'রাশিয়ায় আবেদন করেননি স্নোডেন'
ইন্টারনেট ও টেলিফোনে নজরদারি-সংক্রান্ত
যুক্তরাষ্ট্রের গোপন কর্মসূচির কথা ফাঁস করে দেওয়া এডওয়ার্ড স্নোডেন গতকাল
সোমবার পর্যন্ত রাশিয়ায় আশ্রয় চেয়ে আবেদন করেননি।
রাশিয়ার
কেন্দ্রীয় অভিবাসন বিভাগের (এফএমএস) প্রধান কনস্তানতিন রোমোদানোভস্কি
গতকাল রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ইন্টারফ্যাঙ্কে এ কথা জানান।
গত ২৩ জুন হংকং থেকে মস্কোর শেরেমেতোভা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসার পর গত শুক্রবার প্রথমবারের মতো স্নোডেন জনসমক্ষে কথা বলেন। ওই দিন কয়েকটি মানবাধিকার সংগঠন ও মস্কোর কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি সাময়িকভাবে রাশিয়ায় আশ্রয় নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থহানির কারণ ঘটে_এমন কিছু না করা থেকে বিরত থাকা-সংক্রান্ত প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের দেওয়া শর্তেও রাজি হন তিনি। তবে চূড়ান্ত গন্তব্য হিসেবে লাতিন আমেরিকার কথা জানান। কিন্তু গতকাল রোমোদানোভস্কি বলেন, 'আজ (গতকাল) পর্যন্ত স্নোডেনের কাছ থেকে কোনো আবেদন আসেনি।' এদিকে শুক্রবারের পর স্নোডেনের পক্ষ থেকেও কোনো ধরনের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এদিকে স্নোডেনের ফাঁস করা তথ্য প্রথম প্রকাশ করা সাংবাদিক গ্লেন গ্রিনওয়াল্ড গতকাল সংবাদ সংস্থা এপিকে বলেন, 'স্নোডেনের হাতে আক্ষরিক অর্থেই হাজার হাজার নথি আছে, যা মূলত যুক্তরাষ্ট্রের এনএসএর (জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা) গঠন প্রণালী-সংক্রান্ত।' এর মধ্যে এনএসএর কার্যক্রম ও কর্মপদ্ধতি-সংক্রান্ত খুবই স্পর্শকাতর ও বিস্তারিত নকশাও আছে। এটা কেউ হাতে পেলে এনএসএর নজরদারি ব্যবস্থার জন্য হুমকির কারণ হতে পারে বলে জানান গ্রিনওয়াল্ড।
গত মাসের গোড়ার দিকে এনএসএর গোপন নজরদারি কর্মসূচি 'প্রিজম'-এর কথা ফাঁস করে দেন স্নোডেন। যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তি ও গোপন তথ্য চুরির অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। স্নোডেনকে হাতে পেতে রাশিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। সূত্র : এএফপি, জিনিউজ।
গত ২৩ জুন হংকং থেকে মস্কোর শেরেমেতোভা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসার পর গত শুক্রবার প্রথমবারের মতো স্নোডেন জনসমক্ষে কথা বলেন। ওই দিন কয়েকটি মানবাধিকার সংগঠন ও মস্কোর কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি সাময়িকভাবে রাশিয়ায় আশ্রয় নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থহানির কারণ ঘটে_এমন কিছু না করা থেকে বিরত থাকা-সংক্রান্ত প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের দেওয়া শর্তেও রাজি হন তিনি। তবে চূড়ান্ত গন্তব্য হিসেবে লাতিন আমেরিকার কথা জানান। কিন্তু গতকাল রোমোদানোভস্কি বলেন, 'আজ (গতকাল) পর্যন্ত স্নোডেনের কাছ থেকে কোনো আবেদন আসেনি।' এদিকে শুক্রবারের পর স্নোডেনের পক্ষ থেকেও কোনো ধরনের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এদিকে স্নোডেনের ফাঁস করা তথ্য প্রথম প্রকাশ করা সাংবাদিক গ্লেন গ্রিনওয়াল্ড গতকাল সংবাদ সংস্থা এপিকে বলেন, 'স্নোডেনের হাতে আক্ষরিক অর্থেই হাজার হাজার নথি আছে, যা মূলত যুক্তরাষ্ট্রের এনএসএর (জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা) গঠন প্রণালী-সংক্রান্ত।' এর মধ্যে এনএসএর কার্যক্রম ও কর্মপদ্ধতি-সংক্রান্ত খুবই স্পর্শকাতর ও বিস্তারিত নকশাও আছে। এটা কেউ হাতে পেলে এনএসএর নজরদারি ব্যবস্থার জন্য হুমকির কারণ হতে পারে বলে জানান গ্রিনওয়াল্ড।
গত মাসের গোড়ার দিকে এনএসএর গোপন নজরদারি কর্মসূচি 'প্রিজম'-এর কথা ফাঁস করে দেন স্নোডেন। যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তি ও গোপন তথ্য চুরির অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। স্নোডেনকে হাতে পেতে রাশিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। সূত্র : এএফপি, জিনিউজ।
No comments