ম্যাগনাকার্টার ৮০০ বছর-এক জায়গায় হচ্ছে চার অনুলিপি
'ম্যাগনাকার্টা', যার অর্থ মহাসনদ।
ইংল্যান্ডের সংবিধানের মূল ভিত্তি। এটি ইংল্যান্ডের মুক্তির মহাসনদ হিসেবেও
পরিচিত। সামন্তবাদী ব্যারনদের দাবির মুখে এক অস্থির সময়ে দেশ পরিচালনায়
একটি সংবিধানের প্রয়োজনীয়তা অনিবার্য হয়ে ওঠে।
সিংহাসনে
তখন রাজা জন। ১২১৫ সালে তিনি ঘোষণা করেন ইংল্যান্ডের সংবিধান
'ম্যাগনাকার্টা'। রানিমিডের সারে এলাকায় আনুষ্ঠানিকভাবে এ সনদ ঘোষণা করা
হয়।
কালের ধারায় ৮০০ বছর আগে রচিত এ সনদের মাত্র চারটি মূল অনুলিপি টিকে আছে। তাও এক জায়গায় নেই। দুটি আছে ব্রিটিশ লাইব্রেরিতে, একটি লিংকন ক্যাথেড্রালে এবং বাকিটি সলসবুরি ক্যাথেড্রালের হাতে। ব্রিটিশ লাইব্রেরি জানিয়েছে, ২০১৫ সালে তারা প্রথমবারের মতো ম্যাগনাকার্টার চারটি অনুলিপি এক জায়গায় জড়ো করতে যাচ্ছে। লন্ডনের ব্রিটিশ লাইব্রেরিতে এর তিন দিনের এক প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া মহাসনদের ৮০০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বিভিন্ন দেশে বছরব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে। অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে সংশ্লিষ্ট ওই তিন কর্তৃপক্ষ। পৃথিবীতে ম্যাগনাকার্টা সনদের রয়েছে বিশাল ঐতিহাসিক গুরুত্ব। এ সনদের মাধ্যমেই মানুষের মৌলিক অধিকারের বিষয়গুলো আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি পায়। ব্রিটিশ লাইব্রেরি জানায়, মহামূল্যবান এই দলিলগুলো বিশ্বের বিখ্যাত সব বিশেষজ্ঞ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখবেন। ইতিহাসবিদরা সুযোগ পাবেন এগুলো নিয়ে বিশদ গবেষণার। তাঁরা জানতে চেষ্টা করবেন, আসলে এই মহাসনদ রচনার পেছনে কোন সব পণ্ডিতের অবদান ছিল। আজ পর্যন্ত জানা হয়নি এগুলো আসলে কাদের কলমে লেখা হয়েছে। ব্রিটিশ লাইব্রেরি মনে করছে, অনুলিপিগুলোর যেসব জায়গা কালের ধারায় বিবর্ণ ও অস্পষ্ট হয়ে গেছে, সেগুলো উদ্ধার করতে সক্ষম হবেন বিশেষজ্ঞরা।
ম্যাগনাকার্টা সনদেই প্রথম বলা হয়, কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়। এমনকি রাজাও। প্রত্যেকের রয়েছে ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার। মহাসনদের আলোকে পরবর্তী সময়ে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ তাদের সংবিধান প্রণয়ন করে। বিশ্বব্যাপী আজ যে মানবাধিকারের ঘোষণাটি বিরাজমান, তাও এই মহাসনদেরই দান। ব্রিটিশ লাইব্রেরির মধ্যযুগীয় ও প্রাক-যুগের তথ্য সংরক্ষক ক্লেয়ার ব্রি বলেন, 'লাইব্রেরিতে থাকা জিনিসগুলোর মধ্যে ম্যাগনাকার্টা সবচেয়ে জনপ্রিয় বিষয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশই এ সনদকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে তাদের নিজস্ব সরকারী নীতি সাজিয়েছে।' ২০১৫ সালে ম্যাগনাকার্টার ৮০০ বছর পূর্তি উপলক্ষে লিংকন ক্যাথেড্রাল ম্যাগনাকার্টা সেন্টার খোলার চিন্তা করছে। সূত্র : বিবিসি।
কালের ধারায় ৮০০ বছর আগে রচিত এ সনদের মাত্র চারটি মূল অনুলিপি টিকে আছে। তাও এক জায়গায় নেই। দুটি আছে ব্রিটিশ লাইব্রেরিতে, একটি লিংকন ক্যাথেড্রালে এবং বাকিটি সলসবুরি ক্যাথেড্রালের হাতে। ব্রিটিশ লাইব্রেরি জানিয়েছে, ২০১৫ সালে তারা প্রথমবারের মতো ম্যাগনাকার্টার চারটি অনুলিপি এক জায়গায় জড়ো করতে যাচ্ছে। লন্ডনের ব্রিটিশ লাইব্রেরিতে এর তিন দিনের এক প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া মহাসনদের ৮০০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বিভিন্ন দেশে বছরব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে। অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে সংশ্লিষ্ট ওই তিন কর্তৃপক্ষ। পৃথিবীতে ম্যাগনাকার্টা সনদের রয়েছে বিশাল ঐতিহাসিক গুরুত্ব। এ সনদের মাধ্যমেই মানুষের মৌলিক অধিকারের বিষয়গুলো আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি পায়। ব্রিটিশ লাইব্রেরি জানায়, মহামূল্যবান এই দলিলগুলো বিশ্বের বিখ্যাত সব বিশেষজ্ঞ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখবেন। ইতিহাসবিদরা সুযোগ পাবেন এগুলো নিয়ে বিশদ গবেষণার। তাঁরা জানতে চেষ্টা করবেন, আসলে এই মহাসনদ রচনার পেছনে কোন সব পণ্ডিতের অবদান ছিল। আজ পর্যন্ত জানা হয়নি এগুলো আসলে কাদের কলমে লেখা হয়েছে। ব্রিটিশ লাইব্রেরি মনে করছে, অনুলিপিগুলোর যেসব জায়গা কালের ধারায় বিবর্ণ ও অস্পষ্ট হয়ে গেছে, সেগুলো উদ্ধার করতে সক্ষম হবেন বিশেষজ্ঞরা।
ম্যাগনাকার্টা সনদেই প্রথম বলা হয়, কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়। এমনকি রাজাও। প্রত্যেকের রয়েছে ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার। মহাসনদের আলোকে পরবর্তী সময়ে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ তাদের সংবিধান প্রণয়ন করে। বিশ্বব্যাপী আজ যে মানবাধিকারের ঘোষণাটি বিরাজমান, তাও এই মহাসনদেরই দান। ব্রিটিশ লাইব্রেরির মধ্যযুগীয় ও প্রাক-যুগের তথ্য সংরক্ষক ক্লেয়ার ব্রি বলেন, 'লাইব্রেরিতে থাকা জিনিসগুলোর মধ্যে ম্যাগনাকার্টা সবচেয়ে জনপ্রিয় বিষয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশই এ সনদকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে তাদের নিজস্ব সরকারী নীতি সাজিয়েছে।' ২০১৫ সালে ম্যাগনাকার্টার ৮০০ বছর পূর্তি উপলক্ষে লিংকন ক্যাথেড্রাল ম্যাগনাকার্টা সেন্টার খোলার চিন্তা করছে। সূত্র : বিবিসি।
No comments