আ.লীগ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে দ্বিধান্বিত: ইমরান
বর্তমান আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আওয়ামী লীগ নয়, বরং বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে দেশে যে রাজনীতি শুরু হয়েছিল, তারা সে রাজনীতিই করছে।
আজ বৃহস্পতিবার শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে এ মন্তব্য করেন গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার। তিনি বলেন, ‘বলতে বাধ্য হচ্ছি, আজকে এই সরকার, এই আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে পঁচাত্তরের পর যে রাজনীতি শুরু হয়েছিল, সেই রাজনীতি করে যাচ্ছে। এ কারণেই তাঁরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করার ক্ষেত্রে সব সময় দ্বিধান্বিত।’
ইমরান বলেন, ‘বিচারপতিদের অভিশংসনের ক্ষমতাও “মহান” সংসদ নিয়েছেন। কিছুদিন আগেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তিনি বাদে সবাইকে টাকা দিয়ে কেনা যায়। তার মানে অপেক্ষা করছি, যাঁদের টাকা দিয়ে কেনা যায়, তারাই ভবিষ্যৎ বিচারকদের নিয়োগ দেবেন।’
বিকেল চারটা থেকে শুরু হওয়া বিক্ষোভ সমাবেশে বিভিন্ন বাম এবং সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরা যোগ দেন। তাঁরা স্লোগান তোলেন, ‘দেইল্লা চোরার ফাঁসির রায়, বেইচা দিলি কয় টাকায়’, ‘রং বেরংয়ের দালালেরা, হুঁশিয়ার সাবধান’।
আজ বৃহস্পতিবার শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে এ মন্তব্য করেন গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার। তিনি বলেন, ‘বলতে বাধ্য হচ্ছি, আজকে এই সরকার, এই আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে পঁচাত্তরের পর যে রাজনীতি শুরু হয়েছিল, সেই রাজনীতি করে যাচ্ছে। এ কারণেই তাঁরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করার ক্ষেত্রে সব সময় দ্বিধান্বিত।’
ইমরান বলেন, ‘বিচারপতিদের অভিশংসনের ক্ষমতাও “মহান” সংসদ নিয়েছেন। কিছুদিন আগেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তিনি বাদে সবাইকে টাকা দিয়ে কেনা যায়। তার মানে অপেক্ষা করছি, যাঁদের টাকা দিয়ে কেনা যায়, তারাই ভবিষ্যৎ বিচারকদের নিয়োগ দেবেন।’
বিকেল চারটা থেকে শুরু হওয়া বিক্ষোভ সমাবেশে বিভিন্ন বাম এবং সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরা যোগ দেন। তাঁরা স্লোগান তোলেন, ‘দেইল্লা চোরার ফাঁসির রায়, বেইচা দিলি কয় টাকায়’, ‘রং বেরংয়ের দালালেরা, হুঁশিয়ার সাবধান’।
সমাবেশের সময় গণজাগরণ মঞ্চের কামাল পাশা চৌধুরী-সমর্থিত অংশটির নেতারা জাদুঘরের সামনে উত্তর পাশে উপস্থিত থাকলেও তাঁরা আলাদা কোনো কর্মসূচি পালন করেননি। তবে বেলা ১১টার দিকে ‘শাহবাগ আন্দোলন’ ব্যানারে দুই অংশের বাইরে পাঁচটি বাম ছাত্র সংগঠনের নেতা-কর্মীরা সাঈদীর ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ করেন। সন্ধ্যায় তাঁরা শাহবাগ থেকে মশাল মিছিলও করেছেন।
গণজাগরণ মঞ্চের সমাবেশে যুব ইউনিয়নের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খান আসাদুজ্জামান বলেন, সাঈদীর এমন একটি রায় দেওয়া হয়েছে যাতে জনগণের করের টাকায় তাঁকে সারা জীবন পুষতে হয়। স্বৈরাচারী এরশাদ ও জিয়ার সংসদেও এমন কেউ ছিল না, যারা ন্যায়ের পক্ষে কথা বলতেন। তিনি বলেন, ‘আমরা ধিক্কার জানাই এই সংসদে এমন কেউ নেই যে বাংলাদেশের মানুষের কণ্ঠের প্রতিধ্বনি করতে পারে।’
ইমরান এইচ সরকার সংবিধানের ৪৯ ধারার সমালোচনা করে বলেন, এই ধারা অনুযায়ী মহামান্য রাষ্ট্রপতি যেকোনো অপরাধীকে ক্ষমা করে দিতে পারেন। অতীতে রাজনৈতিকভাবে চিহ্নিত অপরাধীদের ক্ষমা করে দেওয়া হয়েছে। কোনোভাবেই যাতে যুদ্ধাপরাধীদের ক্ষেত্রে এ ধারা ব্যবহার করা না যায়, সে জন্য এই ধারা বাতিল করতে হবে।
সাংসদদের সমালোচনা করে ইমরান বলেন, ‘যখন যুদ্ধাপরাধীরা নানা রকম তাণ্ডব করে, বিচার যখন রাতের অন্ধকারে পরিবর্তন হয়ে যায়, তখন কিন্তু সাংসদদের দেখি না বক্তব্য দিতে। গতকালকে দেখলাম এই সাংসদরা, মন্ত্রীরা অনেকে হাততালি দিয়েছেন। বলেছেন, খুব ভালো রায় হয়েছে। প্রধান রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের নেতারাও এই রায়কে সাদরে গ্রহণ করে নিয়েছেন।’
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের দপ্তর সম্পাদক নাসিরউদ্দিন প্রিন্স বলেন, বিচারপতিদের অভিশংসনের ক্ষমতা সংসদের হাতে নেওয়ার মাধ্যমে তাদের ন্যূনতম যে স্বাধীনতা ছিল, তা-ও হরণ করা হয়েছে। গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করতে সম্প্রচার নীতিমালা করা হয়েছে।
সমাবেশে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক জি এম জিলানি, ব্লগার আরিফ জেবতিক, উদীচীর সহ সাধারণ সম্পাদক জমশেদ আনোয়ার প্রমুখ বক্তব্য দেন। সমাবেশ সঞ্চালনা করেন ব্লগার মারুফ রসূল।
কাল শুক্রবার বিকেল চারটায় শাহবাগে গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
No comments