কৃত্রিম প্রজননে এল সাফল্য by নেয়ামতউল্যাহ
(কৃত্রিম প্রজননপদ্ধতিতে গত বুধবার জন্ম নেওয়া একটি মহিষের শাবক। ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার আসলামপুরের আবুল বাশারের পারিবারিক খামার থেকে তোলা ছবি l প্রথম আলো) ভোলার
চারপাশে শতাধিক চর। আর এসব চর ঘিরে গড়ে উঠেছে বাথানভিত্তিক মহিষ পালন।
মহিষের দুধ দিয়ে তৈরি কাঁচা দই, ঘি ও মিষ্টি ভোলার মানুষের কাছে জনপ্রিয়।
কিন্তু ঘোষ-ময়রা প্রায়ই পড়ছেন দুধের সংকটে। তা ছাড়া সারা দেশেই রয়েছে
দুধের চাহিদা। সে অনুযায়ী উৎপাদন যথেষ্ট নয়। এ সংকট কাটাতে
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ভোলায় গত বছর কৃত্রিম প্রজননপদ্ধতিতে শুরু করেছিল
মহিষ উৎপাদনের কার্যক্রম। দেশে প্রথমবারের এ পদ্ধতিতে সাফল্য এসেছে। গত ২৫
নভেম্বর একটি বাছুর জন্ম দিয়েছে মা-মহিষ। ৩০ নভেম্বর ও সর্বশেষ গতকাল
সফলভাবে আরও দুটি বাচ্চা জন্ম নিয়েছে এ পদ্ধতিতে। কৃত্রিম প্রজনন
পদ্ধতিতে চরফ্যাশন উপজেলার জিন্নগড় ইউনিয়নের কাজী আবদুল লতিফের খামারে
প্রথম মা-মহিষ বাছুর প্রসব করে। আর আসলামপুর ইউনিয়নের মো. শাহাবুদ্দিনের
খামারে প্রসব হয় দ্বিতীয় বাছুরটির। দুজনেই জানান, বাছুরগুলো দ্রুত
বাড়ছে। এক সপ্তাহ পর এগুলোর ওজন ৩৫ কেজি ছাড়িয়ে গেছে। সর্বশেষ মহিষ
বাচ্চার জন্ম নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে আসলামপুরের আবুল বাশারের খামারে।
বাশার বলেন, তাঁর ছয়টি মহিষ। গত বছর মহিষ পালনের ওপর প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর মহিষের কৃত্রিম প্রজনন ঘটানোর সিদ্ধান্ত নেন তিনি। ওই বছরই একটি মা-মহিষকে এ পদ্ধতিতে বিদেশি উন্নত জাতের মহিষের ইনজেকশন (বীজ) দেওয়া হয়। প্রথম প্রচেষ্টাতেই গর্ভধারণ করেছে মা-মহিষটি। ১১ মাস পর গতকাল ২৩ কেজি ওজনের বাছুর প্রসব করেছে সেটি। বাছুর দেখতে গ্রামের অনেকেই এখন ভিড় করছেন তাঁর বাড়িতে। মা ও বাচ্চা দুটিই ভালো আছে। তবে একটু চিন্তা, বাছুরটিকে দুধ কম খাওয়াচ্ছে মা-মহিষ।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার কর্মকার বলেন, গত বছরের এপ্রিলে ভোলার দৌলতখানে দেশে প্রথম মহিষের কৃত্রিম প্রজনন কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। এ পর্যন্ত ১৫৯টি মহিষকে প্রজনন ইনজেকশন দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে ৩৬টি মহিষ গর্ভধারণ করেছে। ইতিমধ্যে তিনটি বাছুর হয়েছে। আরও ১২টি মা-মহিষ চলতি মাসেই প্রসব করবে বলে আশা করা হচ্ছে। প্রকল্পের আওতায় ১৮০ জন খামারিকে পাঁচ দিনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ভোলায় দুধের চাহিদা প্রায় ৫০০ মেট্রিক টন। কিন্তু এখান থেকে উৎপাদিত হচ্ছে ৩১০ মেট্রিক টন। একটি দেশি মহিষ দৈনিক আধা কেজি থেকে এক কেজি দুধ দেয়। কৃত্রিম প্রজননে জন্ম নেওয়া উন্নত জাতের মহিষ ১০-১২ কেজি দুধ দিতে সক্ষম।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা হিরণ্ময় বিশ্বাস বলেন, উপজেলায় মহিষ রয়েছে প্রায় ৫০ হাজার। প্রায় ২০ হাজার মহিষকে কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে গাভিন করা সম্ভব। তবে চরগুলোর বাথানে প্রতিটি মহিষ পালেই পুরুষ মহিষ থাকায় কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে উন্নত জাতের মহিষ উৎপাদনে সমস্যা হচ্ছে। এ জন্য কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্র গড়ে তোলা দরকার।
বাংলাদেশ মহিষ উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক তকাব্বর হোসেন জানান, ‘ভারত ও পাকিস্তানের অধিবাসীরা চাহিদার ৬০ ভাগ দুধই পান মহিষ থেকে। আমরাও আমাদের দেশে দুধ ও মাংসের চাহিদা মেটাতে ২০০৯ সালে শুরু করেছি ওই প্রকল্প। প্রকল্পের আওতায় খামারিদের প্রশিক্ষণ, প্রজননের বীজ ও প্রসব-পরবর্তী ওষুধ বিনা মূল্যে দেওয়া হচ্ছে।’
তকাব্বর হোসেন বলেন, ভোলা মহিষ পালনের উত্তম স্থান হওয়ায় সেখানেই প্রথম কৃত্রিম প্রজনন পদ্ধতিতে বাছুর জন্মদানের কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়া হবে কার্যক্রম।
বাশার বলেন, তাঁর ছয়টি মহিষ। গত বছর মহিষ পালনের ওপর প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর মহিষের কৃত্রিম প্রজনন ঘটানোর সিদ্ধান্ত নেন তিনি। ওই বছরই একটি মা-মহিষকে এ পদ্ধতিতে বিদেশি উন্নত জাতের মহিষের ইনজেকশন (বীজ) দেওয়া হয়। প্রথম প্রচেষ্টাতেই গর্ভধারণ করেছে মা-মহিষটি। ১১ মাস পর গতকাল ২৩ কেজি ওজনের বাছুর প্রসব করেছে সেটি। বাছুর দেখতে গ্রামের অনেকেই এখন ভিড় করছেন তাঁর বাড়িতে। মা ও বাচ্চা দুটিই ভালো আছে। তবে একটু চিন্তা, বাছুরটিকে দুধ কম খাওয়াচ্ছে মা-মহিষ।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার কর্মকার বলেন, গত বছরের এপ্রিলে ভোলার দৌলতখানে দেশে প্রথম মহিষের কৃত্রিম প্রজনন কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। এ পর্যন্ত ১৫৯টি মহিষকে প্রজনন ইনজেকশন দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে ৩৬টি মহিষ গর্ভধারণ করেছে। ইতিমধ্যে তিনটি বাছুর হয়েছে। আরও ১২টি মা-মহিষ চলতি মাসেই প্রসব করবে বলে আশা করা হচ্ছে। প্রকল্পের আওতায় ১৮০ জন খামারিকে পাঁচ দিনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ভোলায় দুধের চাহিদা প্রায় ৫০০ মেট্রিক টন। কিন্তু এখান থেকে উৎপাদিত হচ্ছে ৩১০ মেট্রিক টন। একটি দেশি মহিষ দৈনিক আধা কেজি থেকে এক কেজি দুধ দেয়। কৃত্রিম প্রজননে জন্ম নেওয়া উন্নত জাতের মহিষ ১০-১২ কেজি দুধ দিতে সক্ষম।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা হিরণ্ময় বিশ্বাস বলেন, উপজেলায় মহিষ রয়েছে প্রায় ৫০ হাজার। প্রায় ২০ হাজার মহিষকে কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে গাভিন করা সম্ভব। তবে চরগুলোর বাথানে প্রতিটি মহিষ পালেই পুরুষ মহিষ থাকায় কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে উন্নত জাতের মহিষ উৎপাদনে সমস্যা হচ্ছে। এ জন্য কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্র গড়ে তোলা দরকার।
বাংলাদেশ মহিষ উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক তকাব্বর হোসেন জানান, ‘ভারত ও পাকিস্তানের অধিবাসীরা চাহিদার ৬০ ভাগ দুধই পান মহিষ থেকে। আমরাও আমাদের দেশে দুধ ও মাংসের চাহিদা মেটাতে ২০০৯ সালে শুরু করেছি ওই প্রকল্প। প্রকল্পের আওতায় খামারিদের প্রশিক্ষণ, প্রজননের বীজ ও প্রসব-পরবর্তী ওষুধ বিনা মূল্যে দেওয়া হচ্ছে।’
তকাব্বর হোসেন বলেন, ভোলা মহিষ পালনের উত্তম স্থান হওয়ায় সেখানেই প্রথম কৃত্রিম প্রজনন পদ্ধতিতে বাছুর জন্মদানের কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়া হবে কার্যক্রম।
No comments