সমঝোতা প্রতিষ্ঠার জন্য সব পক্ষকে আন্তরিক হতে হবে by ড. মাহবুব উল্লাহ্
২৪
অক্টোবরের পর দেশে কি ঘটবে তা নিয়ে জল্পনা-কল্পনার শেষ নেই। অনেকেই বলছেন,
দেশ চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে নিক্ষিপ্ত হতে যাচ্ছে। এই অনিশ্চয়তার কারণে
দেশবাসী আতংকের মধ্যে রয়েছে বলেও অনেকে অভিমত পোষণ করেন। কেউ কেউ বিদ্রুপের
হুল ফুটিয়ে বলছেন, বিরোধী দল অক্টোবর বিপ্লবের স্বপ্ন দেখছে। ১৯১৭ সালের ৭
অক্টোবর মহামতি লেনিনের নেতৃত্বে রাশিয়ায় সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব হয়েছিল।
সেই থেকে বিপ্লবের সঙ্গে অক্টোবর মাসটি যুক্ত হয়ে গেছে। লেনিন একটি
সুনির্দিষ্ট দিনে বিপ্লবী অভ্যুত্থানের পক্ষে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তিনি তার
বলশেভিক পার্টির কমরেডদের বলেছিলেন, ‘৬ অক্টোবর বিপ্লবের জন্য খুব তাড়াহুড়ো
হয়ে যাবে, ৮ অক্টোবর হবে খুব বিলম্বিত, ৭ অক্টোবর বিপ্লবের জন্য খুবই
উপযোগী সময়।’ লেনিন কেন দিনক্ষণ ঠিক করে বিপ্লবী আঘাত হানার কথা বলেছিলেন
সেটি ভিন্ন আলোচনার বিষয়। তবে দিনক্ষণ ঠিক করে দুনিয়ার কোনো দেশে সামাজিক
কিংবা গণঅভ্যুত্থান ঘটেনি কিংবা ঘটছে না। একই কথা বাংলাদেশের জন্যও
প্রযোজ্য। সাম্প্রতিককালে মধ্যপ্রাচ্যে আবার বসন্তের যে ঢেউ আমরা লক্ষ্য
করেছি সেটাও কোনো ব্যক্তিবিশেষ বা কোনো গোষ্ঠী দিনক্ষণ ঠিক করে শুরু করেনি।
আরব বসন্তের সূচনা হয় প্রথম তিউনেশিয়ায়। একজন ফল বিক্রেতার ওপর পুলিশি
জুলুম এবং তার ফলবাহী ভ্যান গাড়ি ভেঙে দেয়ার ঘটনাকে সূত্র করেই তিউনেশিয়ায়
স্বৈরশাসনবিরোধী গণঅভ্যুত্থানের সূচনা। পরবর্তীকালে মিসর, বাহরাইন, ইয়েমেন
এবং সিরিয়ায় যা ঘটেছে সেগুলোও দিনক্ষণ নির্ধারণ করে ঘটেনি। তবে এসব
ক্ষেত্রে গণঅভ্যুত্থানের পেছনে কাজ করেছে দীর্ঘদিনের স্বৈরশাসন।
ক্ষেত্রবিশেষে ধর্মীয় গোষ্ঠীভিত্তিক বৈষম্যও গণঅসন্তোষের কারণ হয়ে
দাঁড়িয়েছিল। আলোচ্য ক্ষেত্রগুলোতে এবং তারও বহু বছর আগে ১৯৬৮ সালে ফ্রান্সে
যে গণঅভ্যুত্থানের সূচনা হয় তারও আশু কারণ ছিল তাৎক্ষণিক একটি ঘটনা।
ফ্রান্সের দ্যা গল সরকারের বিরুদ্ধে যে গণঅভ্যুত্থানের সূচনা হয় তার আশু
কারণ ছিল ফ্রান্সের বিখ্যাত সরবোরণ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের একটি
সিদ্ধান্ত। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিল- ছাত্রছাত্রীরা
একই ডরমেটরিতে একসঙ্গে থাকতে পারবে না। ছাত্রছাত্রীরা এ সিদ্ধান্তকে তাদের
মানবিক স্বাধীনতার পরিপন্থী মনে করেছিল। তারা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠল কর্তৃপক্ষ
এবং সরকারের বিরুদ্ধে। তাদের বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ল শ্রমিকের বস্তিগুলোতে। যে
আশু কারণে ছাত্র অসন্তোষের সূচনা বৃহত্তর পরিমণ্ডলে সেটা আর সেই ঘটনায়
সীমাবদ্ধ থাকল না। ছাত্রছাত্রীদের আন্দোলন পরিণত হল মেহনতি মানুষের রাষ্ট্র
প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে। এক পর্যায়ে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট দ্যা গল বাধ্য
হলেন ফ্রান্স ছেড়ে জার্মানিতে গিয়ে আশ্রয় নিতে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ছাত্র,
শ্রমিক ও তরুণদের বিশাল এই অভ্যুত্থান সফল হয়নি। কারণ ফ্রান্সের সংগঠিত
ট্রেড ইউনিয়ন যা সিজিটি নামে পরিচিত, এই গণঅভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে দাঁড়াল।
শেষ পর্যন্ত দ্যা গল রক্ষা পেলেন। তখনকার শীতল যুদ্ধের পরিস্থিতিতে
সোভিয়েতপন্থী ট্রেড ইউনিয়ন সংস্থা সিজিটি দ্যা গলের পক্ষে দাঁড়ানোই সঙ্গত
মনে করেছিল। এ থেকে বোঝা যায়, বিশ্ব ব্যবস্থায় শক্তি ও ক্ষমতার সমীকরণ একটি
দেশের গণআন্দোলনের সফলতা ও ব্যর্থতা নির্ধারণ করতে পারে।
বাংলাদেশের মতো একটি দেশে যেখানে গণতন্ত্র আছে আবার নাইও, যে দেশে আর্থসামাজিক ব্যবস্থার পরিবর্তনের ফলে একটি নতুন মধ্যবিত্ত শ্রেণীর আবির্ভাব ঘটেছে, যে দেশে মিডিয়ার স্বাধীনতা আছে এবং নাইও, সেরকম একটি দেশে গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত করা অত্যন্ত কঠিন। এ ধরনের গণতন্ত্রকে ফরিদ জাকারিয়া ওষষরনবৎধষ উবসড়পৎধপু বা অনুদার গণতন্ত্র বলে চিহ্নিত করেছিলেন। এরকম একটি দেশে গণঅভ্যুত্থান শান্তিপূর্ণ গণশক্তির বিশাল জাগরণ হিসেবে সীমাবদ্ধ থাকে না।
যেহেতু এরকম দেশ ও সমাজে বহু ধরনের স্বার্থগোষ্ঠী থাকে সে জন্য গণঅভ্যুত্থান সৃষ্টি করাও একটি কঠিন কাজ। প্রথম আলো জরিপে আমরা দেখেছি, ৫০ শতাংশের বেশি মানুষ বিএনপিকে সমর্থন করছে। আওয়ামী লীগসহ অন্যান্য দলগুলোর প্রতি মানুষের সমর্থন খণ্ডিত। এ কারণে জনগণের মধ্যে বিএনপির অবস্থান ভালো হলেও তা চূড়ান্ত নয়। বিএনপি যদি এই গণভিত্তিকে আরও সম্প্রসারিত এবং সক্রিয় করতে পারে তাহলে তাদের ফল লাভের একটি সম্ভাবনা রয়েছে। পরিস্থিতির এই অনিশ্চয়তা কাজে লাগাচ্ছে শাসক দল। কেউ কেউ মনে করেন রিমোট কন্ট্রোলের শক্তিতে তারা বলীয়ান। এই ধারণা কতটুকু সত্য তা নির্ধারণ করার সুযোগ আমাদের নেই। তবে একটা কথা পরম সত্য যে, সত্যিকার অর্থে জনগণ চাইলে আজ হোক বা কাল হোক কিংবা অর্ধদশক পরে হোক জনগণের শক্তিকে শেষ পর্যন্ত কোনো শাসকই অগ্রাহ্য করতে পারে না। এভাবে অগ্রাহ্য করলে পরিণতিও ভালো হয় না। এই সত্যটি বাংলাদেশের রাজনীতিকদের চেয়ে কেউ বেশি করে উপলব্ধি করেন বলে আমার মনে হয় না। তবুও সমস্যা কেন, সংকট কেন সৃষ্টি হচ্ছে তা বোঝা মুশকিল। রাজনৈতিক দলগুলো যদি মানুষের মনোভাবকে বিবেচনায় নেয় এবং তারা যদি সুদূরপ্রসারী দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করে তাহলে এমন সমস্যা সৃষ্টি হয় না। যারা দেশের মঙ্গল চায়, জনজীবনে শান্তি ও নিরাপত্তা চায় তারা সঙ্গতভাবেই আশা করতে পারে যে, তাদের ভাগ্য নির্ধারণকারী রাজনৈতিক দলগুলো কাক্সিক্ষত আচরণ করবে। কিন্তু কেন এমনটি হচ্ছে না। সেটি এক দুর্গেয় রহস্য। অবস্থা দেখে মনে হয় নেতা-নেত্রীরা ঝুঁকি গ্রহণ করা পছন্দ করেন। অর্থনীতিবিদরা মানুষকে দুটি শ্রেণীতে বিভক্ত করে এক ধরনের বিশ্লেষণ করেন। এই শ্রেণী দুটি হল- ঝুঁকি পছন্দকারী এবং ঝুঁকি পরিহারকারী গোষ্ঠী। ঝুঁকি গ্রহণের সুবিধা হল, হয় ভালো মুনাফা হবে অথবা হবে না। যারা ঝুঁকি পরিহার করেন- তারা ভালো মুনাফার আশা করতে পারে না, কিন্তু একটি নিস্তরঙ্গ ও ঝুটঝামেলামুক্ত জীবন আশা করতে পারেন এরকম জীবনযাপনে সমৃদ্ধি আশা করা যায় না। আমরা কি তাহলে বলব আমাদের নেতা-নেত্রীরা ঝুঁকি গ্রহণই পছন্দ করেন? মনে রাখতে হবে, ব্যক্তিজীবনে ঝুঁকি গ্রহণ এবং সমষ্টি জীবনে ঝুঁকি গ্রহণের মধ্যে পার্থক্য আছে। সমষ্টিকে নিয়ে ঝুঁকি গ্রহণের ফলে মারাত্মক ধরনের সামাজিক বিপর্যয় ঘটে যেতে পারে। কাজেই সমষ্টিকে নিয়ে অর্থাৎ গোটা জাতিকে নিয়ে ঝুঁকির চর্চা করতে হলে সাবধানী হতে হয়। সামষ্টিক ক্ষেত্রে সংঘাতের চেয়ে সমঝোতাই উত্তম পথ।
অন্তত দর্শনের একটি বিখ্যাত দৃষ্টান্ত Prisoners Dilemma আমাদের তাই বলে। অর্থাৎ প্রতিদ্বন্দ্বিতার তুলনায় সহযোগিতাই কাম্য। সহযোগিতার সুফল সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা থাকলে সময়মতো সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়াই সদিচ্ছার প্রতিফলন হবে। আমরা চাই সবার সুমতি হোক। পারস্পরিক হননের পন্থা পরিহার করে সর্বজনগ্রাহ্য একটি সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক প্রতিপক্ষগুলো আমাদের দেবে। অন্যথায় বাংলাদেশের যেসব অর্জন নিয়ে আমরা গর্ব করি সেসব হারিয়ে যেতে পারে। সমঝোতা অর্জনের জন্য সব পক্ষকে শক্তি ও সাহস দেখাতে হবে। শত বিরোধ সত্ত্বেও আমাদের দুই প্রধান নেত্রী ঈদের সময় শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এই শুভেচ্ছা বিনিময়কে আরও অর্থবহ করে তোলার সুযোগ এবারের ঈদুল আজহাতে এসেছে। এরকম অর্থবহ শুভেচ্ছা বিনিময় হলে ২৫ অক্টোবরকে কেন্দ্র করে যে উদ্বেগ ও উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে তার পরিসমাপ্তি হবে। শান্তি ও স্বস্তির জীবনের প্রতি আমাদের আকাক্সক্ষা বাস্তবের মুখ দেখবে।
ড. মাহবুব উল্লাহ্ : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক
বাংলাদেশের মতো একটি দেশে যেখানে গণতন্ত্র আছে আবার নাইও, যে দেশে আর্থসামাজিক ব্যবস্থার পরিবর্তনের ফলে একটি নতুন মধ্যবিত্ত শ্রেণীর আবির্ভাব ঘটেছে, যে দেশে মিডিয়ার স্বাধীনতা আছে এবং নাইও, সেরকম একটি দেশে গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত করা অত্যন্ত কঠিন। এ ধরনের গণতন্ত্রকে ফরিদ জাকারিয়া ওষষরনবৎধষ উবসড়পৎধপু বা অনুদার গণতন্ত্র বলে চিহ্নিত করেছিলেন। এরকম একটি দেশে গণঅভ্যুত্থান শান্তিপূর্ণ গণশক্তির বিশাল জাগরণ হিসেবে সীমাবদ্ধ থাকে না।
যেহেতু এরকম দেশ ও সমাজে বহু ধরনের স্বার্থগোষ্ঠী থাকে সে জন্য গণঅভ্যুত্থান সৃষ্টি করাও একটি কঠিন কাজ। প্রথম আলো জরিপে আমরা দেখেছি, ৫০ শতাংশের বেশি মানুষ বিএনপিকে সমর্থন করছে। আওয়ামী লীগসহ অন্যান্য দলগুলোর প্রতি মানুষের সমর্থন খণ্ডিত। এ কারণে জনগণের মধ্যে বিএনপির অবস্থান ভালো হলেও তা চূড়ান্ত নয়। বিএনপি যদি এই গণভিত্তিকে আরও সম্প্রসারিত এবং সক্রিয় করতে পারে তাহলে তাদের ফল লাভের একটি সম্ভাবনা রয়েছে। পরিস্থিতির এই অনিশ্চয়তা কাজে লাগাচ্ছে শাসক দল। কেউ কেউ মনে করেন রিমোট কন্ট্রোলের শক্তিতে তারা বলীয়ান। এই ধারণা কতটুকু সত্য তা নির্ধারণ করার সুযোগ আমাদের নেই। তবে একটা কথা পরম সত্য যে, সত্যিকার অর্থে জনগণ চাইলে আজ হোক বা কাল হোক কিংবা অর্ধদশক পরে হোক জনগণের শক্তিকে শেষ পর্যন্ত কোনো শাসকই অগ্রাহ্য করতে পারে না। এভাবে অগ্রাহ্য করলে পরিণতিও ভালো হয় না। এই সত্যটি বাংলাদেশের রাজনীতিকদের চেয়ে কেউ বেশি করে উপলব্ধি করেন বলে আমার মনে হয় না। তবুও সমস্যা কেন, সংকট কেন সৃষ্টি হচ্ছে তা বোঝা মুশকিল। রাজনৈতিক দলগুলো যদি মানুষের মনোভাবকে বিবেচনায় নেয় এবং তারা যদি সুদূরপ্রসারী দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করে তাহলে এমন সমস্যা সৃষ্টি হয় না। যারা দেশের মঙ্গল চায়, জনজীবনে শান্তি ও নিরাপত্তা চায় তারা সঙ্গতভাবেই আশা করতে পারে যে, তাদের ভাগ্য নির্ধারণকারী রাজনৈতিক দলগুলো কাক্সিক্ষত আচরণ করবে। কিন্তু কেন এমনটি হচ্ছে না। সেটি এক দুর্গেয় রহস্য। অবস্থা দেখে মনে হয় নেতা-নেত্রীরা ঝুঁকি গ্রহণ করা পছন্দ করেন। অর্থনীতিবিদরা মানুষকে দুটি শ্রেণীতে বিভক্ত করে এক ধরনের বিশ্লেষণ করেন। এই শ্রেণী দুটি হল- ঝুঁকি পছন্দকারী এবং ঝুঁকি পরিহারকারী গোষ্ঠী। ঝুঁকি গ্রহণের সুবিধা হল, হয় ভালো মুনাফা হবে অথবা হবে না। যারা ঝুঁকি পরিহার করেন- তারা ভালো মুনাফার আশা করতে পারে না, কিন্তু একটি নিস্তরঙ্গ ও ঝুটঝামেলামুক্ত জীবন আশা করতে পারেন এরকম জীবনযাপনে সমৃদ্ধি আশা করা যায় না। আমরা কি তাহলে বলব আমাদের নেতা-নেত্রীরা ঝুঁকি গ্রহণই পছন্দ করেন? মনে রাখতে হবে, ব্যক্তিজীবনে ঝুঁকি গ্রহণ এবং সমষ্টি জীবনে ঝুঁকি গ্রহণের মধ্যে পার্থক্য আছে। সমষ্টিকে নিয়ে ঝুঁকি গ্রহণের ফলে মারাত্মক ধরনের সামাজিক বিপর্যয় ঘটে যেতে পারে। কাজেই সমষ্টিকে নিয়ে অর্থাৎ গোটা জাতিকে নিয়ে ঝুঁকির চর্চা করতে হলে সাবধানী হতে হয়। সামষ্টিক ক্ষেত্রে সংঘাতের চেয়ে সমঝোতাই উত্তম পথ।
অন্তত দর্শনের একটি বিখ্যাত দৃষ্টান্ত Prisoners Dilemma আমাদের তাই বলে। অর্থাৎ প্রতিদ্বন্দ্বিতার তুলনায় সহযোগিতাই কাম্য। সহযোগিতার সুফল সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা থাকলে সময়মতো সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়াই সদিচ্ছার প্রতিফলন হবে। আমরা চাই সবার সুমতি হোক। পারস্পরিক হননের পন্থা পরিহার করে সর্বজনগ্রাহ্য একটি সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক প্রতিপক্ষগুলো আমাদের দেবে। অন্যথায় বাংলাদেশের যেসব অর্জন নিয়ে আমরা গর্ব করি সেসব হারিয়ে যেতে পারে। সমঝোতা অর্জনের জন্য সব পক্ষকে শক্তি ও সাহস দেখাতে হবে। শত বিরোধ সত্ত্বেও আমাদের দুই প্রধান নেত্রী ঈদের সময় শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এই শুভেচ্ছা বিনিময়কে আরও অর্থবহ করে তোলার সুযোগ এবারের ঈদুল আজহাতে এসেছে। এরকম অর্থবহ শুভেচ্ছা বিনিময় হলে ২৫ অক্টোবরকে কেন্দ্র করে যে উদ্বেগ ও উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে তার পরিসমাপ্তি হবে। শান্তি ও স্বস্তির জীবনের প্রতি আমাদের আকাক্সক্ষা বাস্তবের মুখ দেখবে।
ড. মাহবুব উল্লাহ্ : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক
No comments