দ্বন্দ্ব কবর দিতে হবে হাসিনা-খালেদাকে -গালফ নিউজের সম্পাদকীয়
বাংলাদেশের প্রতিদ্বন্দ্বী দু’নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে দ্বন্দ্ব কবর দিতে হবে। তারা দু’জনেই নিজেদের পুত্রকে উত্তরসূরি হিসেবে প্রস্তুত করছেন। কিন্তু দেশের স্বার্থে নিজেদের মধ্যকার দ্বন্দ্বের কবর দেয়া অগ্রাধিকারে থাকা উচিত। প্রধানমন্ত্রীকে তার কঠোর দৃষ্টিভঙ্গি পরিহকার করতে হবে এবং শাসন পদ্ধতিতে সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। কোন বিরোধী দল ছাড়া দেশ চালানোটা আপাতত তার জন্য মানানসই হলেও অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশের মতো একটি গণতন্ত্র আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে সুনাম হারাবে- যদি তা একদলীয় শাসনে চলতেই থাকে। অনলাইন গালফ নিউজের এক সম্পাদকীয়কে এসব কথা বলা হয়েছে। এতে আরও বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দু’বারের প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল, বিএনপির নেত্রী খালেদা জিয়ার মধ্যে রাজনৈতিকভাবে এক ধাপ এগিয়ে থাকার লড়াইয়ে বাংলাদেশের রাজনীতি নতুন এক নাটকীয় মোড়ের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তের পর খালেদা জিয়ার পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে বিচার প্রক্রিয়া শুরু করার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আদালতে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে, যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আশঙ্কা রয়েছে তার। দীর্ঘমেয়াদি কোন দণ্ড খালেদা জিয়াকে নিশ্চিতভাবে রাজনৈতিকভাবে তেপান্তরে পাঠিয়ে দেবে। তাছাড়া, দেশের প্রধানমন্ত্রীর জন্য অসংখ্যবার তিনি বাধা হিসেবে প্রতীয়মান হয়েছেন। আর এমনটা হলে হাসিনা কৌশল চালানোর আরও সুযোগ পাবেন এবং তার দলের কর্তৃত্ব শক্ত করতে পারবেন। বর্তমান পরিস্থিতি বাংলাদেশে রাজনৈতিক ও সামাজিক অস্থিরতা উস্কে দিতে পারে; বাংলাদেশ যে ঝুঁকি নিতে পারে না। জানুয়ারির সাধারণ নির্বাচনে হাসিনার জয়কে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ইতিমধ্যে প্রহসন বলে সমালোচনা করেছে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সত্ত্বেও দুই নেত্রীর চলমান দ্বন্দ্বে বর্তমানের এ অধ্যায় বাংলাদেশকে টালমাটাল করে দিতে পারে। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি উপভোগ করছে। কিন্তু একই সঙ্গে সামাজিক ও রাজনৈতিক মহলে ইসলামপন্থিদের ক্রমশ উত্থান মোকাবিলা করছে আর সেনাবাহিনীর গভীর পর্যবেক্ষণে রয়েছে।
No comments