৫ নম্বর ক্যাটাগরির হারিকেন পাইলিন
ভিয়েতনামের হো চি মিন সিটির পশ্চিমে থাইল্যান্ড উপসাগরের মৌসুমি নিুচাপ হিসেবে প্রথমে একটি ঝড়কে শনাক্ত করা হয়। ঝড়টি মালয় উপদ্বীপ অতিক্রম করে ওয়েস্টার্ন প্যাসিফিক বেসিনের ওপর দিয়ে বয়ে যায় ৬ অক্টোবর। এরপরের দিন আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে নতুন রূপে দেখা দেয় ঝড়টির এবং পশ্চিম-উত্তরাঞ্চলের দিকে এগিয়ে যায়। ৯ অক্টোবর ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে আবহাওয়াবিদরা এর নাম দেয় পাইলিন। পাইলিন আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের ওপর দিয়ে বঙ্গোপসাগরে স্থানান্তরিত হয়। বঙ্গোপসাগরে অবস্থান নেয়ার পর ঘূর্ণিঝড়টি দ্রুত শক্তিশালী হতে থাকে এবং চোখের মতো রূপ নেয়। ১০ অক্টোবর খুবই শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়। ওই সময় আবহাওয়াবিদরা ঝড়টিকে হারিকেন ১ ক্যাটাগরিভুক্ত করেন। ১১ অক্টোবর পাইলিনের মাত্রা বাড়লে একে হারিকেন ৪ ক্যাটাগরিভুক্ত করেন আবহাওয়াবিদরা।
এর আগে ঝড়টি নতুন রূপ নেয়। ১১ অক্টোবর দিনের শেষ ভাগে পাইলিনের শক্তির মাত্রা বাড়লে ৪ থেকে বাড়িয়ে ৫ ক্যাটাগরির হারিকেনভুক্ত করা হয়। সাফির-সিম্পসন হারিকেন স্কেল মতে, হারিকেনের ক্যাটাগরি ৫ হচ্ছে ভয়াবহতার দিক দিয়ে দ্বিতীয়তম। এরপরের ক্যাটাগরিটি হচ্ছে ৬। অতীতে আঘাত হানা ক্যাটাগরি ৫ হারিকেনগুলো হচ্ছে- ১৯৩৫ সালের লেবার ডে হারিকেন, ১৯৫৫ সালের জানেট, ১৯৫৯ সালের মেক্সিকো হারিকেন, ১৯৬৯ সালের ক্যামেলি, ১৯৭৭ সালের আনিতা, ১৯৭৯ সালের ডেভিড, ১৯৮৮ সালে গিলবার্ট, ১৯৯২ অ্যান্ড্রু, ২০০৭ সালের ডিন ও ফেলিক্স। পাইলিনের প্রভাবে থাইল্যান্ড, মিয়ানমার, ভারতের আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে তেমন ক্ষয়ক্ষতি না হলেও ভারতের অন্ধ্র ও উড়িষ্যা প্রদেশে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হবে। ঝড়টিকে এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন ভারতীয় আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা। হারিকেনের আঘাতে হতাহতের সংখ্যা শূন্য রাখতে পূর্ব সতর্কতামূলক প্রস্তুতি নিয়েছে ভারতের অন্ধ্র ও উড়িষ্যা প্রদেশ সরকার।
No comments