খাল বন্ধ করে নালা! by সাইফুর রহমান
(বরিশালের বাকেরগঞ্জে জেলা পরিষদের খাল বন্ধ করে নালা নির্মাণ করছে পৌরসভা। সম্প্রতি তোলা ছবি l প্রথম আলো) বরিশালের
বাকেরগঞ্জ পৌরসভায় পুরোনো খাল বন্ধ করে নির্মাণ করা হচ্ছে নালা। খালটি
জেলা পরিষদের হলেও তাদের অনুমতি নেওয়া হয়নি। প্রায় ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে
নির্মাণকাজ চালাচ্ছে বাকেরগঞ্জ পৌরসভা। তবে পৌর মেয়র লোকমান হোসেন প্রথম
আলোকে জানান, খালটি জেলা পরিষদের হলেও পৌরসভার মধ্যে তারা উন্নয়নকাজ করে
না। উন্নয়ন না করায় ৩০-৩৫ ফুট চওড়া খালের অনেকাংশ দখল হয়ে গেছে। নালা
নির্মাণের মাধ্যমে বাকি অংশ রক্ষা করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এটাকে খাল
দখল বলা যায় না। সরেজমিনে দেখা গেছে, পৌর শহরের সদর রোড এলাকায় জেল
খালের একটা অংশে ঢালাইয়ের কাজ চলছে। নির্মাণশ্রমিকেরা জানান, পৌর মেয়র ওই
নির্মাণকাজ করাচ্ছেন।
বাকেরগঞ্জ পৌরসভা সূত্র জানা যায়, জেল খালটির সঙ্গে নদীর সংযোগ প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। একসময় এটি জেলা পরিষদের থাকলেও বর্তমানে পৌরসভাই দেখভাল করে। জেল খালের একটা অংশে নালা নির্মাণের জন্য ২০১৩ সালে দরপত্র আহ্বান করা হয়। গত মার্চ মাসে শুরু হয় নালা নির্মাণকাজ। ৫৯ লাখ পাঁচ হাজার টাকা ব্যয়ে এর নির্মাণকাজ শেষ হবে ২০১৫ সালের ৩০ জুন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বাকেরগঞ্জ উপজেলার তুলাতলা নদী ও শ্রীমন্ত নদীর সংযোগ জেল খালটি জেলা পরিষদের রেকর্ডকৃত। ৩৫ থেকে ৪০ ফুট চওড়া ছিল এটি। খালের দুই পাশের কয়েক শ পরিবার খালের পানি ব্যবহার করত। নালা নির্মাণে সেই সুযোগ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
খালের পাড়ের বাসিন্দা ৭৫ বছর বয়সী মো. ফুল শরীফ অভিযোগ করে প্রথম আলোকে জানান, বাকেরগঞ্জ জেল খালটি প্রায় দুই কিলোমিটার লম্বা। একসময় এই খালে বড় বড় নৌকা চলাচল করত। সেই খাল অনেকটাই ভরাট হয়ে গেছে। বাকি অংশ ভরাট করে পৌরসভা ড্রেন (নালা) নির্মাণ করছে। এখন আর কেউ খালের পানি ব্যবহার করতে পারবে না।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন কাউন্সিলর প্রথম আলোকে জানান, খালটি মূলত জেলা পরিষদের। সেই খালে ড্রেন নির্মাণ করছেন পৌর মেয়র। খালে জোয়ার-ভাটার পানি এলে ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার হতো। এখন নালা নির্মাণ করায় সেই পথ বন্ধ হয়ে যাবে। এ ব্যাপারে মেয়রের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলবে না।
জেলা পরিষদ বরিশালের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. গোলাম মোস্তফা প্রথম আলোকে বলেন, ‘বাকেরগঞ্জের জেল খালটির অনেকটা দখল হয়ে গেছে। অবশিষ্ট খালের একাংশে নালা নির্মাণ করা হচ্ছে। নালা নির্মাণের জন্য পৌরসভার পক্ষ থেকে জেলা পরিষদকে জানানো হয়নি।
বাকেরগঞ্জ পৌরসভা সূত্র জানা যায়, জেল খালটির সঙ্গে নদীর সংযোগ প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। একসময় এটি জেলা পরিষদের থাকলেও বর্তমানে পৌরসভাই দেখভাল করে। জেল খালের একটা অংশে নালা নির্মাণের জন্য ২০১৩ সালে দরপত্র আহ্বান করা হয়। গত মার্চ মাসে শুরু হয় নালা নির্মাণকাজ। ৫৯ লাখ পাঁচ হাজার টাকা ব্যয়ে এর নির্মাণকাজ শেষ হবে ২০১৫ সালের ৩০ জুন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বাকেরগঞ্জ উপজেলার তুলাতলা নদী ও শ্রীমন্ত নদীর সংযোগ জেল খালটি জেলা পরিষদের রেকর্ডকৃত। ৩৫ থেকে ৪০ ফুট চওড়া ছিল এটি। খালের দুই পাশের কয়েক শ পরিবার খালের পানি ব্যবহার করত। নালা নির্মাণে সেই সুযোগ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
খালের পাড়ের বাসিন্দা ৭৫ বছর বয়সী মো. ফুল শরীফ অভিযোগ করে প্রথম আলোকে জানান, বাকেরগঞ্জ জেল খালটি প্রায় দুই কিলোমিটার লম্বা। একসময় এই খালে বড় বড় নৌকা চলাচল করত। সেই খাল অনেকটাই ভরাট হয়ে গেছে। বাকি অংশ ভরাট করে পৌরসভা ড্রেন (নালা) নির্মাণ করছে। এখন আর কেউ খালের পানি ব্যবহার করতে পারবে না।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন কাউন্সিলর প্রথম আলোকে জানান, খালটি মূলত জেলা পরিষদের। সেই খালে ড্রেন নির্মাণ করছেন পৌর মেয়র। খালে জোয়ার-ভাটার পানি এলে ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার হতো। এখন নালা নির্মাণ করায় সেই পথ বন্ধ হয়ে যাবে। এ ব্যাপারে মেয়রের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলবে না।
জেলা পরিষদ বরিশালের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. গোলাম মোস্তফা প্রথম আলোকে বলেন, ‘বাকেরগঞ্জের জেল খালটির অনেকটা দখল হয়ে গেছে। অবশিষ্ট খালের একাংশে নালা নির্মাণ করা হচ্ছে। নালা নির্মাণের জন্য পৌরসভার পক্ষ থেকে জেলা পরিষদকে জানানো হয়নি।
No comments