কথা সামান্যই-দুঃখিত, নির্বাচন নির্দলীয় হয় নাই by ফজলুল আলম
দেশে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন
হয়ে গেল, কলামিস্ট, টক শো, খবর- সর্বত্র সেসব নিয়ে প্রচুর শব্দ ব্যয় হয়েছে,
এই লেখার সময় পর্যন্ত বিদেশে বসে যা শুনলাম তাতে মনে হচ্ছে যে নির্বাচন
সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে বলে সরকার তৃপ্ত, যদিও এর অন্য ব্যাখ্যা অনেকে
করছেন।
গাফ্ফার ভাই তো গত মঙ্গলবার (জুলাই ৯) বলেই দিলেন
যে প্রধানমন্ত্রী বেসরকারি লন্ডন সফরকালে সেই সব নির্বাচনে আওয়ামী লীগের
হারা নিয়ে মোটেই চিন্তিত ছিলেন না। একই সংখ্যায় সুশীল সমাজের একজন কোনো এক
চ্যানেলে সাক্ষাৎকারে বলেছেন, নির্বাচন যেহেতু সুষ্ঠু হয়েছে, এখন তাহলে
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মানলে আওয়ামী লীগের ক্ষতি হবে না। আমি এই দুটির
কোনোটিতেই স্বস্তিবোধ করছি না। মনে হয় গাফ্ফার ভাই প্রধানমন্ত্রীর মনের
মধ্যকার অবস্থা নিজের মতো করে ব্যাখ্যা করে সন্তুষ্ট আছেন; আসলে
প্রধানমন্ত্রীর মনে কী ঝড় বইছে বা কতটা দুশ্চিন্তা ও ক্ষোভ আছে তা যদি তিনি
ব্যক্তিগত অনুষ্ঠানে প্রকাশ করতেন তা মোটেই গ্রহণযোগ্য হতো না। অন্য টক
শোর বক্তা এই নির্বাচনগুলোর কার্যকলাপ থেকে 'তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে
নির্বাচন দেওয়া যেতে পারে'- এ কথা বলার পক্ষে আমি কোনো যুক্তি খুঁজে পেলাম
না।
সবচেয়ে দুঃখের বিষয় বড় বড় কলামিস্ট ও টক শো এক্সপার্টরা কেউই বললেন না যে এই নির্বাচনগুলোর কোনোটিই নির্দলীয় হয়নি। নির্বাচন এসে গেলেই রাজনৈতিক দলগুলো মাঠে নামবে, তা সেই নির্বাচন সংবিধান মতে নির্দলীয় হলেও। নির্দলীয় নামেমাত্র, পুরোটাই দলীয় হয়েছে বলেই অনেকে (গাফ্ফার ভাইসহ) ভাবছেন আওয়ামী লীগের ভরাডুবি হয়েছে। কিছুদিন আগে এই কলামে আমি 'নির্দলীয় গণতন্ত্রে'র পক্ষে লিখেছিলাম; কয়েকজন পাঠক আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন আমি আসলেই কী চাই? আমি কি একদলীয় (যেমন বাকশাল) সরকারের পক্ষে? অনেকে আমাকে বিদ্রূপ করেছেন এই বলে, পাগল আর কি! আমি কিন্তু আমার মস্তিষ্কের ভারসাম্য সম্পর্কে মোটেই দুশ্চিন্তায় নেই, উল্টো রাজনৈতিক সমালোচকদের জ্ঞানের পরিধি সম্পর্কে আমার সন্দেহ বেড়ে গেল। 'নির্দলীয় গণতন্ত্র' অর্থ হলো, নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী ব্যক্তি নিজের যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা দিয়ে এলাকা বা দেশের কাজে অবদান রাখতে পারবে- তাঁকে যাচাই করে নিয়ে এমন কী চরিত্র বিচার করে ভোটাররা তাঁকে সমর্থন দেবে বা দেবে না। ইংল্যান্ডের কাছে চ্যানেল আইল্যান্ডে এই ব্যবস্থা বহুদিন থেকে বলবৎ আছে। ইউরোপের কোনো কোনো দেশে স্থানীয় সরকার নির্দলীয় বলে ঘোষিত আছে। সমস্যা হলো, আমাদের দেশে এ ধরনের নির্দলীয় নির্বাচনেও দলীয় নির্বাচনের মতোই পেশিশক্তি ও দলীয় সমর্থনের ব্যবহার হচ্ছে এবং প্রার্থীদের যোগ্যতার কোনো পরিমাপ করার পথে ভোটাররা গিয়েছেন বা যেতে সমর্থন হয়েছেন বলে মনে হয় না। গাজীপুর-টঙ্গীর অভিজ্ঞতা ও প্রেক্ষিত কেউই ধর্তব্যের মধ্যে নিয়েছেন বলে মনে হয় না। নির্বাচন কমিশন যদি সত্যিকারভাবে কাজ করত, তাহলে এই স্থানীয় নির্বাচনে এবং জাতীয় নির্বাচনেও যে কতজনের প্রার্থিতা বাতিল হতো তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
কিছুদিন আগে এই পত্রিকায় একজন কলাম লেখক দেশের রাজনীতিবিদদের ভাষা ব্যবহার সম্পর্কে খুব বড় বড় কথা লিখেছেন- তাঁকে এবং তাঁদের মতো অনেক কলামিস্টকে আমরা চিনি। বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় তাঁরা ইচ্ছুক হলেও পাকিস্তানের পক্ষে সম্মুখ-সমরে যুদ্ধ করতে পারেননি, কিন্তু পশ্চাৎ-সমরে ঠিকই যুদ্ধ করেছিলেন। তাঁদের একজনের বাংলাদেশের নাগরিকত্বও চলে যায়। তিনি তখন বিলেতে বসে শেখ মুজিবুর রহমানের, এমনকি অধ্যাপক সারওয়ার মুর্শিদের মুণ্ডুপাত করতে যে ভাষা ব্যবহার করেছিলেন তা এখন তাঁর মনে থাকার কথা, অথচ শেখ মুজিবুর রহমানের ক্ষমা পেয়ে তিনিই এখন রাজনীতিবিদদের ভাষা সংযত করতে বলেন।
এসব সুবিধাবাদী ব্যক্তি ও বহুদলীয় নির্বাচন সমর্থনকারী ব্যক্তিদের কাছে আমার সবিনয় অনুরোধ, তাঁরা যেন তাঁদের পাণ্ডিত্য ও প্রজ্ঞা দিয়ে এসব প্রহসনমূলক নির্বাচনের বিকল্প এমন কিছু খুঁজে বের করেন যাতে যথাযথ যোগ্য ব্যক্তি নির্বাচনে আসতে পারেন। যথাযথ যোগ্য ব্যক্তি কে হবেন? বাংলার দুর্জয় মানুষের মধ্যে কি সত্যিকার রাজনীতি করার যোগ্য ব্যক্তির অভাব আছে? নেই নিশ্চয়ই, কিন্তু তাদের পক্ষে পার্টির গহ্বরে বা ব্যক্তিপর্যায়ে কোটি কোটি টাকা দেওয়ার ক্ষমতা নেই। আমাদের প্রয়োজন এমন একটি রাজনৈতিক ব্যবস্থা, যেখানে কিভাবে দেশের উন্নয়ন করা হবে সে রকমের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন করার কাঠামো থাকবে। আমাদের আয়-ব্যয়ে সামঞ্জস্য থাকতে হবে। কিছুদিন আগে অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ফরাসউদ্দিন পরিষ্কার দেখিয়েছেন কী মারপ্যাঁচে বাংলাদেশি টাকার ঊর্ধ্ব বা নিম্নগতিতে রপ্তানি বাড়ার চেয়ে কমার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
আমাদের আরো প্রয়োজন বিদেশের উন্নত দেশের মতো হতে চাওয়ার 'ফানুস-বাসনা' পরিত্যাগ করা, আমাদের প্রয়োজন প্রতিটি উৎপাদনের সঙ্গে মাঠপর্যায়ের কর্মীদের সম্পর্ক স্থির করা, পুকুরচুরিজাতীয় দুর্নীতির সুযোগ না দেওয়া, বড়লোক ও অভিজাতরা যাতে আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে বেরিয়ে না যেতে পারে তার জন্য কড়া ও নিরপেক্ষ শাসনব্যবস্থা কায়েম করা। আমাদের দৃষ্টি নগরায়ণ ও বিদেশি পণ্য থেকে ফিরিয়ে এনে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে আনতে হবে- এ রকম আরো অনেক কিছুর ফিরিস্তি দেওয়া সম্ভব কিন্তু দিলে লাভ হবে না। আমাদের বিদ্বজ্জনরা মেনেই নিয়েছেন এখনকার গণতন্ত্রকে, জেনেশুনেও যে এই গণতন্ত্রে প্রধান পৃষ্ঠপোষক হচ্ছেন দুর্নীতিবাজরা, সাধারণ মানুষকে শোষণ করার ক্ষমতাবানরা- সে জন্যই না আমরা পারিবারিক নেতৃত্বের বলয় থেকে বেরিয়ে আসতে পারি না (ভারতও পারে না, কিন্তু শ্রীলঙ্কা পারে)। ৬ জুলাই লন্ডনে তারেকের সমর্থক 'মাত্র দুইশত' হলেও ব্রিটিশ পরিস্থিতিতে সেটা বিশাল। পারিবারিক দলীয় গণতন্ত্রে তারেকরাই আমাদের রাজনীতিবিদ- এ অবস্থা থেকে আমরা পরিত্রাণ পাব কিভাবে? আমাদের দেশের মানুষ দুর্জয় হলেও তাদের ভেড়া বানিয়ে রেখেছে গতানুগতিক শিক্ষা, অশিক্ষা, কুশিক্ষা সব মিলে। দোহাই কলাম লেখক ও টক শোর ব্যক্তিবর্গ- একটু ভাবুন, অন্যদের ভুল ধরার চেয়ে নিজেরা যেসব ভুল ধারণা নিয়ে বসে আছেন সেসব খুঁজে দেখুন।
লেখক : কথাসাহিত্যিক ও গবেষক।
লেখাটি লন্ডন থেকে প্রেরিত।
সবচেয়ে দুঃখের বিষয় বড় বড় কলামিস্ট ও টক শো এক্সপার্টরা কেউই বললেন না যে এই নির্বাচনগুলোর কোনোটিই নির্দলীয় হয়নি। নির্বাচন এসে গেলেই রাজনৈতিক দলগুলো মাঠে নামবে, তা সেই নির্বাচন সংবিধান মতে নির্দলীয় হলেও। নির্দলীয় নামেমাত্র, পুরোটাই দলীয় হয়েছে বলেই অনেকে (গাফ্ফার ভাইসহ) ভাবছেন আওয়ামী লীগের ভরাডুবি হয়েছে। কিছুদিন আগে এই কলামে আমি 'নির্দলীয় গণতন্ত্রে'র পক্ষে লিখেছিলাম; কয়েকজন পাঠক আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন আমি আসলেই কী চাই? আমি কি একদলীয় (যেমন বাকশাল) সরকারের পক্ষে? অনেকে আমাকে বিদ্রূপ করেছেন এই বলে, পাগল আর কি! আমি কিন্তু আমার মস্তিষ্কের ভারসাম্য সম্পর্কে মোটেই দুশ্চিন্তায় নেই, উল্টো রাজনৈতিক সমালোচকদের জ্ঞানের পরিধি সম্পর্কে আমার সন্দেহ বেড়ে গেল। 'নির্দলীয় গণতন্ত্র' অর্থ হলো, নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী ব্যক্তি নিজের যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা দিয়ে এলাকা বা দেশের কাজে অবদান রাখতে পারবে- তাঁকে যাচাই করে নিয়ে এমন কী চরিত্র বিচার করে ভোটাররা তাঁকে সমর্থন দেবে বা দেবে না। ইংল্যান্ডের কাছে চ্যানেল আইল্যান্ডে এই ব্যবস্থা বহুদিন থেকে বলবৎ আছে। ইউরোপের কোনো কোনো দেশে স্থানীয় সরকার নির্দলীয় বলে ঘোষিত আছে। সমস্যা হলো, আমাদের দেশে এ ধরনের নির্দলীয় নির্বাচনেও দলীয় নির্বাচনের মতোই পেশিশক্তি ও দলীয় সমর্থনের ব্যবহার হচ্ছে এবং প্রার্থীদের যোগ্যতার কোনো পরিমাপ করার পথে ভোটাররা গিয়েছেন বা যেতে সমর্থন হয়েছেন বলে মনে হয় না। গাজীপুর-টঙ্গীর অভিজ্ঞতা ও প্রেক্ষিত কেউই ধর্তব্যের মধ্যে নিয়েছেন বলে মনে হয় না। নির্বাচন কমিশন যদি সত্যিকারভাবে কাজ করত, তাহলে এই স্থানীয় নির্বাচনে এবং জাতীয় নির্বাচনেও যে কতজনের প্রার্থিতা বাতিল হতো তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
কিছুদিন আগে এই পত্রিকায় একজন কলাম লেখক দেশের রাজনীতিবিদদের ভাষা ব্যবহার সম্পর্কে খুব বড় বড় কথা লিখেছেন- তাঁকে এবং তাঁদের মতো অনেক কলামিস্টকে আমরা চিনি। বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় তাঁরা ইচ্ছুক হলেও পাকিস্তানের পক্ষে সম্মুখ-সমরে যুদ্ধ করতে পারেননি, কিন্তু পশ্চাৎ-সমরে ঠিকই যুদ্ধ করেছিলেন। তাঁদের একজনের বাংলাদেশের নাগরিকত্বও চলে যায়। তিনি তখন বিলেতে বসে শেখ মুজিবুর রহমানের, এমনকি অধ্যাপক সারওয়ার মুর্শিদের মুণ্ডুপাত করতে যে ভাষা ব্যবহার করেছিলেন তা এখন তাঁর মনে থাকার কথা, অথচ শেখ মুজিবুর রহমানের ক্ষমা পেয়ে তিনিই এখন রাজনীতিবিদদের ভাষা সংযত করতে বলেন।
এসব সুবিধাবাদী ব্যক্তি ও বহুদলীয় নির্বাচন সমর্থনকারী ব্যক্তিদের কাছে আমার সবিনয় অনুরোধ, তাঁরা যেন তাঁদের পাণ্ডিত্য ও প্রজ্ঞা দিয়ে এসব প্রহসনমূলক নির্বাচনের বিকল্প এমন কিছু খুঁজে বের করেন যাতে যথাযথ যোগ্য ব্যক্তি নির্বাচনে আসতে পারেন। যথাযথ যোগ্য ব্যক্তি কে হবেন? বাংলার দুর্জয় মানুষের মধ্যে কি সত্যিকার রাজনীতি করার যোগ্য ব্যক্তির অভাব আছে? নেই নিশ্চয়ই, কিন্তু তাদের পক্ষে পার্টির গহ্বরে বা ব্যক্তিপর্যায়ে কোটি কোটি টাকা দেওয়ার ক্ষমতা নেই। আমাদের প্রয়োজন এমন একটি রাজনৈতিক ব্যবস্থা, যেখানে কিভাবে দেশের উন্নয়ন করা হবে সে রকমের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন করার কাঠামো থাকবে। আমাদের আয়-ব্যয়ে সামঞ্জস্য থাকতে হবে। কিছুদিন আগে অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ফরাসউদ্দিন পরিষ্কার দেখিয়েছেন কী মারপ্যাঁচে বাংলাদেশি টাকার ঊর্ধ্ব বা নিম্নগতিতে রপ্তানি বাড়ার চেয়ে কমার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
আমাদের আরো প্রয়োজন বিদেশের উন্নত দেশের মতো হতে চাওয়ার 'ফানুস-বাসনা' পরিত্যাগ করা, আমাদের প্রয়োজন প্রতিটি উৎপাদনের সঙ্গে মাঠপর্যায়ের কর্মীদের সম্পর্ক স্থির করা, পুকুরচুরিজাতীয় দুর্নীতির সুযোগ না দেওয়া, বড়লোক ও অভিজাতরা যাতে আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে বেরিয়ে না যেতে পারে তার জন্য কড়া ও নিরপেক্ষ শাসনব্যবস্থা কায়েম করা। আমাদের দৃষ্টি নগরায়ণ ও বিদেশি পণ্য থেকে ফিরিয়ে এনে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে আনতে হবে- এ রকম আরো অনেক কিছুর ফিরিস্তি দেওয়া সম্ভব কিন্তু দিলে লাভ হবে না। আমাদের বিদ্বজ্জনরা মেনেই নিয়েছেন এখনকার গণতন্ত্রকে, জেনেশুনেও যে এই গণতন্ত্রে প্রধান পৃষ্ঠপোষক হচ্ছেন দুর্নীতিবাজরা, সাধারণ মানুষকে শোষণ করার ক্ষমতাবানরা- সে জন্যই না আমরা পারিবারিক নেতৃত্বের বলয় থেকে বেরিয়ে আসতে পারি না (ভারতও পারে না, কিন্তু শ্রীলঙ্কা পারে)। ৬ জুলাই লন্ডনে তারেকের সমর্থক 'মাত্র দুইশত' হলেও ব্রিটিশ পরিস্থিতিতে সেটা বিশাল। পারিবারিক দলীয় গণতন্ত্রে তারেকরাই আমাদের রাজনীতিবিদ- এ অবস্থা থেকে আমরা পরিত্রাণ পাব কিভাবে? আমাদের দেশের মানুষ দুর্জয় হলেও তাদের ভেড়া বানিয়ে রেখেছে গতানুগতিক শিক্ষা, অশিক্ষা, কুশিক্ষা সব মিলে। দোহাই কলাম লেখক ও টক শোর ব্যক্তিবর্গ- একটু ভাবুন, অন্যদের ভুল ধরার চেয়ে নিজেরা যেসব ভুল ধারণা নিয়ে বসে আছেন সেসব খুঁজে দেখুন।
লেখক : কথাসাহিত্যিক ও গবেষক।
লেখাটি লন্ডন থেকে প্রেরিত।
No comments