ইরানে হামলার হুমকি দিলেন নেতানিয়াহু
ইরানের
বিরুদ্ধে ইসরায়েল একতরফা পদক্ষেপ নিতে পারে। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী
বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গত রোববার এই হুমকি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, পরমাণু
অস্ত্র তৈরির কর্মসূচিতে ইরান সাফল্যের ‘আরও কাছাকাছি’ পৌঁছে যাচ্ছে। এই
উদ্যোগ বন্ধ করার লক্ষ্যে ইসরায়েল হয়তো যুক্তরাষ্ট্রের আগেই ব্যবস্থা
নেবে। যুক্তরাষ্ট্রে এক সাক্ষাৎকারে নেতানিয়াহু সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ইরান
চূড়ান্ত সীমার কাছাকাছি পৌঁছে গেছে, তবে এখনো তা অতিক্রম করেনি। তারা বোমা
তৈরি করে ফেলতে যাচ্ছে। কিন্তু ব্যাপারটা কোনোভাবেই ঘটতে দেওয়া যাবে না।
এখন তাদের সেটা জানিয়ে দিতে হবে। ইসরায়েলি নেতা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের
তুলনায় ইসরায়েলের হাতে সময় খুবই কম। তাই ইরানের বিতর্কিত কর্মসূচি বন্ধ
করতে হয়তো ইসরায়েলকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। কারণ দেশটি তুলনামূলকভাবে
বেশি অরক্ষিত হয়ে পড়বে। তাই যেকোনো মূল্যে ইরানকে রুখতে হবে, সম্ভবত
মার্কিন উদ্যোগের আগেই। ইরানের ব্যাপারটি নিয়ে তিনি (নেতানিয়াহু) মার্কিন
প্রেসিডেন্ট ওবামার সঙ্গে বহুবার আলাপ করেছেন। গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো,
ইরানে নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতার পরিবর্তন হলেও পরমাণুনীতি বহাল থাকবে।
কাজেই অবরোধ আরোপ করে দেশটিকে দমিয়ে রাখা সম্ভব না হলে সামরিক পদক্ষেপের
প্রস্তুতি নিতে হবে এবং এটিই হবে তাদের মোকাবিলার একমাত্র উপায়। ইরানের
নতুন প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি আগামী ৩ আগস্ট দায়িত্ব নেবেন। তাঁর আমলেও
দেশটির ইরানের পরমাণুনীতি পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই বলে নেতানিয়াহু মন্তব্য
করেন। তুলনামূলক উদারপন্থী নেতা রুহানির সমালোচনা করে নেতানিয়াহু বলেন,
ইরানের বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ‘আহমেদিনেজাদ নেকড়ের পোশাকে নেকড়ের ভূমিকা
পালন করেছেন। কিন্তু রুহানির ভূমিকা হচ্ছে ভেড়ার পোশাকে নেকড়ের মতো। তিনি
মুখে হাসি নিয়েই পারমাণবিক বোমা তৈরির উদ্যোগ অব্যাহত রাখবেন।’ পরমাণু
কর্মসূচি নিয়ে ইরানের সঙ্গে বিশ্বের পরাশক্তি দেশগুলোর বিরোধ চলছে গত
কয়েক বছর ধরে। ওই কর্মসূচির আড়ালে ইরান গোপনে পারমাণবিক বোমা তৈরি করছে
বলে পশ্চিমা দেশগুলো সন্দেহ করে। তবে ইরান তাদের কর্মসূচিকে বরাবরই
শান্তিপূর্ণ বলে দাবি করে অ সছে। এএফপি।
No comments