো
প্রতিদ্বন্দ্বী। এ মুহূর্তে হুতিরাই এখন ইয়েমেনের সবচেয়ে দাপুটে শক্তি।
তবে দৃশ্যত তারা সরকারকে উৎখাতের পরিবর্তে চাপে রেখে সুবিধা আদায়ের কৌশল
নিয়েছে। মনে করা হচ্ছে, ক্ষমতা দখলের দায় না নিয়ে দেশের নেতাদের নিজেদের
করুণার ওপরে রাখতেই এই কৌশল।
সানায় প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের কাছে গত সোম ও মঙ্গলবারের সংঘর্ষে হুতি বিদ্রোহীদের কাছে শোচনীয়ভাবে হেরে যায় প্রেসিডেন্টের গার্ড বাহিনীর সদস্যরা। এরপর গতকাল স্থানীয় সময় সকালের মধ্যেই হুতি বিদ্রোহীরা একটি সাঁজোয়াযানে সজ্জিত হয়ে প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের নিয়ন্ত্রণ নেয়।
হুতি পলিটব্যুরো সদস্য মোহাম্মদ আল-বুখাইতি বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট হাদি এখনো নিজের বাসভবনের ভেতরে রয়েছেন। সেখানে কোনো ধরনের সমস্যা নেই। (চাইলে) তিনি বাসভবন ত্যাগ করতে পারেন।’
হুতি সম্প্রদায়ের নেতা আবদেল মালেক আল-হুতি মঙ্গলবার রাতে টেলিভিশনে ভাষণ দেন। এতে তিনি প্রেসিডেন্ট হাদি ও অন্য নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেন, ‘তাঁরা ইয়েমেনি জনগণের চেয়ে নিজেদের স্বার্থকে প্রাধান্য দিচ্ছেন। তাঁরা দুর্নীতি ও স্বৈরতন্ত্রের গভীরে ডুবে গেছেন। দেশ এক করুণ পরিস্থিতি তথা সম্পূর্ণভাবে ভেঙে পড়ার পথে চলছে। রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা —সবদিক থেকেই পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে।’
প্রেসিডেন্ট হাদিই দেশে আল-কায়েদার জঙ্গিদের বাড়তে দিয়েছেন, এমন অভিযোগ তুলে মালেক আরও বলেন, ‘তাঁরা সব প্রদেশেই তাদের (আল-কায়েদা) বেড়ে উঠতে দিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট তাদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীকে লড়াই করতে দেননি।’ হুতিদের ক্ষমতা বাড়াতে প্রেসিডেন্ট সংবিধানে পরিবর্তন আনার দাবি না মানলে ব্যবস্থা নেওয়ারও হুমকি দেন তিনি। আল-হুতি বলেন, ‘শান্তি ও অংশীদারত্ব চুক্তি বাস্তবায়নে আমরা...প্রয়োজনীয় যেকোনো ধরনের পদক্ষেপ নিতে দ্বিধা করব না।’
হুতি বিদ্রোহীরাই যে এখন ইয়েমেনের নিয়ন্ত্রণে, নেতা মালেকের ওই ভাষণে তা প্রায় স্পষ্ট হয়ে গেল। এমনকি সংবাদপত্র আল মাসাদার মালেককে দেশের ‘প্রেসিডেন্টের প্রেসিডেন্ট’ হিসেবে বর্ণনা করেছে।
নিজেদের সাদা প্রদেশে অধিকতর স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছিল হুতিরা। তাদের মিলিশিয়া বাহিনী গত সেপ্টেম্বরে প্রতিরোধ ছাড়াই রাজধানী সানায় প্রবেশ করে। ওই ঘটনার পর থেকে এবারের পরিস্থিতিই সবচেয়ে বিশৃঙ্খলাপূর্ণ। ঐক্যের সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করবে, এমন শর্তে হুতি মিলিশিয়ারা সেপ্টেম্বর মাসে অস্ত্রবিরতিতে রাজি হয়েছিল। অস্ত্রবিরতির শর্ত অনুযায়ী মিলিশিয়ারা সব এলাকা থেকে সরে যেতে সম্মত হলেও রাজধানী সানার অনেক এলাকার নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখে।
ইয়েমেনের সংকট নিয়ে আলোচনা করতে প্রেসিডেন্ট হাদির ঘনিষ্ঠ মিত্র উপসাগরীয় দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের গতকাল রাতে সৌদি আরবে জরুরি বৈঠকে মিলিত হওয়ার কথা ছিল।
শিয়া মিলিশিয়াদের ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। প্রেসিডেন্ট
হাদিকে দেশের ‘বৈধ কর্তৃপক্ষ’ হিসেবে সমর্থন দিয়ে পরিষদ বলেছে, ‘দেশের স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা সঠিক পথে রাখতে’ সব পক্ষকে সরকারের পাশে দাঁড়াতে হবে।
সানায় প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের কাছে গত সোম ও মঙ্গলবারের সংঘর্ষে হুতি বিদ্রোহীদের কাছে শোচনীয়ভাবে হেরে যায় প্রেসিডেন্টের গার্ড বাহিনীর সদস্যরা। এরপর গতকাল স্থানীয় সময় সকালের মধ্যেই হুতি বিদ্রোহীরা একটি সাঁজোয়াযানে সজ্জিত হয়ে প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের নিয়ন্ত্রণ নেয়।
হুতি পলিটব্যুরো সদস্য মোহাম্মদ আল-বুখাইতি বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট হাদি এখনো নিজের বাসভবনের ভেতরে রয়েছেন। সেখানে কোনো ধরনের সমস্যা নেই। (চাইলে) তিনি বাসভবন ত্যাগ করতে পারেন।’
হুতি সম্প্রদায়ের নেতা আবদেল মালেক আল-হুতি মঙ্গলবার রাতে টেলিভিশনে ভাষণ দেন। এতে তিনি প্রেসিডেন্ট হাদি ও অন্য নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেন, ‘তাঁরা ইয়েমেনি জনগণের চেয়ে নিজেদের স্বার্থকে প্রাধান্য দিচ্ছেন। তাঁরা দুর্নীতি ও স্বৈরতন্ত্রের গভীরে ডুবে গেছেন। দেশ এক করুণ পরিস্থিতি তথা সম্পূর্ণভাবে ভেঙে পড়ার পথে চলছে। রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা —সবদিক থেকেই পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে।’
প্রেসিডেন্ট হাদিই দেশে আল-কায়েদার জঙ্গিদের বাড়তে দিয়েছেন, এমন অভিযোগ তুলে মালেক আরও বলেন, ‘তাঁরা সব প্রদেশেই তাদের (আল-কায়েদা) বেড়ে উঠতে দিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট তাদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীকে লড়াই করতে দেননি।’ হুতিদের ক্ষমতা বাড়াতে প্রেসিডেন্ট সংবিধানে পরিবর্তন আনার দাবি না মানলে ব্যবস্থা নেওয়ারও হুমকি দেন তিনি। আল-হুতি বলেন, ‘শান্তি ও অংশীদারত্ব চুক্তি বাস্তবায়নে আমরা...প্রয়োজনীয় যেকোনো ধরনের পদক্ষেপ নিতে দ্বিধা করব না।’
হুতি বিদ্রোহীরাই যে এখন ইয়েমেনের নিয়ন্ত্রণে, নেতা মালেকের ওই ভাষণে তা প্রায় স্পষ্ট হয়ে গেল। এমনকি সংবাদপত্র আল মাসাদার মালেককে দেশের ‘প্রেসিডেন্টের প্রেসিডেন্ট’ হিসেবে বর্ণনা করেছে।
নিজেদের সাদা প্রদেশে অধিকতর স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছিল হুতিরা। তাদের মিলিশিয়া বাহিনী গত সেপ্টেম্বরে প্রতিরোধ ছাড়াই রাজধানী সানায় প্রবেশ করে। ওই ঘটনার পর থেকে এবারের পরিস্থিতিই সবচেয়ে বিশৃঙ্খলাপূর্ণ। ঐক্যের সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করবে, এমন শর্তে হুতি মিলিশিয়ারা সেপ্টেম্বর মাসে অস্ত্রবিরতিতে রাজি হয়েছিল। অস্ত্রবিরতির শর্ত অনুযায়ী মিলিশিয়ারা সব এলাকা থেকে সরে যেতে সম্মত হলেও রাজধানী সানার অনেক এলাকার নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখে।
ইয়েমেনের সংকট নিয়ে আলোচনা করতে প্রেসিডেন্ট হাদির ঘনিষ্ঠ মিত্র উপসাগরীয় দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের গতকাল রাতে সৌদি আরবে জরুরি বৈঠকে মিলিত হওয়ার কথা ছিল।
শিয়া মিলিশিয়াদের ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। প্রেসিডেন্ট
হাদিকে দেশের ‘বৈধ কর্তৃপক্ষ’ হিসেবে সমর্থন দিয়ে পরিষদ বলেছে, ‘দেশের স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা সঠিক পথে রাখতে’ সব পক্ষকে সরকারের পাশে দাঁড়াতে হবে।
No comments