বাংলানিউজ এর বিশেষ সম্পাদকীয়- একগুঁয়েমি নয়, সমঝোতার পথেই সঙ্কটমুক্তি
আবারও আমাদের সঙ্গী হতে চলেছে ভয়, উদ্বেগ
আর নিরাপত্তাহীনতা। প্রতিটি নির্বাচনের আগেই এটা হয়। কুরুক্ষেত্র হয়ে ওঠে
গোটা দেশ। মানুষকে জিম্মি করে, মানুষের জীবনকে অনিশ্চয়তার পথে ঠেলে দিয়ে।
প্রধান
দুই দল ও জোটের প্রতিশোধের নেশায়-আস্ফালনে, হত্যা-সংঘাতের ভেতর দিয়ে
সহিংসতার ঢেউ বারবার আছড়ে পড়ে আমাদের জীবনে।
হানাহানি-সংঘাত-সংঘর্ষ-মিছিল-অবরোধ-হরতাল, লাশ আর রক্তপাতই যেন নিয়তি।
রাজনীতি এভাবেই বিকাশ ও উন্নয়নের প্রতীক না হয়ে হয়ে উঠেছে এক একচক্ষু দানব।
এক দু’দিনের চিত্র নয় এটা, এসব ঘটেই চলছে সারাবছর ধরে; যে সরকারই ক্ষমতায় আসুক প্রথম দিন থেকেই শুরু হয়ে যায় বিদ্বেষ আর বৈরিতা। আর নির্বাচন যতো এগিয়ে আসে, আতঙ্কের জনপদ হয়ে ওঠে গোটা বাংলাদেশ। কেন এটা হবে? এ প্রশ্নের উত্তর যাদের দেবার কথা, রাজনীতির সেই কুশীলবরা এ নিয়ে মাথা ঘামান বলে মনে হয় না। বাংলাদেশে প্রধান দুটি রাজনৈতিক দল ও জোট জনবান্ধব রাজনীতি ছেড়ে হেঁটে চলেছে একগুঁয়েমির পথে। সমঝোতার চেয়ে তাদের কাছে প্রিয় হয়ে উঠেছে বিদ্বেষ ও প্রতিশোধকামিতা।
মাত্র ক’টা দিন বাকি। সরকারের মেয়াদ শেষের ঘণ্টা বাজবে ২৪ অক্টোবর। সরকার তবু বহাল থাকবে। বিএনপি ও তার মিত্ররা তা হতে দেবে না। ২৫ অক্টোবর থেকে টানা হরতাল অবরোধের প্রস্তুতি নিয়েছে তারা। গোটা দেশ থেকে ঢাকাকে বিচ্ছিন্ন করার প্রস্তুতিও নিয়ে ফেলেছে তারা।
সরকারও বলছে, নির্বাচনকালীন নির্দল সরকারের জন্য বিরোধী দলীয় দাবিতে কোনো ছাড় তারা দেবে না। দু’পক্ষেরই ‘আই বল টু আই বল’ মনোভাব।
গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে কেন এমন হবে? কেন আলোচনা-সমঝোতার সুযোগ থাকবে না? গণতন্ত্র তো পরমতসহিষ্ণুতা, যৌক্তিক ছাড় ও সমঝোতারই তন্ত্র! আমরা তাই বলছি, সরকার ও বিরোধী –এই দুটি পক্ষই পারস্পরিক হম্বিতম্বি এবং একগুঁয়েমি বাদ দিয়ে সমঝোতার পথে আসুক। দেশ আবার নৈরাজ্যের দিকে চলে যাক এটা কাম্য হতে পারে না।
দু’পক্ষকেই মনে রাখতে হবে ‘কিছু পেতে হলে কিছু (ছাড়) দিতে হয়’। সরকারকেও বুঝতে হবে একতরফা নির্বাচনের ফল ভালো হয় না। এরশাদের আমলে সেই ১৯৮৬ সালে প্রহসনের নির্বাচন হয়েছিল, হয়েছিল বিএনপির আমলে ১৯৯৬ সালে ----মাগুরার সেই পাতানো নির্বাচন। ১৯৯৬ সালে তো অল্পের জন্য দেশ বড় এক বিপর্যয় থেকে বেঁচে গিয়েছিল। এসবকিছু ভুলে সরকার যদি উটপাখির মতো বালিতে মুখ গুঁজে থাকে তবে তা হবে বড় ভুল। হাতে সময় কম, তবে সদিচ্ছা থাকলে সমঝোতার জন্য একটা দিন বা ঘণ্টাই যথেষ্ট। সরকারের উচিত হবে বিরোধী দলের সাথে খোলামন নিয়ে আলোচনায় বসা।
বিরোধী দলকেও বুঝতে হবে, সংসদকে পাশ কাটিয়ে এতদিন তারা যে পথে হেঁটেছে তা ভুল পথ ছিল। তাদের সহিংস কর্মসূচির বলি হয়েছে সাধারণ নিরীহ মানুষ। বারবার দেশ অচল করার ঘোষণা দিয়ে নতুন নতুন আতঙ্কেরই জন্ম দিয়েছে তারা। নিজেদের সহিংস কর্মসূচির মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রকেই তারা মারণতন্ত্রের সমার্থক করে তুলেছে। নৈরাজ্য, সন্ত্রাস, হত্যাযজ্ঞ, রাস্তাঘাটে নিরীহ সাধারণ মানুষকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে কুপিয়ে মারাকে আর যাই হোক গণতান্ত্রিক দলের আচরণ বলা যায় না।
গত কয়েক মাসজুড়ে সারাদেশে বিরোধী দল হরতালের নামে, অবরোধের নামে যা চালিয়েছে তাকে এক কথায় বলা চলে তাণ্ডব। এতে সরকারের কিছু হয় নি। বরং বলি হয়েছে নিরীহ মানুষ। সরকারের উপর ক্ষোভ ঝাড়তে গিয়ে মানুষের জীবন বিপন্ন করবার অধিকার বিরোধী দলের নেই। তারা মুখে গণতন্ত্র গণতন্ত্র বলে আকাশ ফাটাচ্ছে, অথচ মিত্র হিসেবে বেছে নিয়েছে হেফাজতে ইসলাম ও জামায়াতে ইসলামীর মতো গণতন্ত্ররোধী, ধর্মান্ধ শক্তিকে। এরা নারীবিদ্বেষী, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী। গণতন্ত্রের বদলে চর্চা করে ফ্যাসিজমের। নারীদের চাকুরি, পড়াশোনা ও স্বাধীন চলাচল বন্ধ করে দিয়ে এরা দেশকে ঠেলে দিতে চায় পশ্চাদপদতার অন্ধ তিমিরে।ধর্মান্ধ-প্রতিক্রিয়াশীল এই শক্তি দেশকে বানাতে চায় আরেক ‘আফগানিস্তান’। এমন এক ধর্মান্ধ শক্তিকে দোসর বানিয়ে, প্রকাশ্যে সমর্থন দিয়ে, কোন পরম মার্গে পৌঁছতে চায় বিএনপি?
বিএনপিকে বুঝতে হবে অগণতান্ত্রিক শক্তির হাত ধরে আপাতত নির্বাচনী হিসেব নিকেশ করা গেলেও তাতে করে গণতন্ত্র সুরক্ষা পাবে না। ‘তেঁতুলতত্ত্বের প্রচারক’ আল্লামা শফির হেফাজতিদের সঙ্গে নিয়ে উদার গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা যাবে না। বরং এরা গণতন্ত্রের সামনে আবির্ভূত হয়েছে ফ্রাংকেনস্টাইনের দানব রূপে। আগামী দিনের প্রাগ্রসর, গণতান্ত্রিক, বিজ্ঞান-প্রযুক্তিমনস্ক, ভবিষ্যমুখি এক উদার বাংলাদেশের স্বপ্নকে এগিয়ে নিতে হলে পশ্চাদপদ শক্তির সঙ্গ-ত্যাগ করতে হবে বিএনপিকে। ‘কুইনিন জ্বর সারাবে বটে, কিন্তু কুইনিন সারাবে কে’—দল হিসেবে বিএনপিকে এটাও মনে রাখতে হবে। কেননা অগণতান্ত্রিক ফ্যাসিস্ট শক্তির ঘাড়ে সওয়ার হয়ে সাময়িক সুবিধা হয়তো পাওয়া যাবে, কিন্তু এর ফল হবে মারাত্মক---বিএনপির নিজের এবং গোটা দেশের জন্য। এ ব্যাপারে ঝেড়ে কাশার সময় এসেছে বিএনপির।
বাংলাদেশের দুটি রাজনৈতিক পক্ষকে একথা মাথায় রাখতে হবে, নতুন সংকটের জন্ম দিয়ে নয়, বরং সমঝোতা-সংলাপে-ছাড়ে ও যৌক্তিক আপসেই বেরিয়ে আসবে সংকটমুক্তির পথ। দেশের মানুষ বড় আশা নিয়ে চেয়ে আছে বড় দুটি দলের মুখের দিকে। তারা চাইলে কি না পারে! তবে সবার আগে চাই কাদা ও বিষবাষ্প ছড়ানো বন্ধ করা।যুদ্ধংদেহী মনোভাব ছেড়ে পরস্পরের দিকে হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। ঠাণ্ডা মাথায়, খোলামন নিয়ে বসতে হবে আলোচনায়। তাহলেই ধীরে ধীরে বরফ গলবে। বাংলাদেশ আজ এমনই শুভবাদী মুহূর্তের অপেক্ষায়। একগুয়েঁমি দূরে ঠেলে, বৈরিতার কালোমেঘ সরিয়ে প্রধান দুটি দলের তরফে জাতির জন্য ঈদ-উত্তর উপহার হয়ে আসুক সেই শুভ মুহূর্ত। আশায় বুক বেঁধে আছে গোটা বাংলাদেশ।
এক দু’দিনের চিত্র নয় এটা, এসব ঘটেই চলছে সারাবছর ধরে; যে সরকারই ক্ষমতায় আসুক প্রথম দিন থেকেই শুরু হয়ে যায় বিদ্বেষ আর বৈরিতা। আর নির্বাচন যতো এগিয়ে আসে, আতঙ্কের জনপদ হয়ে ওঠে গোটা বাংলাদেশ। কেন এটা হবে? এ প্রশ্নের উত্তর যাদের দেবার কথা, রাজনীতির সেই কুশীলবরা এ নিয়ে মাথা ঘামান বলে মনে হয় না। বাংলাদেশে প্রধান দুটি রাজনৈতিক দল ও জোট জনবান্ধব রাজনীতি ছেড়ে হেঁটে চলেছে একগুঁয়েমির পথে। সমঝোতার চেয়ে তাদের কাছে প্রিয় হয়ে উঠেছে বিদ্বেষ ও প্রতিশোধকামিতা।
মাত্র ক’টা দিন বাকি। সরকারের মেয়াদ শেষের ঘণ্টা বাজবে ২৪ অক্টোবর। সরকার তবু বহাল থাকবে। বিএনপি ও তার মিত্ররা তা হতে দেবে না। ২৫ অক্টোবর থেকে টানা হরতাল অবরোধের প্রস্তুতি নিয়েছে তারা। গোটা দেশ থেকে ঢাকাকে বিচ্ছিন্ন করার প্রস্তুতিও নিয়ে ফেলেছে তারা।
সরকারও বলছে, নির্বাচনকালীন নির্দল সরকারের জন্য বিরোধী দলীয় দাবিতে কোনো ছাড় তারা দেবে না। দু’পক্ষেরই ‘আই বল টু আই বল’ মনোভাব।
গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে কেন এমন হবে? কেন আলোচনা-সমঝোতার সুযোগ থাকবে না? গণতন্ত্র তো পরমতসহিষ্ণুতা, যৌক্তিক ছাড় ও সমঝোতারই তন্ত্র! আমরা তাই বলছি, সরকার ও বিরোধী –এই দুটি পক্ষই পারস্পরিক হম্বিতম্বি এবং একগুঁয়েমি বাদ দিয়ে সমঝোতার পথে আসুক। দেশ আবার নৈরাজ্যের দিকে চলে যাক এটা কাম্য হতে পারে না।
দু’পক্ষকেই মনে রাখতে হবে ‘কিছু পেতে হলে কিছু (ছাড়) দিতে হয়’। সরকারকেও বুঝতে হবে একতরফা নির্বাচনের ফল ভালো হয় না। এরশাদের আমলে সেই ১৯৮৬ সালে প্রহসনের নির্বাচন হয়েছিল, হয়েছিল বিএনপির আমলে ১৯৯৬ সালে ----মাগুরার সেই পাতানো নির্বাচন। ১৯৯৬ সালে তো অল্পের জন্য দেশ বড় এক বিপর্যয় থেকে বেঁচে গিয়েছিল। এসবকিছু ভুলে সরকার যদি উটপাখির মতো বালিতে মুখ গুঁজে থাকে তবে তা হবে বড় ভুল। হাতে সময় কম, তবে সদিচ্ছা থাকলে সমঝোতার জন্য একটা দিন বা ঘণ্টাই যথেষ্ট। সরকারের উচিত হবে বিরোধী দলের সাথে খোলামন নিয়ে আলোচনায় বসা।
বিরোধী দলকেও বুঝতে হবে, সংসদকে পাশ কাটিয়ে এতদিন তারা যে পথে হেঁটেছে তা ভুল পথ ছিল। তাদের সহিংস কর্মসূচির বলি হয়েছে সাধারণ নিরীহ মানুষ। বারবার দেশ অচল করার ঘোষণা দিয়ে নতুন নতুন আতঙ্কেরই জন্ম দিয়েছে তারা। নিজেদের সহিংস কর্মসূচির মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রকেই তারা মারণতন্ত্রের সমার্থক করে তুলেছে। নৈরাজ্য, সন্ত্রাস, হত্যাযজ্ঞ, রাস্তাঘাটে নিরীহ সাধারণ মানুষকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে কুপিয়ে মারাকে আর যাই হোক গণতান্ত্রিক দলের আচরণ বলা যায় না।
গত কয়েক মাসজুড়ে সারাদেশে বিরোধী দল হরতালের নামে, অবরোধের নামে যা চালিয়েছে তাকে এক কথায় বলা চলে তাণ্ডব। এতে সরকারের কিছু হয় নি। বরং বলি হয়েছে নিরীহ মানুষ। সরকারের উপর ক্ষোভ ঝাড়তে গিয়ে মানুষের জীবন বিপন্ন করবার অধিকার বিরোধী দলের নেই। তারা মুখে গণতন্ত্র গণতন্ত্র বলে আকাশ ফাটাচ্ছে, অথচ মিত্র হিসেবে বেছে নিয়েছে হেফাজতে ইসলাম ও জামায়াতে ইসলামীর মতো গণতন্ত্ররোধী, ধর্মান্ধ শক্তিকে। এরা নারীবিদ্বেষী, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী। গণতন্ত্রের বদলে চর্চা করে ফ্যাসিজমের। নারীদের চাকুরি, পড়াশোনা ও স্বাধীন চলাচল বন্ধ করে দিয়ে এরা দেশকে ঠেলে দিতে চায় পশ্চাদপদতার অন্ধ তিমিরে।ধর্মান্ধ-প্রতিক্রিয়াশীল এই শক্তি দেশকে বানাতে চায় আরেক ‘আফগানিস্তান’। এমন এক ধর্মান্ধ শক্তিকে দোসর বানিয়ে, প্রকাশ্যে সমর্থন দিয়ে, কোন পরম মার্গে পৌঁছতে চায় বিএনপি?
বিএনপিকে বুঝতে হবে অগণতান্ত্রিক শক্তির হাত ধরে আপাতত নির্বাচনী হিসেব নিকেশ করা গেলেও তাতে করে গণতন্ত্র সুরক্ষা পাবে না। ‘তেঁতুলতত্ত্বের প্রচারক’ আল্লামা শফির হেফাজতিদের সঙ্গে নিয়ে উদার গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা যাবে না। বরং এরা গণতন্ত্রের সামনে আবির্ভূত হয়েছে ফ্রাংকেনস্টাইনের দানব রূপে। আগামী দিনের প্রাগ্রসর, গণতান্ত্রিক, বিজ্ঞান-প্রযুক্তিমনস্ক, ভবিষ্যমুখি এক উদার বাংলাদেশের স্বপ্নকে এগিয়ে নিতে হলে পশ্চাদপদ শক্তির সঙ্গ-ত্যাগ করতে হবে বিএনপিকে। ‘কুইনিন জ্বর সারাবে বটে, কিন্তু কুইনিন সারাবে কে’—দল হিসেবে বিএনপিকে এটাও মনে রাখতে হবে। কেননা অগণতান্ত্রিক ফ্যাসিস্ট শক্তির ঘাড়ে সওয়ার হয়ে সাময়িক সুবিধা হয়তো পাওয়া যাবে, কিন্তু এর ফল হবে মারাত্মক---বিএনপির নিজের এবং গোটা দেশের জন্য। এ ব্যাপারে ঝেড়ে কাশার সময় এসেছে বিএনপির।
বাংলাদেশের দুটি রাজনৈতিক পক্ষকে একথা মাথায় রাখতে হবে, নতুন সংকটের জন্ম দিয়ে নয়, বরং সমঝোতা-সংলাপে-ছাড়ে ও যৌক্তিক আপসেই বেরিয়ে আসবে সংকটমুক্তির পথ। দেশের মানুষ বড় আশা নিয়ে চেয়ে আছে বড় দুটি দলের মুখের দিকে। তারা চাইলে কি না পারে! তবে সবার আগে চাই কাদা ও বিষবাষ্প ছড়ানো বন্ধ করা।যুদ্ধংদেহী মনোভাব ছেড়ে পরস্পরের দিকে হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। ঠাণ্ডা মাথায়, খোলামন নিয়ে বসতে হবে আলোচনায়। তাহলেই ধীরে ধীরে বরফ গলবে। বাংলাদেশ আজ এমনই শুভবাদী মুহূর্তের অপেক্ষায়। একগুয়েঁমি দূরে ঠেলে, বৈরিতার কালোমেঘ সরিয়ে প্রধান দুটি দলের তরফে জাতির জন্য ঈদ-উত্তর উপহার হয়ে আসুক সেই শুভ মুহূর্ত। আশায় বুক বেঁধে আছে গোটা বাংলাদেশ।
No comments