ট্রেভন হত্যা মামলার রায়-যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে বিক্ষোভের ঢেউ
ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের কৃষ্ণাঙ্গ কিশোর
ট্রেভন মার্টিন হত্যা মামলার রায় নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপক বিক্ষোভ ছড়িয়ে
পড়েছে। নিউ ইয়র্ক, ওয়াশিংটন, শিকাগো, বোস্টনসহ ছোট-বড় সব শহরে সাধারণ
মানুষজন রাস্তায় প্রতিবাদ মিছিলে নেমেছে।
মামলার একমাত্র
শ্বেতাঙ্গ আসামি জর্জ জিমারম্যানকে (২৯) বেকসুর খালাস দেওয়ার ঘটনাকে
মানবাধিকারকর্মীরা 'মার্কিন বিচারব্যবস্থার ব্যর্থতা' অভিহিত করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা জনগণকে শান্ত থাকার আহ্বান
জানিয়েছেন।
২০১২ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি ফ্লোরিডার স্যানফোর্ড শহরে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায় ট্রেভন মার্টিন (১৭)। ট্রেভন যে এলাকায় নিহত হয়, সেখানকার স্বেচ্ছাসেবী প্রহরী ছিলেন জিমারম্যান। কথাকাটাকাটির জের ধরে নিরস্ত্র ট্রেভনকে বিনা কারণে গুলি করেন তিনি। তবে জিমারম্যান দাবি করেন, আত্মরক্ষার জন্যই ট্রেভনের দিকে গুলি চালিয়েছিলেন তিনি। হত্যাকাণ্ডের পর পুলিশ জিমারম্যানকে গ্রেপ্তার করলেও পরে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। প্রায় দুই মাস পরে তাঁকে আবারও গ্রেপ্তার করা হয় এবং তাঁর বিরুদ্ধে আত্মরক্ষার্থে হামলা ও হত্যার অভিযোগ আনা হয়। গত শনিবার ফ্লোরিডার একটি আদালত জিমারম্যানকে বেকসুর খালাস দেন।
জিমারম্যানকে খালাস দেওয়ার ঘটনায় মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলোর পাশাপাশি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সাধারণ মানুষও। গত রবিবার সকাল থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। 'ট্রেভনের জন্য সুবিচার' স্লোগানে নিউ ইয়র্কে সবচেয়ে বড় মিছিল হয়। টাইমস স্কয়ার থেকে হাজার হাজার মানুষ মিছিলে যোগ দেয়। প্রচণ্ড গরম উপেক্ষা করেই ট্রেভনের মতো হুডি টিশার্ট গায়ে দিয়ে মিছিলে নামে তারা। কার্লি ভেনভরহিস নামের এক বিক্ষোভকারী বলেন, 'জিমারম্যানের হাতে অস্ত্র ছিল, ট্রেভন ছিল নিরস্ত্র। তার পরও জিমারম্যান ছাড়া পেয়ে গেল। এটাকে বর্ণবাদী ঘটনা বলা না হলে, মিথ্যা বলা হবে।' ক্যালিফোর্নিয়ার ওকল্যান্ডে বিক্ষোভ মিছিল থেকে জানালা ও গাড়ির কাচ ভাঙার ঘটনা ছাড়া মোটামুটি শান্তিপূর্ণভাবেই প্রতিবাদ হয়েছে। লস অ্যাঞ্জেলেস, বোস্টন, সান ফ্রান্সিসকো, ফিলাডেলফিয়া, শিকাগো, ওয়াশিংটন, সান ডিয়েগো, আটলান্টাসহ অনেক জায়গায়ই বিক্ষোভ হয়েছে। এ ঘটনায় দেশজুড়ে বর্ণবাদী সহিংসতা ছড়িয়ে পড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা জনগণকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, 'আমাদের দেশে আইনের শাসন রয়েছে এবং বিচারকরা তাঁদের রায় দিয়েছেন। যে বাবা-মা তাঁদের সন্তান হারিয়েছেন, তাঁদের জন্যই আমি সব আমেরিকানকে শান্ত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। তবে আমাদের নিজেদের কাছে প্রশ্ন করা উচিত, একের পর এক সহিংসতা বন্ধে আমরা যথেষ্ট পদক্ষেপ নিয়েছি কি না। এভাবেই আমরা ট্রেভন মার্টিনের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পারি।' গত বছর মার্চে ট্রেভন হত্যা মামলা নিয়ে মন্তব্য করার সময় ওবামা বলেছিলেন, 'আমার ছেলে থাকলে সে দেখতে ট্রেভনের মতোই হতো।'
জিমারম্যানের বিরুদ্ধে দেওয়ানি মামলা করা যায় কি না, যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ সে ব্যাপারে তদন্ত শুরু করেছে। তবে মানবাধিকার সংগঠনগুলো গত শনিবারের রায়ের তীব্র সমালোচনা করে। আত্মরক্ষার্থে হামলা বা গুলির অধিকারসংক্রান্ত 'স্ট্যান্ড ইয়োর গ্রাউন্ড' নামে যে আইনে জিমারম্যান আত্মপক্ষ সমর্থন করেছেন, সেটি নিয়েই সমালোচনা তৈরি হয়েছে। এ আইন অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তির কাছ থেকে হুমকি তৈরি হলে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো নাগরিক নিজের জীবন বাঁচাতে আগ বাড়িয়ে হামলা করতে পারে। আত্মরক্ষার উদ্দেশ্যে হামলা করা হয়নি- এর সপক্ষে অকাট্য প্রমাণ না থাকলে হামলাকারীকে গ্রেপ্তারও করা যাবে না। যুক্তরাষ্ট্রের অন্তত ২২টি রাজ্যে এ আইন কার্যকর আছে। অধিকাংশ জায়গায় নিজের বাড়ি, অফিস বা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে এ ধরনের হামলার অধিকার দেওয়া আছে। তবে কয়েকটি রাজ্যে যেকোনো জায়গায়ই হামলার অধিকার দেওয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ব্যুরো অব ইকোনমিক রিসার্চের এক জরিপে জানানো হয়, ২০০৫ সালের পর এ আইন কার্যকর হওয়ার পর হত্যাকাণ্ডের ঘটনা অনেক বেড়ে গেছে। সূত্র : এএফপি, বিবিসি।
২০১২ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি ফ্লোরিডার স্যানফোর্ড শহরে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায় ট্রেভন মার্টিন (১৭)। ট্রেভন যে এলাকায় নিহত হয়, সেখানকার স্বেচ্ছাসেবী প্রহরী ছিলেন জিমারম্যান। কথাকাটাকাটির জের ধরে নিরস্ত্র ট্রেভনকে বিনা কারণে গুলি করেন তিনি। তবে জিমারম্যান দাবি করেন, আত্মরক্ষার জন্যই ট্রেভনের দিকে গুলি চালিয়েছিলেন তিনি। হত্যাকাণ্ডের পর পুলিশ জিমারম্যানকে গ্রেপ্তার করলেও পরে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। প্রায় দুই মাস পরে তাঁকে আবারও গ্রেপ্তার করা হয় এবং তাঁর বিরুদ্ধে আত্মরক্ষার্থে হামলা ও হত্যার অভিযোগ আনা হয়। গত শনিবার ফ্লোরিডার একটি আদালত জিমারম্যানকে বেকসুর খালাস দেন।
জিমারম্যানকে খালাস দেওয়ার ঘটনায় মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলোর পাশাপাশি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সাধারণ মানুষও। গত রবিবার সকাল থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। 'ট্রেভনের জন্য সুবিচার' স্লোগানে নিউ ইয়র্কে সবচেয়ে বড় মিছিল হয়। টাইমস স্কয়ার থেকে হাজার হাজার মানুষ মিছিলে যোগ দেয়। প্রচণ্ড গরম উপেক্ষা করেই ট্রেভনের মতো হুডি টিশার্ট গায়ে দিয়ে মিছিলে নামে তারা। কার্লি ভেনভরহিস নামের এক বিক্ষোভকারী বলেন, 'জিমারম্যানের হাতে অস্ত্র ছিল, ট্রেভন ছিল নিরস্ত্র। তার পরও জিমারম্যান ছাড়া পেয়ে গেল। এটাকে বর্ণবাদী ঘটনা বলা না হলে, মিথ্যা বলা হবে।' ক্যালিফোর্নিয়ার ওকল্যান্ডে বিক্ষোভ মিছিল থেকে জানালা ও গাড়ির কাচ ভাঙার ঘটনা ছাড়া মোটামুটি শান্তিপূর্ণভাবেই প্রতিবাদ হয়েছে। লস অ্যাঞ্জেলেস, বোস্টন, সান ফ্রান্সিসকো, ফিলাডেলফিয়া, শিকাগো, ওয়াশিংটন, সান ডিয়েগো, আটলান্টাসহ অনেক জায়গায়ই বিক্ষোভ হয়েছে। এ ঘটনায় দেশজুড়ে বর্ণবাদী সহিংসতা ছড়িয়ে পড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা জনগণকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, 'আমাদের দেশে আইনের শাসন রয়েছে এবং বিচারকরা তাঁদের রায় দিয়েছেন। যে বাবা-মা তাঁদের সন্তান হারিয়েছেন, তাঁদের জন্যই আমি সব আমেরিকানকে শান্ত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। তবে আমাদের নিজেদের কাছে প্রশ্ন করা উচিত, একের পর এক সহিংসতা বন্ধে আমরা যথেষ্ট পদক্ষেপ নিয়েছি কি না। এভাবেই আমরা ট্রেভন মার্টিনের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পারি।' গত বছর মার্চে ট্রেভন হত্যা মামলা নিয়ে মন্তব্য করার সময় ওবামা বলেছিলেন, 'আমার ছেলে থাকলে সে দেখতে ট্রেভনের মতোই হতো।'
জিমারম্যানের বিরুদ্ধে দেওয়ানি মামলা করা যায় কি না, যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ সে ব্যাপারে তদন্ত শুরু করেছে। তবে মানবাধিকার সংগঠনগুলো গত শনিবারের রায়ের তীব্র সমালোচনা করে। আত্মরক্ষার্থে হামলা বা গুলির অধিকারসংক্রান্ত 'স্ট্যান্ড ইয়োর গ্রাউন্ড' নামে যে আইনে জিমারম্যান আত্মপক্ষ সমর্থন করেছেন, সেটি নিয়েই সমালোচনা তৈরি হয়েছে। এ আইন অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তির কাছ থেকে হুমকি তৈরি হলে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো নাগরিক নিজের জীবন বাঁচাতে আগ বাড়িয়ে হামলা করতে পারে। আত্মরক্ষার উদ্দেশ্যে হামলা করা হয়নি- এর সপক্ষে অকাট্য প্রমাণ না থাকলে হামলাকারীকে গ্রেপ্তারও করা যাবে না। যুক্তরাষ্ট্রের অন্তত ২২টি রাজ্যে এ আইন কার্যকর আছে। অধিকাংশ জায়গায় নিজের বাড়ি, অফিস বা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে এ ধরনের হামলার অধিকার দেওয়া আছে। তবে কয়েকটি রাজ্যে যেকোনো জায়গায়ই হামলার অধিকার দেওয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ব্যুরো অব ইকোনমিক রিসার্চের এক জরিপে জানানো হয়, ২০০৫ সালের পর এ আইন কার্যকর হওয়ার পর হত্যাকাণ্ডের ঘটনা অনেক বেড়ে গেছে। সূত্র : এএফপি, বিবিসি।
No comments