প্লাস্টিক স্তরের নিচে ধুঁকছে সাগর
বিশ্ব
যত উন্নত হচ্ছে, পরিবেশও তত বিপর্যস্ত হচ্ছে। দূষিত হচ্ছে বাতাস, পানি।
উন্নয়নের পরিপাটি কাঠামোগুলোই প্রকৃতির টুটি চেপে ধরেছে। আমরা অনেকে জানিও না, সাগরে ভাসছে কি পরিমান প্লাস্টিক সামগ্রি। বিজ্ঞানী
এরিকসনের নেতৃত্বে একটি গবেষক দল সাগরে প্লাস্টিকের অবস্থা নিয়ে গবেষণা
করতে গিয়ে অবাক হন। তারা হিসেব করে দেখেছেন সাগর, মহাসাগরগুলোর ওপর দুই লাখ
৭৬ টন প্লাস্টিক জমা হয়েছে। পানির ওপর তৈরি হয়েছে পাতলা প্লাস্টিকের চাদর। প্লাস্টিক
ভেসে চলেছে গ্রিনল্যান্ড থেকে প্রশান্ত মহাসাগর, ব্রাজিল থেকে দণি
আফ্রিকার মহাসাগরের বিভিন্ন অংশে। একরকম বলা যায়, সাগরুগুলো এখন
প্লাস্টিকের ডাস্টবিনে পরিণত হয়েছে।
প্রশান্ত মহাসাগরের বিশাল এলাকাজুড়ে বছরের পর বছর ধরে জমা হচ্ছে প্লাস্টিক বর্জ্য। সেখানে তৈরি হয়েছে পঞ্চাশ ফুট লম্বা এক প্লাস্টিক দ্বীপ।
এর আগে ফ্র্যান্সের এক গবেষক দল জানিয়েছিলেন, উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরও প্লাস্টিকের মহা ডাস্টবিন। দলের প্রকৌশলী ইয়ান জেফ্রিয়াড বলেন, আমরা যখন আটলান্টিকের মাঝামাঝি তখনো প্রতি পাঁচ মিনিটে ১০ থেকে ২০টি আবর্জনাকে পাশ কেটে যেতে দেখেছি। এগুলোর ৯৫ শতাংশই প্লাস্টিক। এসবের মধ্যে রয়েছে টুথপেস্টের টিউব, অ্যারোসলের কৌটা ও পানির বোতল। তিনি বলেন, এগুলোর বেশিরভাগই ঝড় ও বৃষ্টির সাথে স্থলভাগ থেকে ভেসে আসা।
গত বছরের শেষের দিকে প্লাস্টিকের কারণে এক তিমির মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া যায়। নেদারল্যান্ডসের উত্তর এলাকার দ্বীপ তেরলেশিংয়ের সৈকতে ৪৪ ফুট লম্বা একটি স্পার্ম তিমি আটকে যায়। উদ্ধারকারী দল এটিকে মুক্ত করার চেষ্টা করলেও ওটা হঠাৎই মারা যায়।
পরে ময়নাতদন্তের জন্য সেটার পেট চেঁড়া হলে বেরিয়ে আসে গাদা গাদা প্লাস্টিক ব্যাগ। পাকস্থলিতে এ ব্যাগগুলো জমা হওয়ার কারণেই ওটার মৃত্যু হয়েছে।
প্লাস্টিকের কারণে প্রায়ই তিমির মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে। ১৯৮৯ সালে একটি স্পার্ম তিরি মৃতদেহ পাওয়া যায়। সেটির পাকস্থলি থেকে বেরিয়ে আসে ১০০ ফুট লম্বা একটি প্লাস্টিকের চাদর।
২০০৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার পয়েন্ট রেইস উপক’লে উদ্ধার হওয়া একটি তিমির পেট থেকেও পাওয়া যায় প্লাস্টিকের ব্যাগ। ২০১০ সালে একই দেশের পশ্চিম সিয়াটল সৈকতে ভেসে আসা একটি মৃত তিমির পেট থেকে ২০টি প্লাস্টিকের ব্যাগ, ছোট তোয়ালে, ডাক্তারি দস্তানা, গল্ফ বল ও মোটা সেলোটেপ পাওয়া যায়।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, স্পার্ম ও বিক তিমিদের সাধারণ খাবার হলো স্কুইড নামের এক ধরণের সামুদ্রিক প্রাণী। তিমিরা প্রায় সময়ই স্কুইড ভেবে প্লাস্টিক খেয়ে ফেলে।
এ ছাড়া বারিন তিমিরা খাওয়ার সময় একসাথে অনেক পরিমাণ পানিও পেটে নিয়ে নেয়। এসব পানির সাথে তিমিদের অজান্তেই পেটে ঢোকে যাচ্ছে প্লাস্টিক।
তিমিদের পাকস্থলিতে প্লাস্টিক জমা হতে হতে শেষ পর্যন্ত তাদের খাদ্যের স্বাভাবিক গতিপথ আটকে যায়। মৃত্যুর আগের দিনগুলোও কাটে প্রচণ্ডরকম যন্ত্রণায়।
শুধু সাগরেই নয়, প্লাস্টিকের কারণে দূষিত হচ্ছে বন। হুমকির মুখে পড়েছে বন্য প্রাণীরা। আর সাগর, বন দূষিত হওয়ায় এর প্রভাব পড়ছে মানুষের ওপর।
সুতরাং মানুষদের তৈরি এ সমস্যার সমাধান করতে হবে মানুষদেরই। নিজেদের বেঁচে থাকার জন্য হলেও কমাতে হবে প্লাস্টিকের ব্যবহার।
সূত্র: ইন্টারনেট
প্রশান্ত মহাসাগরের বিশাল এলাকাজুড়ে বছরের পর বছর ধরে জমা হচ্ছে প্লাস্টিক বর্জ্য। সেখানে তৈরি হয়েছে পঞ্চাশ ফুট লম্বা এক প্লাস্টিক দ্বীপ।
এর আগে ফ্র্যান্সের এক গবেষক দল জানিয়েছিলেন, উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরও প্লাস্টিকের মহা ডাস্টবিন। দলের প্রকৌশলী ইয়ান জেফ্রিয়াড বলেন, আমরা যখন আটলান্টিকের মাঝামাঝি তখনো প্রতি পাঁচ মিনিটে ১০ থেকে ২০টি আবর্জনাকে পাশ কেটে যেতে দেখেছি। এগুলোর ৯৫ শতাংশই প্লাস্টিক। এসবের মধ্যে রয়েছে টুথপেস্টের টিউব, অ্যারোসলের কৌটা ও পানির বোতল। তিনি বলেন, এগুলোর বেশিরভাগই ঝড় ও বৃষ্টির সাথে স্থলভাগ থেকে ভেসে আসা।
গত বছরের শেষের দিকে প্লাস্টিকের কারণে এক তিমির মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া যায়। নেদারল্যান্ডসের উত্তর এলাকার দ্বীপ তেরলেশিংয়ের সৈকতে ৪৪ ফুট লম্বা একটি স্পার্ম তিমি আটকে যায়। উদ্ধারকারী দল এটিকে মুক্ত করার চেষ্টা করলেও ওটা হঠাৎই মারা যায়।
পরে ময়নাতদন্তের জন্য সেটার পেট চেঁড়া হলে বেরিয়ে আসে গাদা গাদা প্লাস্টিক ব্যাগ। পাকস্থলিতে এ ব্যাগগুলো জমা হওয়ার কারণেই ওটার মৃত্যু হয়েছে।
প্লাস্টিকের কারণে প্রায়ই তিমির মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে। ১৯৮৯ সালে একটি স্পার্ম তিরি মৃতদেহ পাওয়া যায়। সেটির পাকস্থলি থেকে বেরিয়ে আসে ১০০ ফুট লম্বা একটি প্লাস্টিকের চাদর।
২০০৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার পয়েন্ট রেইস উপক’লে উদ্ধার হওয়া একটি তিমির পেট থেকেও পাওয়া যায় প্লাস্টিকের ব্যাগ। ২০১০ সালে একই দেশের পশ্চিম সিয়াটল সৈকতে ভেসে আসা একটি মৃত তিমির পেট থেকে ২০টি প্লাস্টিকের ব্যাগ, ছোট তোয়ালে, ডাক্তারি দস্তানা, গল্ফ বল ও মোটা সেলোটেপ পাওয়া যায়।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, স্পার্ম ও বিক তিমিদের সাধারণ খাবার হলো স্কুইড নামের এক ধরণের সামুদ্রিক প্রাণী। তিমিরা প্রায় সময়ই স্কুইড ভেবে প্লাস্টিক খেয়ে ফেলে।
এ ছাড়া বারিন তিমিরা খাওয়ার সময় একসাথে অনেক পরিমাণ পানিও পেটে নিয়ে নেয়। এসব পানির সাথে তিমিদের অজান্তেই পেটে ঢোকে যাচ্ছে প্লাস্টিক।
তিমিদের পাকস্থলিতে প্লাস্টিক জমা হতে হতে শেষ পর্যন্ত তাদের খাদ্যের স্বাভাবিক গতিপথ আটকে যায়। মৃত্যুর আগের দিনগুলোও কাটে প্রচণ্ডরকম যন্ত্রণায়।
শুধু সাগরেই নয়, প্লাস্টিকের কারণে দূষিত হচ্ছে বন। হুমকির মুখে পড়েছে বন্য প্রাণীরা। আর সাগর, বন দূষিত হওয়ায় এর প্রভাব পড়ছে মানুষের ওপর।
সুতরাং মানুষদের তৈরি এ সমস্যার সমাধান করতে হবে মানুষদেরই। নিজেদের বেঁচে থাকার জন্য হলেও কমাতে হবে প্লাস্টিকের ব্যবহার।
সূত্র: ইন্টারনেট
No comments