যক্তিত্ব-সামুয়েল ইউসফ এগনন
এগনন জন্মগ্রহণ করেন ১৮৮৮ সালের ১৭ জুলাই
গালিসিয়াতে। বর্তমানে তা ইউক্রেনের অংশ। তিনি ছিলেন হিব্রু ভাষার আধুনিক
কথাসাহিত্যের অন্যতম অগ্রদূত। তিনি পরিচিত সাই এগনন নামে।
তাঁর লেখায় প্রথাগত জিউসের জীবন ও ভাষার সঙ্গে আধুনিক পৃথিবীর যে অমিল বা
সংঘাত, তা-ই ফুটে উঠেছে শৈল্পিক সৌন্দর্যের মধ্য দিয়ে। ১৯০৮ সালে তিনি
জাফায় অভিবাসিত হন। সেখানে তাঁর প্রথম গল্প প্রকাশিত হয়। ১৯১৩ সালে তিনি
জার্মানিতে চলে যান। সেখানে সাক্ষাৎ হয় এসথার মার্ক্সের সঙ্গে। তারপর দুজনে
বিয়ে করেন। জার্মানিতে তাঁর লেখা প্রকাশিত হতে থাকে। একজন প্রকাশক ও
ব্যবসায়ীর সুনজরে থাকায় তাঁর আর্থিক সংকটও কাটে। ১৯২৪ সালে দুর্ঘটনাক্রমে
আগুন লাগলে তাঁর ঘরে সংগ্রহ করা বই ও অনেক পাণ্ডুলিপি পুড়ে যায়। পরে তিনি
চলে যান জেরুজালেমে। সেখানে তাঁর পরিবারের সঙ্গে থাকেন। জেরুজালেমেও তাঁর
লাইব্রেরি আরেকবার ধ্বংস হয় ইহুদিবিরোধী দাঙ্গার সময়। এগনন জিউসের জীবন
নিয়ে লিখেছেন, কিন্তু তা তাঁর নিজস্ব চিন্তা-ভাবনা ও বিবেকের দ্বারা
পরিশ্রুত। তাঁর গল্পশৈলীতে প্রথমদিকে বাইবেলের প্রভাব ছিল। তারপর তিনি
নিজেই বলেছেন জার্মান ও ইউরোপিয়ান সাহিত্যের মাধ্যমে প্রভাবিত ছিলেন।
১৯৬৬ সালে তিনি নোবেল পুরস্কার পান। মৃত্যুবরণ করেন ১৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৭০। মৃত্যুর পর তাঁর পরিবারের সদস্যরা পড়ে থাকা লেখাগুলো প্রকাশ করেন। এগননের সব রকম স্মৃতিবস্তু ও সংগ্রহ জেরুজালেমের জাতীয় লাইব্রেরিতে রাখা হয়। তাঁর পড়াশোনা ও লেখার কাজ করার ঘরটাকেও স্মৃতি হিসেবে সংরক্ষণ করা হয়। তাঁর মহাকাব্যিক উপন্যাসটির নাম 'অনলি ইয়েস্টারডে'।
১৯৬৬ সালে তিনি নোবেল পুরস্কার পান। মৃত্যুবরণ করেন ১৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৭০। মৃত্যুর পর তাঁর পরিবারের সদস্যরা পড়ে থাকা লেখাগুলো প্রকাশ করেন। এগননের সব রকম স্মৃতিবস্তু ও সংগ্রহ জেরুজালেমের জাতীয় লাইব্রেরিতে রাখা হয়। তাঁর পড়াশোনা ও লেখার কাজ করার ঘরটাকেও স্মৃতি হিসেবে সংরক্ষণ করা হয়। তাঁর মহাকাব্যিক উপন্যাসটির নাম 'অনলি ইয়েস্টারডে'।
No comments