অনলাইন থেকে-আশার বিরুদ্ধে আশা
'অবশেষে মিসর মুসলিম ব্রাদারহুডের দমনমূলক
শাসন থেকে মুক্ত হলো!' কথাগুলো বলেছিলেন ড. মুনির হান্না আনিস।
প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করে গ্রেপ্তারের পর লাখ লাখ
মিসরীয়র মতো উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন তিনিও।
আনিস
অ্যাংলিকানদের সঙ্গে আলোচনাকালে বর্ণনা করেন, ৩০ জুন লাখ লাখ মানুষ রাস্তায়
নেমে এলে কিভাবে সশস্ত্র বাহিনী তাদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে। আনিসের
মতে, অনেকেই বলেছেন যে জনসাধারণের অনুরোধে সাড়া দিয়ে সশস্ত্র বাহিনী
হস্তক্ষেপ করেছে।
মুসলিম ব্রাদারহুডবিরোধী আন্দোলনে আট মিলিয়ন ক্রিশ্চিয়ানসহ ৩০ মিলিয়ন মিসরীয় অংশ নিয়েছে। এখন দেখার বিষয় এই মুরসি এবং ব্রাদারহুডবিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীরা খ্রিস্টান এবং অন্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে স্বীকার করে নেয় কি না এবং নতুন মিসরীয় প্রশাসনে তাদের অন্তর্ভুক্ত করে কি না।
তিনি বর্ণনা করেছেন, মুরসির অধীনে কিভাবে পরিস্থিতি দিনে দিনে চরম অবস্থার দিকে চলে যায়। তিনি বলেছেন, মিসর ভাগ হয়েছে ইসলামিস্ট ও অ-ইসলামিস্ট দুই ভাগে। তিনি মনে করেন, এ ভাগ হওয়ার পেছনে দুটি প্রধান কারণ রয়েছে। প্রথমত, শরিয়াবান্ধব একটি সংবিধান রচিত হয় এবং তড়িঘড়ি করে তা পার্লামেন্টে পাস করা হয়। আর দ্বিতীয় কারণ হলো মিসরের মুসলমান, খ্রিস্টান সবার রাজনৈতিক জীবনে অংশগ্রহণকে ইসলামিস্ট এবং অ-ইসলামিস্ট এই দুই ভাগে ভাগ করা হয়। ক্ষোভের আরেকটি কারণ হলো মন্ত্রিপরিষদে এবং গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোয় ইসলামিস্টদের অন্তর্ভুক্ত করা। ইনস্টিটিউট অব রিলিজিয়ন অ্যান্ড ডেমোক্রেসির জেফ ওয়াল্টনকে তিনি এপ্রিল মাসে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম অধ্যুষিত মিসরের মানুষ অতি সাধারণ এবং তারা শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করতে চায়। কিন্তু ইসলামিস্টরা সর্বপ্রথম চেয়েছে ক্ষমতা। এর মধ্যে রয়েছে সালাফিরা, যারা মিলিট্যান্ট গ্রুপগুলোর চেয়েও অধিক মিলিট্যান্ট। এরা আধুনিকতাকে প্রত্যাখ্যান করে এবং তারা পিতার সময়ের পথে ফিরে যেতে চায়।
আরব বসন্ত শুরুর পর মিসরে তাঁর প্রভাবে যে নির্বাচন হয়, তাতে সালাফিদের প্রাধান্য ছিল। তারা এবং অন্য ইসলামিস্টরা মিলে ৭০ শতাংশ ভোট পেয়েছে।
মিসরের খ্রিস্টানরা আশার বিরুদ্ধে আশা করে আছে যে এমন একটি মিসর তারা চায়, যেখানে সাম্য ও স্বাধীনতা থাকবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত তাদের অধিকারের বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে বলে মনে হয় না।
মাসপেরো ইয়ুথ ইউনিয়ন তাদের বিবৃতিতে বলেছে, আমরা ঘর থেকে বের হয়ে এসেছিলাম একটি ব্যর্থ সংবিধানের বিরুদ্ধে, যা দেশে বিদ্বেষ ও সহিংসতাকে প্রতিষ্ঠা করেছে। আমরা রাস্তায় বের হয়ে এসেছি এমন ধর্মভিত্তিক রাজনীতির বিরুদ্ধে, যা মিসরীয় হিসেবে পরিচিতিকে মুছে দিচ্ছে। যদি যুক্তরাষ্ট্র এবং পশ্চিমা শক্তি সত্যিকার সেক্যুলার গণতন্ত্রকে সমর্থন না করে, তাহলে মিসরের পরিচয় মুছে যাবে।
লেখক : জে এইচ ম্যাকডোনাল্ড। ফ্রন্টপেজ ম্যাগাজিন থেকে সংক্ষেপিত, ভাষান্তর : মহসীন হাবিব
মুসলিম ব্রাদারহুডবিরোধী আন্দোলনে আট মিলিয়ন ক্রিশ্চিয়ানসহ ৩০ মিলিয়ন মিসরীয় অংশ নিয়েছে। এখন দেখার বিষয় এই মুরসি এবং ব্রাদারহুডবিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীরা খ্রিস্টান এবং অন্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে স্বীকার করে নেয় কি না এবং নতুন মিসরীয় প্রশাসনে তাদের অন্তর্ভুক্ত করে কি না।
তিনি বর্ণনা করেছেন, মুরসির অধীনে কিভাবে পরিস্থিতি দিনে দিনে চরম অবস্থার দিকে চলে যায়। তিনি বলেছেন, মিসর ভাগ হয়েছে ইসলামিস্ট ও অ-ইসলামিস্ট দুই ভাগে। তিনি মনে করেন, এ ভাগ হওয়ার পেছনে দুটি প্রধান কারণ রয়েছে। প্রথমত, শরিয়াবান্ধব একটি সংবিধান রচিত হয় এবং তড়িঘড়ি করে তা পার্লামেন্টে পাস করা হয়। আর দ্বিতীয় কারণ হলো মিসরের মুসলমান, খ্রিস্টান সবার রাজনৈতিক জীবনে অংশগ্রহণকে ইসলামিস্ট এবং অ-ইসলামিস্ট এই দুই ভাগে ভাগ করা হয়। ক্ষোভের আরেকটি কারণ হলো মন্ত্রিপরিষদে এবং গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোয় ইসলামিস্টদের অন্তর্ভুক্ত করা। ইনস্টিটিউট অব রিলিজিয়ন অ্যান্ড ডেমোক্রেসির জেফ ওয়াল্টনকে তিনি এপ্রিল মাসে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম অধ্যুষিত মিসরের মানুষ অতি সাধারণ এবং তারা শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করতে চায়। কিন্তু ইসলামিস্টরা সর্বপ্রথম চেয়েছে ক্ষমতা। এর মধ্যে রয়েছে সালাফিরা, যারা মিলিট্যান্ট গ্রুপগুলোর চেয়েও অধিক মিলিট্যান্ট। এরা আধুনিকতাকে প্রত্যাখ্যান করে এবং তারা পিতার সময়ের পথে ফিরে যেতে চায়।
আরব বসন্ত শুরুর পর মিসরে তাঁর প্রভাবে যে নির্বাচন হয়, তাতে সালাফিদের প্রাধান্য ছিল। তারা এবং অন্য ইসলামিস্টরা মিলে ৭০ শতাংশ ভোট পেয়েছে।
মিসরের খ্রিস্টানরা আশার বিরুদ্ধে আশা করে আছে যে এমন একটি মিসর তারা চায়, যেখানে সাম্য ও স্বাধীনতা থাকবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত তাদের অধিকারের বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে বলে মনে হয় না।
মাসপেরো ইয়ুথ ইউনিয়ন তাদের বিবৃতিতে বলেছে, আমরা ঘর থেকে বের হয়ে এসেছিলাম একটি ব্যর্থ সংবিধানের বিরুদ্ধে, যা দেশে বিদ্বেষ ও সহিংসতাকে প্রতিষ্ঠা করেছে। আমরা রাস্তায় বের হয়ে এসেছি এমন ধর্মভিত্তিক রাজনীতির বিরুদ্ধে, যা মিসরীয় হিসেবে পরিচিতিকে মুছে দিচ্ছে। যদি যুক্তরাষ্ট্র এবং পশ্চিমা শক্তি সত্যিকার সেক্যুলার গণতন্ত্রকে সমর্থন না করে, তাহলে মিসরের পরিচয় মুছে যাবে।
লেখক : জে এইচ ম্যাকডোনাল্ড। ফ্রন্টপেজ ম্যাগাজিন থেকে সংক্ষেপিত, ভাষান্তর : মহসীন হাবিব
No comments