দুর্যোগে প্রতিবন্ধীদের পাশে থাকা জরুরি by সফিউল আযম
প্রতিবন্ধীদের
সঙ্গে রাখব, দুর্যোগ সহনশীল দেশ গড়ব- এই প্রতিপাদ্য সামনে রেখে আজ পালিত
হচ্ছে আন্তর্জাতিক প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস। দুর্যোগ সহনশীল সমাজ
প্রতিষ্ঠা ও প্রতিবন্ধীদের চাহিদা পূরণ ও দুর্যোগে ঝুঁকি কমাতে
সারাবিশ্বের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি সরকারি ও বেসরকারিভাবে পালিত হচ্ছে।
সবার মাঝে প্রাকৃতিক দুর্যোগ সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টি এবং প্রতিবন্ধীদের
দুর্যোগের হাত থেকে রক্ষাই দিবসটির মূল উদ্দেশ্য। বয়স, লিঙ্গ, জাতি,
সংস্কৃতি বা সামাজিক অবস্থান অনুযায়ী আর ১০ জন যে কাজগুলো করতে পারে, সে
কাজগুলো প্রাত্যহিক জীবনে করতে না পারার অবস্থাটাই হল প্রতিবন্ধিতা। বিশ্বে
প্রায় ১০০ কোটি লোক বিভিন্ন ধরনের প্রতিবন্ধিতার সঙ্গে বাস করছে।
জাতিসংঘের এক গবেষণায় দেখা গেছে, ঘূর্ণিঝড়, ভূমিকম্প ও সুনামির মতো
দুর্যোগ ঝুঁকির তালিকায় বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান ষষ্ঠ এবং এশিয়ার মধ্যে
দ্বিতীয়।
সাংবিধানিকভাবে বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের জাতি, ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ, নির্বিশেষে সমসুযোগ ও সমঅধিকার রয়েছে এবং জাতীয় উন্নয়নে দেশের সব নাগরিকের সমঅংশীদারিত্বের সুযোগ সৃষ্টি একটি রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব। এ ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধী নাগরিকদেরও রয়েছে উন্নয়নের ও অংশগ্রহণের পূর্ণ অধিকার। প্রতিটি প্রতিবন্ধী নাগরিক প্রথমে নাগরিক, পরে প্রতিবন্ধী। কিন্তু আমাদের দেশের সামগ্রিক অবস্থা পর্যালোচনা করে দেখা যায়, প্রতিবন্ধী নাগরিকদের প্রতি আমাদের অজ্ঞতা, ভয় ও কুসংস্কারাচ্ছন্ন মনোভাবের কারণে পারিবারিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড তথা দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে তাদের অংশগ্রহণ ও অংশীদারিত্বের অধিকার খুবই নগণ্য?
সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্তির ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সমঅধিকার রক্ষায় অগ্রগতি অনেক; কিন্তু এখনও তা কাক্সিক্ষত পর্যায়ে পৌঁছেনি। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা সমাজের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত। একথা ঠিক যে, প্রাকৃতিক ও মনুষ্যসৃষ্ট দুর্যোগে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হন। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে সৃষ্ট সিডর ও আইলার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগে তারাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হয়েছেন।
মানসিক, শারীরিক ও অন্যান্য প্রতিবন্ধীর ভিন্ন ধরনের চলার গতি ও চাহিদার প্রয়োজনীয়তা থাকলেও দুর্যোগের প্রভাব তাদের সবার ওপর প্রায় সমানভাবেই পড়ে। আমরা জানি, জীবনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু ক্ষেত্রে তাদের অন্যের ওপর নির্ভর করতে হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পরিবারের কাছের কেউ এসবে সাহায্য করেন। যখন এসবের ব্যত্যয় ঘটে, তখন তারা ভীষণ মানসিক চাপের মধ্যে পড়েন। স্বাভাবিক আর দশজন মানুষের মতো পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেয়ার ক্ষমতাও অনেক ক্ষেত্রে তাদের কম থাকে। তাদের সমস্যাগুলোকে অনেক সময় অবজ্ঞা করা হয়। খাওয়া-দাওয়া, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা সব কিছুতেই তারা পিছিয়ে যায়।
যে কোনো দুর্যোগে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হয় দরিদ্র জনগোষ্ঠী। দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে যারা প্রতিবন্ধী তারা আরও বেশি ঝুঁকিতে থাকেন। এ বিষয়কে বিবেচনায় রেখে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মসূচি পরিচালনা করা হচ্ছে। দারিদ্র্য দূর করা সম্ভব হলে যে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রতিবন্ধীদের জন্য ঝুঁকি হ্রাস পাবে। এ জন্য দুর্যোগ মোকাবেলায় দারিদ্র্য দূরীকরণ কর্মসূচিকে আরও গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা দরকার। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ঝুঁকি হ্রাস কর্মসূচিতে প্রতিবন্ধীদের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা প্রয়োজন। আশার কথা, দুর্যোগবিষয়ক স্থায়ী আদেশাবলীর পরিমার্জিত সংস্করণে প্রতিবন্ধীদের বিষয়কে সংযুক্ত করা হয়েছে। ভিজিএফ কর্মসূচির নীতিমালায়ও প্রতিবন্ধীদের অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে এবং এটাকে আরও জোরদার করা প্রয়োজন। দুর্যোগের সময়ে তাদের যে করুণ অবস্থা হয় তা মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হলে এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সমাজের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে অন্তর্ভুক্ত করতে না পারলে সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব নয়। এ জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন প্রতিবন্ধীবান্ধব প্রকল্প গ্রহণ ও এর দ্রুত বাস্তবায়ন।
দুর্যোগকালীন আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে মানবেতর ঝুঁকি এবং অবহেলার শিকার হয় নারী, শিশু ও প্রতিবন্ধী মানুষ। প্রতিবন্ধীদের জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনার লক্ষ্যে বেসরকারি সংস্থাগুলোকে নানা ধরনের স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি সামাজিক কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে। প্রতিবন্ধী দরিদ্র মানুষের স্বাস্থ্যব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য ক্ষুদ্র স্বাস্থ্যবীমা প্রকল্প চালু করা সময়ের দাবি। প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় প্রতিবন্ধীদের নিরাপত্তা বিধান করা জরুরি। অনেক ক্ষেত্রেই আমরা এ বিষয়টি ভুলে যাই। সব সময় তাদের বিষয়টিকে চিন্তা করে কাজ করতে হবে। মনে রাখতে হবে, অধিক ও নিরাপদ আশ্রয় করা যেমন জরুরি, তেমনি দুর্যোগ-পরবর্তী তাদের পুনর্বাসনের বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ।
২০১০ সালের কানকুন সম্মেলনের প্রাক্কালে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা তাদের দাবি তুলে ধরেন। বাংলাদেশেও ১০০ জন প্রতিবন্ধী জাতীয় জাদুঘরের সামনে এক মানববন্ধনে অংশ নিয়ে ‘আমরা নই, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় ব্যর্থ বিশ্ব নেতারাই’ স্লোগান দেন। মানববন্ধন থেকে জলবায়ু অর্থের সঠিক ব্যবহার, স্বচ্ছতা ও তথ্য পাওয়ার নিশ্চয়তা বিধানের জন্য বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। আমরাও চাই, প্রতিবন্ধীদের অধিকার নিশ্চিত করা হোক এবং জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক প্রকল্পে সরকারি ও বেসরকারি প্রকল্পে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অগ্রাধিকার দেয়া হোক।
জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক সব উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে প্রতিবন্ধিতার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন। অন্যসব নাগরিকের মতো সমাজে প্রতিবন্ধী ব্যক্তির সমান অধিকার নিশ্চিত করা আমাদের সবার দায়িত্ব। নিজের পরিবারের মতো, সন্তানের মতো দুর্যোগে তাদের পাশে থেকে তাদের সুন্দর ভবিষ্যৎ নির্মাণের জন্য সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করতে হবে।
সফিউল আযম : উন্নয়নকর্মী
সাংবিধানিকভাবে বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের জাতি, ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ, নির্বিশেষে সমসুযোগ ও সমঅধিকার রয়েছে এবং জাতীয় উন্নয়নে দেশের সব নাগরিকের সমঅংশীদারিত্বের সুযোগ সৃষ্টি একটি রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব। এ ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধী নাগরিকদেরও রয়েছে উন্নয়নের ও অংশগ্রহণের পূর্ণ অধিকার। প্রতিটি প্রতিবন্ধী নাগরিক প্রথমে নাগরিক, পরে প্রতিবন্ধী। কিন্তু আমাদের দেশের সামগ্রিক অবস্থা পর্যালোচনা করে দেখা যায়, প্রতিবন্ধী নাগরিকদের প্রতি আমাদের অজ্ঞতা, ভয় ও কুসংস্কারাচ্ছন্ন মনোভাবের কারণে পারিবারিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড তথা দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে তাদের অংশগ্রহণ ও অংশীদারিত্বের অধিকার খুবই নগণ্য?
সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্তির ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সমঅধিকার রক্ষায় অগ্রগতি অনেক; কিন্তু এখনও তা কাক্সিক্ষত পর্যায়ে পৌঁছেনি। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা সমাজের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত। একথা ঠিক যে, প্রাকৃতিক ও মনুষ্যসৃষ্ট দুর্যোগে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হন। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে সৃষ্ট সিডর ও আইলার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগে তারাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হয়েছেন।
মানসিক, শারীরিক ও অন্যান্য প্রতিবন্ধীর ভিন্ন ধরনের চলার গতি ও চাহিদার প্রয়োজনীয়তা থাকলেও দুর্যোগের প্রভাব তাদের সবার ওপর প্রায় সমানভাবেই পড়ে। আমরা জানি, জীবনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু ক্ষেত্রে তাদের অন্যের ওপর নির্ভর করতে হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পরিবারের কাছের কেউ এসবে সাহায্য করেন। যখন এসবের ব্যত্যয় ঘটে, তখন তারা ভীষণ মানসিক চাপের মধ্যে পড়েন। স্বাভাবিক আর দশজন মানুষের মতো পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেয়ার ক্ষমতাও অনেক ক্ষেত্রে তাদের কম থাকে। তাদের সমস্যাগুলোকে অনেক সময় অবজ্ঞা করা হয়। খাওয়া-দাওয়া, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা সব কিছুতেই তারা পিছিয়ে যায়।
যে কোনো দুর্যোগে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হয় দরিদ্র জনগোষ্ঠী। দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে যারা প্রতিবন্ধী তারা আরও বেশি ঝুঁকিতে থাকেন। এ বিষয়কে বিবেচনায় রেখে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মসূচি পরিচালনা করা হচ্ছে। দারিদ্র্য দূর করা সম্ভব হলে যে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রতিবন্ধীদের জন্য ঝুঁকি হ্রাস পাবে। এ জন্য দুর্যোগ মোকাবেলায় দারিদ্র্য দূরীকরণ কর্মসূচিকে আরও গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা দরকার। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ঝুঁকি হ্রাস কর্মসূচিতে প্রতিবন্ধীদের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা প্রয়োজন। আশার কথা, দুর্যোগবিষয়ক স্থায়ী আদেশাবলীর পরিমার্জিত সংস্করণে প্রতিবন্ধীদের বিষয়কে সংযুক্ত করা হয়েছে। ভিজিএফ কর্মসূচির নীতিমালায়ও প্রতিবন্ধীদের অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে এবং এটাকে আরও জোরদার করা প্রয়োজন। দুর্যোগের সময়ে তাদের যে করুণ অবস্থা হয় তা মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হলে এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সমাজের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে অন্তর্ভুক্ত করতে না পারলে সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব নয়। এ জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন প্রতিবন্ধীবান্ধব প্রকল্প গ্রহণ ও এর দ্রুত বাস্তবায়ন।
দুর্যোগকালীন আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে মানবেতর ঝুঁকি এবং অবহেলার শিকার হয় নারী, শিশু ও প্রতিবন্ধী মানুষ। প্রতিবন্ধীদের জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনার লক্ষ্যে বেসরকারি সংস্থাগুলোকে নানা ধরনের স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি সামাজিক কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে। প্রতিবন্ধী দরিদ্র মানুষের স্বাস্থ্যব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য ক্ষুদ্র স্বাস্থ্যবীমা প্রকল্প চালু করা সময়ের দাবি। প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় প্রতিবন্ধীদের নিরাপত্তা বিধান করা জরুরি। অনেক ক্ষেত্রেই আমরা এ বিষয়টি ভুলে যাই। সব সময় তাদের বিষয়টিকে চিন্তা করে কাজ করতে হবে। মনে রাখতে হবে, অধিক ও নিরাপদ আশ্রয় করা যেমন জরুরি, তেমনি দুর্যোগ-পরবর্তী তাদের পুনর্বাসনের বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ।
২০১০ সালের কানকুন সম্মেলনের প্রাক্কালে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা তাদের দাবি তুলে ধরেন। বাংলাদেশেও ১০০ জন প্রতিবন্ধী জাতীয় জাদুঘরের সামনে এক মানববন্ধনে অংশ নিয়ে ‘আমরা নই, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় ব্যর্থ বিশ্ব নেতারাই’ স্লোগান দেন। মানববন্ধন থেকে জলবায়ু অর্থের সঠিক ব্যবহার, স্বচ্ছতা ও তথ্য পাওয়ার নিশ্চয়তা বিধানের জন্য বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। আমরাও চাই, প্রতিবন্ধীদের অধিকার নিশ্চিত করা হোক এবং জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক প্রকল্পে সরকারি ও বেসরকারি প্রকল্পে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অগ্রাধিকার দেয়া হোক।
জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক সব উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে প্রতিবন্ধিতার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন। অন্যসব নাগরিকের মতো সমাজে প্রতিবন্ধী ব্যক্তির সমান অধিকার নিশ্চিত করা আমাদের সবার দায়িত্ব। নিজের পরিবারের মতো, সন্তানের মতো দুর্যোগে তাদের পাশে থেকে তাদের সুন্দর ভবিষ্যৎ নির্মাণের জন্য সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করতে হবে।
সফিউল আযম : উন্নয়নকর্মী
No comments