পরিবেশবিদদের আশঙ্কা বিপন্ন বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান পেতে পারে সুন্দরবন
তেলবাহী
ট্যাংকারডুবি পানিসহ সুন্দরবনাঞ্চলের প্রাণীদের ওপর মারাত্মক ক্ষতিকর
প্রভাব ফেলতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে পরিবেশ বিজ্ঞানী,
আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় পরিবেশবাদী সংগঠন। তারা বলেছেন, এই দুর্ঘটনা
জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশের ওপর প্রভাব পড়লে তা সুন্দরবনের ঐতিহ্যে রক্ষায়
হুমকি হয়ে দেখা দিতে পারে। একই সঙ্গে পরিবেশবিদদের আশঙ্কা, এ ধরনের
নেতিবাচক প্রভাব অব্যাহত থাকলে শিগগিরই ইউনেস্কোর ‘বিশ্ব ঐতিহ্য’ থেকে
‘বিপন্ন বিশ্ব ঐতিহ্যে’র তালিকায় স্থান পেতে পারে সুন্দরবন। এ বিষয়ে
ইউনেস্কো অনেক আগেই সতর্ক করে দিলেও বাংলাদেশ সরকার তা আমলে নেয়নি। পরিবেশ
বাঁচাও আন্দোলন (পবা) এক মানববন্ধন কর্মসূচি শেষে তেল ছড়ানো বন্ধে দ্রুত
ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছে। প্রয়োজনে নৌবাহিনীকে কাজে লাগানোর দাবি
জানানো হয়। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান ও
তেলবাহী ট্যাংকারডুবি তদন্ত কমিটির সদস্য ড. দিলীপ কুমার মানবজমিনকে বলেন,
তেল ছড়িয়ে পড়ায় পানিতে অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দিতে পারে। এর ফলে জলজ
প্রাণীর ক্ষতি হতে পারে। আবার সুন্দরবন এলাকায় দু’বার জোয়ার ভাটা হওয়ায়
ক্ষয়ক্ষতির যা আশঙ্কা করা হচ্ছে, তার চেয়ে কমও হতে পারে। তিনি বলেন, তেলের
কারণে গাছপালার পাশাপাশি ঘাস মরে যেতে পারে। এখন শীতের মওসুম চলছে ঘাসের
ওপর পাখি বা হাঁস বিচরণ করতে গিয়ে শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থায় পড়তে পারে।
তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক
প্রকৌশলী শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ এবং সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ
বলেন, সরকার সুন্দরবনের গুরুত্ব সম্পর্কে নির্লিপ্ত থেকে তার সুরক্ষার
পরিবর্তে বনটির ভেতর দিয়ে বড় বড় নৌযান চলাচলের অনুমতি দিয়েছে। এই দুর্ঘটনা
চোখে আঙুল দিয়ে দেখানোর জন্য যথেষ্ট যে, সুন্দরবন বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে
ঘোষিত হওয়ার পাশাপাশি বাংলাদেশের জন্য অতিগুরুত্বপূর্ণ হলেও তা কতটা
অরক্ষিত এবং এর নিকটবর্তী নদী দিয়ে তেল, কয়লা বা বিষাক্ত বর্জ্য পরিবহন
কতটা বিপজ্জনক হতে পারে। টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান এ
ব্যাপারে বলেন, সুন্দরবনের ভেতর দিয়ে নৌপথ এবং এর পাশে রামপাল
বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন যে কতটা ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে, তার কিছুটা লক্ষণ এই
দুর্ঘটনা প্রমাণ করে দিলো । সরকার এখনই যদি নৌপথ বন্ধ না করে এবং রামপাল
প্রকল্প সুন্দরবনের পাশ থেকে সরিয়ে না নেয় তাহলে আমরা সুন্দরবনের বিশ্ব
ঐতিহ্যের সম্মান হারাবো তো বটেই, এক সময় বনটিই ধ্বংস হয়ে যাবে।
পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা): তেল ছড়ানো বন্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন। প্রয়োজনে নৌবাহিনী ও স্থানীয় জনগণকে কাজে লাগানোর আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি। পাশাপাশি দ্রুত তেল ছড়িয়ে পড়া বন্ধে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের দাবি জানানো হয়। গতকাল সকাল ১১টায় শাহবাগে এক মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে এসব দাবি করে সংগঠনটি। মানববন্ধন থেকে বলা হয়- ট্যাংকার থেকে ছড়িয়ে পড়া তেলে পানির ওপরের স্তরে কালো আস্তরণ তৈরি করেছে। এতে অক্সিজেনের অভাবে সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি হচ্ছে। ইউনেস্কোর সতর্কতা আমলে নেয়নি সরকার: এর আগে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র ও সুন্দরবন রেঞ্জ দিয়ে নৌযান চলাচলের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারকে বেশ কয়েকবার সতর্ক করেছে ইউনেস্কো। সরকারের কাছে বেশ কয়েকবার চিঠিও দিয়েছে সংস্থাটি। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে গ্রহণযোগ্য কোন জবাব দেয়া হয়নি। সর্বশেষ গত ১১ই জুলাই ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সেন্টারের পরিচালক কিশোর রাও স্বাক্ষরিত সুন্দরবন সংক্রান্ত একটি চিঠি সংস্থাটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে দেয়া হয়। সুন্দরবন রক্ষায় সরকার কি উদ্যোগ নিয়েছে এ বিষয়ে আগামী বছরের ১লা ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রতিবেদন চেয়েছে সংস্থাটি। এ ছাড়া সুন্দরবন অঞ্চলের ভেতর ও আশপাশ দিয়ে নৌযান চলাচলের বিষয়েও বেশ কয়েকবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। এ ব্যাপারেও সরকারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত দৃশ্যত কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। তেলবাহী ট্যাংকারডুবির ঘটনা ওই অঞ্চলের পানিসহ বনাঞ্চলের প্রাণীদের ওপর মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক পরিবেশবাদী সংগঠন ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন সোসাইটি। তারা বলেছে, জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশের ওপর প্রভাব পড়লে তা সুন্দরবনের ঐতিহ্যের খেতাব রক্ষায় মারাত্মক হুমকি হয়ে দেখা দেবে।
ইউনেস্কো ঘোষিত প্রাকৃতিক বিশ্ব ঐতিহ্যের স্থানগুলোকে অভয়াশ্রম ঘোষণা করে রক্ষণাবেক্ষণের উদ্যোগ নেয়া হয়। সংস্থাটির পক্ষ থেকে পর্যবেক্ষণকারী দলসহ রাষ্ট্রের সরকারগুলো ঐতিহ্য রক্ষায় পদক্ষেপ নেয়। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার প্রায়ই সুন্দরবনের ঐতিহ্যের কথা গর্বভরে উল্লেখ করলেও রক্ষায় তেমন কোন উদ্যোগ নেয়নি। সুন্দরবনের খেতাব বাতিলে ইউনেস্কোর পক্ষ থেকে একাধিকবার সতর্ক করা হলেও এখন পর্যন্ত তা আমলে নেয়নি সরকার।
বাংলাদেশ ও ভারতের মোট ১০ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিস্তৃত সুন্দরবন। এর মধ্যে ৬০১৭ বর্গ কিলোমিটার রয়েছে বাংলাদেশে। ভারত সরকার ইতিমধ্যে তাদের অংশের অঞ্চলকে অভয়ারণ্য ঘোষণা দিয়ে বন রক্ষায় পদক্ষেপ নিয়েছে। ১৯৯৭ সালে সুন্দরবনকে বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে ঘোষণা দেয় ইউনেস্কো।
পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা): তেল ছড়ানো বন্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন। প্রয়োজনে নৌবাহিনী ও স্থানীয় জনগণকে কাজে লাগানোর আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি। পাশাপাশি দ্রুত তেল ছড়িয়ে পড়া বন্ধে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের দাবি জানানো হয়। গতকাল সকাল ১১টায় শাহবাগে এক মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে এসব দাবি করে সংগঠনটি। মানববন্ধন থেকে বলা হয়- ট্যাংকার থেকে ছড়িয়ে পড়া তেলে পানির ওপরের স্তরে কালো আস্তরণ তৈরি করেছে। এতে অক্সিজেনের অভাবে সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি হচ্ছে। ইউনেস্কোর সতর্কতা আমলে নেয়নি সরকার: এর আগে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র ও সুন্দরবন রেঞ্জ দিয়ে নৌযান চলাচলের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারকে বেশ কয়েকবার সতর্ক করেছে ইউনেস্কো। সরকারের কাছে বেশ কয়েকবার চিঠিও দিয়েছে সংস্থাটি। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে গ্রহণযোগ্য কোন জবাব দেয়া হয়নি। সর্বশেষ গত ১১ই জুলাই ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সেন্টারের পরিচালক কিশোর রাও স্বাক্ষরিত সুন্দরবন সংক্রান্ত একটি চিঠি সংস্থাটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে দেয়া হয়। সুন্দরবন রক্ষায় সরকার কি উদ্যোগ নিয়েছে এ বিষয়ে আগামী বছরের ১লা ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রতিবেদন চেয়েছে সংস্থাটি। এ ছাড়া সুন্দরবন অঞ্চলের ভেতর ও আশপাশ দিয়ে নৌযান চলাচলের বিষয়েও বেশ কয়েকবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। এ ব্যাপারেও সরকারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত দৃশ্যত কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। তেলবাহী ট্যাংকারডুবির ঘটনা ওই অঞ্চলের পানিসহ বনাঞ্চলের প্রাণীদের ওপর মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক পরিবেশবাদী সংগঠন ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন সোসাইটি। তারা বলেছে, জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশের ওপর প্রভাব পড়লে তা সুন্দরবনের ঐতিহ্যের খেতাব রক্ষায় মারাত্মক হুমকি হয়ে দেখা দেবে।
ইউনেস্কো ঘোষিত প্রাকৃতিক বিশ্ব ঐতিহ্যের স্থানগুলোকে অভয়াশ্রম ঘোষণা করে রক্ষণাবেক্ষণের উদ্যোগ নেয়া হয়। সংস্থাটির পক্ষ থেকে পর্যবেক্ষণকারী দলসহ রাষ্ট্রের সরকারগুলো ঐতিহ্য রক্ষায় পদক্ষেপ নেয়। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার প্রায়ই সুন্দরবনের ঐতিহ্যের কথা গর্বভরে উল্লেখ করলেও রক্ষায় তেমন কোন উদ্যোগ নেয়নি। সুন্দরবনের খেতাব বাতিলে ইউনেস্কোর পক্ষ থেকে একাধিকবার সতর্ক করা হলেও এখন পর্যন্ত তা আমলে নেয়নি সরকার।
বাংলাদেশ ও ভারতের মোট ১০ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিস্তৃত সুন্দরবন। এর মধ্যে ৬০১৭ বর্গ কিলোমিটার রয়েছে বাংলাদেশে। ভারত সরকার ইতিমধ্যে তাদের অংশের অঞ্চলকে অভয়ারণ্য ঘোষণা দিয়ে বন রক্ষায় পদক্ষেপ নিয়েছে। ১৯৯৭ সালে সুন্দরবনকে বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে ঘোষণা দেয় ইউনেস্কো।
No comments