আন্দোলন সূচনার কৃতিত্ব নিতে চায় নারায়ণগঞ্জ বিএনপি
নতুন বছরে সরকার বিরোধী আন্দোলনের সূচনালগ্নের কৃতিত্ব নিতে চাইছে নারায়ণগঞ্জ বিএনপি। আর এ কারণেই আগামী ১৩ই ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুরে বিএনপির সমাবেশ সফল করতে কেন্দ্রীয় নেতাদের হস্তক্ষেপে সকল ভেদাভেদ ভুলে স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা মাঠে নেমেছেন। প্রস্তুতি নিচ্ছেন দলের চেয়ারপারসনের সামনে বড় ধরনের শো-ডাউনের। সমাবেশ ঘিরে দিন-রাত চলছে গণসংযোগ, প্রস্তুতি বৈঠকসহ নানা প্রচারণা। কাঁচপুরের সমাবেশ মঞ্চ থেকেই পরবর্তী আন্দোলনের ঘোষণা চাইছেন নেতাকর্মীরা- যাতে তারা ভবিষ্যতে বলতে পারেন নারায়ণগঞ্জ থেকেই সরকারবিরোধী আন্দোলনের কঠোর ঘোষণার আওয়াজ তুলেছেন খালেদা জিয়া। তাই সমাবেশে অন্তত ১০ লাখ মানুষের সমাগম হবে বলে আশা করছেন তারা। ইতিমধ্যে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের কাঁচপুর বালুর মাঠে ওই সমাবেশস্থলে মঞ্চ নির্মাণ শুরু হয়েছে। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা নিয়মিত জেলার বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করে সর্বোচ্চ লোকের সমাগম ঘটানোর আহ্বান জানাচ্ছেন। ফলে আটঘাট বেঁধেই মাঠে নেমেছে বিএনপির সবগুলো গ্রুপ। নিজেদের মধ্যে বিরোধ থাকলেও সমাবেশকে ঘিরে শো-ডাউনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা। সমাবেশের অন্যতম তদারক বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান জানান, ১৩ই ডিসেম্বরের সমাবেশটি নানাভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এমনও হতে পারে, এই সময়ের মধ্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল করে নির্বাচনের কোন ঘোষণা সরকারের পক্ষ থেকে না এলে, ১৩ই ডিসেম্বর সরকার পতনের আন্দোলনের ঘোষণা দিতে পারেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। সমাবেশটি হবে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির ব্যানারে। তিনি বলেন, সমাবেশকে ঘিরে নারায়ণগঞ্জ বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ পুনরুজ্জীবিত হয়ে উঠেছেন। প্রত্যেক ইউনিয়ন থেকে শুরু করে ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীরাও সক্রিয় হয়ে উঠেছেন। সমাবেশে ওই দিন বেগম খালেদা জিয়া দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে অনেক দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেবেন। সমাবেশে অন্তত ১০ লাখ মানুষের সমাগম ঘটবে বলে আশা করছি। নেতাকর্মীদের সঙ্গে বিভিন্ন এলাকায় সমাবেশ সফল করতে প্রস্তুতি বৈঠকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমূর আলম খন্দকার, সাধারণ সম্পাদক কাজী মনির, সহ-সভাপতি বদরুজ্জামান খসরু, সাবেক এমপি অধ্যাপক রেজাউল করিম, অ্যাডভোকেট আবুল কালাম, আতাউর রহমান খান আঙ্গুর, গিয়াস উদ্দিন আহমেদ, মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল প্রমুখ। এছাড়া যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, শ্রমিক দল, মহিলাসহ অঙ্গসংগঠনের নেতারাও মাঠে রয়েছেন। নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সহসভাপতি বদরুজ্জামান খান খসরু বলেন, ১৩ই ডিসেম্বর একটি টার্নিং পয়েন্ট। আমরা আশা করি সেদিনই নেত্রী বৃহত্তর কোন ঘোষণা দিয়ে যাবেন। এতে নারায়ণগঞ্জ এর নামটি সর্বদাই থাকবে। সমাবেশ সফল করতে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। আশা করছি নেত্রীর ভাষণে এখানকার নেতাকর্মীরা উজ্জীবিত হবে। নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল বলেন, সমাবেশকে ঘিরে নারায়ণগঞ্জে বিএনপি জেগে উঠেছে। ব্যাপক লোক সমাগম করতে আমরা দিনরাত কাজ করে যাচ্ছি। নেতাকর্মীদের চোখে ঘুম নেই। দেশ নেত্রীর কণ্ঠে আমরা আন্দোলনের ঘোষণা শুনতে উদগ্রীব। নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মাসুকুল ইসলাম রাজীব, মহানগর ছাত্রদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল ও যুগ্ম আহ্বায়ক শাহেদ আহমেদ বলেন, ‘সকল ভেদাভেদ ভুলে যে কোন মূল্যে সমাবেশ সফল করতে হবে।
No comments