পানির অভাবে নদী মরলে সরকারের লোক খুশি হয় @প্রথম আলো
অর্থনীতিবিদ আনু মুহাম্মদ বলেছেন, আমাদের দেশে যাঁরা সরকারে থাকেন তাঁদের লোকেরা নদীতে পানি না এলে খুশি হন। কেননা এতে নদী মরে গিয়ে জমিতে পরিণত হয়। আর তাঁরা ওই জমি দখল করতে পারেন। ফলে তাঁরা নৈতিকভাবেও ভারতের কাছ থেকে পানির ন্যায্য হিস্যা চাওয়ার শক্তি পান না। আজ শুক্রবার রাজধানীতে এক গোলটেবিল বৈঠকে সভাপতির বক্তব্যে আনু মুহাম্মদ এসব কথা বলেন। গণসংহতি আন্দোলন আয়োজিত 'অভিন্ন নদীতে ভারতের আগ্রাসী নীতি' শীর্ষক এই গোলটেবিল বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় প্রেসক্লাবে। যুক্তরাজ্যের স্কুল অব ওরিয়েন্টাল অ্যান্ড আফ্রিকান স্টাডিজের অধ্যাপক ও অর্থনীতিবিদ মুশতাক খান বলেন, বাংলাদেশের উচিত ভারতকে ট্রানজিট দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া; আর ভারত বাংলাদেশকে পানি না দেওয়ায় যে আর্থিক ক্ষতি হয়েছে তার জন্য ক্ষতিপূরণ চাওয়া। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নাসিম আখতার হোসেন বলেন, 'যখন আমরা তিস্তার পানি পেলাম না, তখন ভারতের অনেক পত্রিকা ও নাগরিক সমাজের লোক বাংলাদেশের পক্ষে কথা বলেছেন।' এ ধরনের মিত্রদের খুঁজে বের করে পানির অধিকার বিষয়ে আঞ্চলিক ঐকমত্য গড়ে তোলার আহ্বান জানান তিনি। বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবু জাফর বলেন, 'আমাদের শাসক শ্রেণী মনে করে পশ্চিমবঙ্গে মমতা ব্যানার্জির জন্য শাড়ি ও ইলিশ পাঠালেই পানি চলে আসবে। কিন্তু ভারতের কাছে পানি ন্যায্য হিস্যা চাওয়ার মতো হিম্মত তাদের নেই।'
পানির হিস্যা পেতে আন্তর্জাতিক আদালতে যেতে হবে
গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা বলেন, সরকারগুলোর মেরুদণ্ডহীনতার কারণে ভারত থেকে আসা ৫৪টি অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় করা যাচ্ছে না। পানির হিস্যা পেতে বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক আদালতে যেতে হবে। বাংলাদেশকে জাতিসংঘের অভিন্ন নদীবিষয়ক চুক্তি 'কনভেনশন অব দ্য ল অব নননেভিগেশন ইউজেস অব ইন্টারন্যাশনাল ওয়াটারকোরসেস'-এ স্বাক্ষর করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তাঁরা। বক্তারা বলেন, বিশ্বের ৩৪টি দেশ জাতিসংঘের এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে। বাংলাদেশ এতে স্বাক্ষর করলে এটি একটি আইনে পরিণত হবে। আর এই আইনের আওতায় বাংলাদেশ ভারতের কাছ থেকে অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা পেতে চাপ দিতে পারবে। গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকির সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান, পানি বিশেষজ্ঞ ইনামুল হক, সংস্কৃতিকর্মী অরূপ রাহী প্রমুখ।
পানির হিস্যা পেতে আন্তর্জাতিক আদালতে যেতে হবে
গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা বলেন, সরকারগুলোর মেরুদণ্ডহীনতার কারণে ভারত থেকে আসা ৫৪টি অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় করা যাচ্ছে না। পানির হিস্যা পেতে বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক আদালতে যেতে হবে। বাংলাদেশকে জাতিসংঘের অভিন্ন নদীবিষয়ক চুক্তি 'কনভেনশন অব দ্য ল অব নননেভিগেশন ইউজেস অব ইন্টারন্যাশনাল ওয়াটারকোরসেস'-এ স্বাক্ষর করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তাঁরা। বক্তারা বলেন, বিশ্বের ৩৪টি দেশ জাতিসংঘের এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে। বাংলাদেশ এতে স্বাক্ষর করলে এটি একটি আইনে পরিণত হবে। আর এই আইনের আওতায় বাংলাদেশ ভারতের কাছ থেকে অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা পেতে চাপ দিতে পারবে। গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকির সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান, পানি বিশেষজ্ঞ ইনামুল হক, সংস্কৃতিকর্মী অরূপ রাহী প্রমুখ।
No comments