নাসাকা ভেঙে দিল মিয়ানমার
মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (নাসাকা)
ভেঙে দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট থেইন সেইন। রাখাইন রাজ্যে মুসলমান রোহিঙ্গাদের
মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে নাসাকার বিরুদ্ধে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে
ধারণা করা হচ্ছে।
অনলাইনে দেওয়া বিবৃতিতে প্রেসিডেন্ট সেইন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
গত রবিবার প্রেসিডেন্টের ওয়েবসাইটে বিবৃতিটি প্রকাশ করা হয়। ১২ জুলাই স্বাক্ষরিত ওই বিবৃতিতে বলা হয়, 'এতদ্বারা ঘোষণা করা হচ্ছে যে, সীমান্ত এলাকার অভিবাসন নিয়ন্ত্রণ সদর দপ্তর ভেঙে দেওয়া হয়েছে।'
রাখাইন ন্যাশনালিস্ট পার্টির নেতা ও পার্লামেন্ট সদস্য জ আই মাউং জানান, সরকারের এ সিদ্ধান্তের পেছনে নাসাকা বাহিনীর দুর্নীতির বিষয়টি কাজ করেছে। এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, 'আমি মনে করি, এখন পুলিশের হাতে ক্ষমতা গেলে পরিস্থিতির উন্নতি হবে।'
নাসাকা বাহিনী রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছে বলে অভিযোগ এনেছে নিউ ইয়র্কভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। সংস্থাটি জানায়, তারা (নাসাকা) নির্বিচারে রোহিঙ্গাদের গ্রেপ্তার ও নির্যাতন করত। এ ছাড়া রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে ঘুষও দাবি করত নাসাকা বাহিনী।
এর আগে গত মার্চে মিয়ানমারে মানবাধিকারবিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ দূত টমাস ওজেয়া কুইন্টানা রাখাইন রাজ্যে নাসাকা বাহিনীর কর্মকাণ্ড বাতিলের আহ্বান জানায়।
গত বছর জুন ও অক্টোবরে মিয়ানমারে মুসলমান রোহিঙ্গা এবং বৌদ্ধ রাখাইনদের মধ্যে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় ১৯২ জন মারা যায়। তাদের বেশির ভাগই রোহিঙ্গা। দাঙ্গায় প্রায় দেড় লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়। এ বছর মার্চেও নতুন করে দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ে। এতে মারা যায় ৪৪ জন।
সূত্র : রয়টার্স।
গত রবিবার প্রেসিডেন্টের ওয়েবসাইটে বিবৃতিটি প্রকাশ করা হয়। ১২ জুলাই স্বাক্ষরিত ওই বিবৃতিতে বলা হয়, 'এতদ্বারা ঘোষণা করা হচ্ছে যে, সীমান্ত এলাকার অভিবাসন নিয়ন্ত্রণ সদর দপ্তর ভেঙে দেওয়া হয়েছে।'
রাখাইন ন্যাশনালিস্ট পার্টির নেতা ও পার্লামেন্ট সদস্য জ আই মাউং জানান, সরকারের এ সিদ্ধান্তের পেছনে নাসাকা বাহিনীর দুর্নীতির বিষয়টি কাজ করেছে। এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, 'আমি মনে করি, এখন পুলিশের হাতে ক্ষমতা গেলে পরিস্থিতির উন্নতি হবে।'
নাসাকা বাহিনী রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছে বলে অভিযোগ এনেছে নিউ ইয়র্কভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। সংস্থাটি জানায়, তারা (নাসাকা) নির্বিচারে রোহিঙ্গাদের গ্রেপ্তার ও নির্যাতন করত। এ ছাড়া রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে ঘুষও দাবি করত নাসাকা বাহিনী।
এর আগে গত মার্চে মিয়ানমারে মানবাধিকারবিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ দূত টমাস ওজেয়া কুইন্টানা রাখাইন রাজ্যে নাসাকা বাহিনীর কর্মকাণ্ড বাতিলের আহ্বান জানায়।
গত বছর জুন ও অক্টোবরে মিয়ানমারে মুসলমান রোহিঙ্গা এবং বৌদ্ধ রাখাইনদের মধ্যে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় ১৯২ জন মারা যায়। তাদের বেশির ভাগই রোহিঙ্গা। দাঙ্গায় প্রায় দেড় লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়। এ বছর মার্চেও নতুন করে দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ে। এতে মারা যায় ৪৪ জন।
সূত্র : রয়টার্স।
No comments