রাজধানীতে বেপরোয়া চাঁদাবাজী by যুবায়ের আলম
রাজধানীসহ সারাদেশের বিভিন্ন রোডে ঈদকে
সামনে রেখে হাইওয়ে রোডে বিভিন্ন মোড়ে ও ষ্ট্যান্ডে চলছে বেপরোয়া
চাঁদাবাজী। সিটি কর্পোরেশন এলাকা ও পৌর এলকার বিশেষ ষ্ট্যান্ডে চাঁদাবাজী
চলছে।
চাঁদাবাজির কারণে বিভিন্ন পরিবহনে ঈদকে সামনে রেখে
অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে। আর এই ভাড়া আদায়ের সাথে সহাযোগীতা করছে বিভিন্ন
মালিক সমিতির সদস্যরা। পাশাপাশি পরিবহন থেকে বিভিন্ন পন্থায় অবলম্বন করে
শ্রমিকদের কল্যাণে অর্থ ব্যায়ের নামে টিকেট নিয়ে করছে চাঁদাবাজী। এছাড়া
ট্রাফিক বিভাগ গুলোর সদস্যরা নিজেদের ইনকাম নিয়ে ব্যাস্ত। যানযট আর
ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ। যাত্রাবাড়ী একটি জনবহুল এলাকা এটা সাবাই জানে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহা-সড়ক। আর পরিবহন খাতে চাঁদাবাজী শুরু সায়দাবাদ
টারর্মিনাল এলাকা থেকে। যেখানে বিপুল সংখ্যক আইন শৃংখলার সদস্য মোতায়ন রাখা
হয় অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও চাঁদাবাজী প্রতিহত করার জন্য মাইকিং করে সাবাইকে
প্রতি ঘন্টায় তা জানানো হয়। কিন্তু সরেজমিনে তার ব্যাতিক্রম চিত্র উঠে আসে
সংবাদ কর্মীদের কাছে। যানযট লাগিয়ে ভাড়া দর কসা-কসি করে যাত্রীদের সাথে
দূরব্যবহার করে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষায় রেখে জিম্মি করে রাখে সাধারণ
যাত্রীদের। টার্মিনাল থেকে বেরিয়ে দিতে হচ্ছে ট্রাফিক কনষ্ট্রেবলদের ১০০
থেকে ৫০ টাকা। এর পর যাত্রীনিয়ে যাত্রবাড়ী মোড়ে বাস থামায় চালক ও সহকারী
এখানেও লেগে থাকে কয়েক ঘন্টার জ্যাম যাত্রী তুলতেই শুরু হয় চাঁদাবাজী দিতে
হবে শ্রমিক পরিবহন খাতে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা সাথে ট্রাফিক বক্সে ডেমরা জোন
কনষ্ট্রেবল থেকে শুরু করে সারজেন্ট, টি,আই, এসিসহ সকলকেই। অন্যদিকে ট্রাফিক
ব্যাস্ত ঈদ নিয়ে কোন গাড়ী রেকার এ ড্যামপিং হবে। কোন গাড়ীর কাগজ ঠিক নেই,
এই ড্রাইভার তোমার লাইসেন্স ঠিক নাই। বিভিন্ন পরিবহনের সাথেই এরুপ আচরণ
দেখা যায়। আসলে অধিকাংশ বাস, ট্রাক, কার্গোসহ চালকদের অধিকাংশই কাগজ ঠিক
নেই। শুধু মামলার ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজী করে যাচ্ছে ট্রাফিক বিভাগ। যতটুকু
মামলা দেওয়ার দরকার তার কোনটাই করছেনা ট্রাফিক বিভাগ। প্রতিনিয়ত মাস শেষে
টাকা গুনছে। এরপর নারায়নগঞ্জ এর সিদ্দিরগঞ্জ থানা আওতাধীন এলাকা চিটাগাং
রোড নামে একটি বাস ষ্ট্যান্ড কাঁচপুর ব্রীজ এর পূর্বে এখানেও চলছে র্টানিং
পয়েন্টে চাঁদাবাজীর টিকেট দিয়ে বিভিন্ন পরিবহনে ঢাকাসহ নারায়নগঞ্জ এর
সি.এস.জি অটোরিক্সা, কভার ভ্যান ও বাস সার্ভিসে। এখানেও ফুট পাত এর পাশ
ঘিরে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন পরিবহনের বাস কাউন্টার। এখানেও চলছে চাঁদাবাজীর ধুম
যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়। পাশাপাশি মিনি বাসগুলোর পরিবহন
রুট নিয়ম ভঙ্গ করে যাত্রীদের কাছ থেকে চিটাগাং রোড হইতে গুলিস্থান পর্যন্ত
২০ টাকা ভাড়া আদায় করছে। সিটিং সার্ভিস বলে তারা গুলিস্থান থেকেও একই ভাবে
যাত্রী বহন করতে তারাব, শ্রাবন, কোমল মিনিবাস, মেঘলা হিমালয়সহ আরো বিভিন্ন
পরিবহন। তাদের নিজেদের ইচ্ছেমত ভাড়ার তালিকা ঝলিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে
এইভাবে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। পরিবহন গুলোর নাই কোন ভালো বসার সু-ব্যবস্থা।
হঠাৎ রাস্তার মাঝে থেমে যাচ্ছে গন্তব্যে পৌছাবার পূবেই। একইভাবে ঢাকামূখী
বিভিন্ন পশুরহাটে পশু বোঝায় ট্রাক গুলো থেকেও চাঁদা আদায় করছে আইন
শৃংঙ্খলার সদস্যরা। সূত্র থেকে যানাযায় এরা সকল পরিবহন মালিকরাই ট্রাফিক
বক্স এর সাথে লিয়াজু মেনেই পরিবহন গুলো এভাবে রাস্তায় নামিয়ে যাত্রীদের
ভোগান্তিতে ফেলছে। আর এই পরিবহনের অব্যবস্থার কারনেই যানযট রাজধানীসহ
বিভিন্নস্থানে লেগেই থাকে। এর প্রতিকার শুধু ট্রাফিক বিভাগের নয় পরিবহনের
মন্ত্রনালয় ও দপ্তর গুলোতে বদলাতে হবে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
No comments