গণতান্ত্রিক প্রাণীরা by আবুল বাসার
চারদিকে ইদানীং যে শব্দটি সবচেয়ে বেশি
শোনা যাচ্ছে, তা হচ্ছে ‘গণতন্ত্র’। এ বিশেষ তন্ত্র নিয়ে মাঠ গরম করছে
রাজনৈতিক দলগুলো। কে কত বেশি গণতান্ত্রিক, তা প্রমাণে রীতিমতো প্রতিযোগিতা
শুরু করেছে দলগুলো।
তবে এতে গণ, অর্থাৎ জনসাধারণের কোনো
উপকার হচ্ছে কি না, সে হিসাব করছে না অধিকাংশ দল। কিন্তু মজার ব্যাপার
হচ্ছে, মুখে গণতন্ত্র শব্দটি একবারও উচ্চারণ না করেও সত্যিকারের
গণতান্ত্রিক উপায়ে জীবনযাপন করছে নিম্নশ্রেণীর বেশ কিছু প্রাণী।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকন বলেছিলেন, গণতন্ত্র হচ্ছে এমন সরকার, যা জনগণের এবং জনগণের দ্বারা এবং জনগণের জন্যই তৈরি। প্রায় আড়াই হাজার বছর আগে গ্রিসে গণতান্ত্রিক ধারণার উদ্ভব। কিন্তু নিম্নশ্রেণীর প্রাণীতে গণতন্ত্রের চর্চা তার অনেক আগে থেকেই। কয়েক বছরের গবেষণায় ইউরোশিয়ার লাল হরিণের কথার প্রমাণ পেয়েছেন প্রাণীবিদেরা। দলবদ্ধভাবে বাস করে এ হরিণরা। এদের সারা দিনের কাজ ঘাস খাওয়া আর আরাম করে শুয়ে জাবর কাটা। জাবর কাটা শেষ হলে অনেকেই আবার ঘাস খেতে মাঠে যেতে চায়। কিন্তু সে সময় হয়তো অনেকের জাবর কাটা শেষই হয়নি বা ঘাস খাওয়ার চেয়ে শুয়ে থাকতেই ইচ্ছুক। তাই এক দল ঘাস খেতে মাঠে যায়, আরেক দল শুয়েই থাকে। পরীক্ষায় দেখা গেছে, দলের কমপক্ষে ৬০ শতাংশ রাজি হলেই কেবল লাল হরিণরা কোথাও যেতে পারে। নইলে ঘাস খেতে ইচ্ছুক হরিণদের সেখানেই শুয়ে থাকতে হয়।
কোনো কাজের আগে দলের সিংহভাগের মতামত নিতে দেখা যায় আফ্রিকান মহিষদের। কোথাও যাওয়ার আগে বয়স্ক মেয়ে মহিষগুলো পথের দিকে একবার দাঁড়ায়। এরপর সেই পথে চলতে শুরু করে একটু পিছিয়ে আবার বসে পড়ে। এতে দলের অন্যরা তাদের উদ্দেশ্য বুঝতে পারে। তবে দলের অধিকাংশ মহিষ রাজি থাকলেই সেখানে যেতে পারে তারা। মজার ব্যাপার হচ্ছে, এই ভোটাভুটিতে কেবল বয়স্ক মেয়েমহিষরাই অংশ নেয়, পুরুষেরা নয়। শিম্পাঞ্জি আর বেবুনের সঙ্গে মানুষের জিনোমের প্রায় ৯৮ শতাংশ মিল।
সে কারণেই হয়তো মানুষের স্বভাবের সঙ্গেও ওদের মিল আছে। তবে জোর যার মুল্লুক তার নয়, শিম্পাঞ্জিদের নেতা নির্বাচনে ভোটাভুটি হয়। অবশ্য আনুষ্ঠানিকভাবে ওদের মধ্যে কোনো ভোট হয় না, এই যা পার্থক্য। শিম্পাঞ্জি সমাজে ভোটারদের, বিশেষ করে মেয়েদের জোরালো সমর্থন না পেলে কেউ দলের নেতা হিসেবে দীর্ঘদিন টিকে থাকতে পারে না।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকন বলেছিলেন, গণতন্ত্র হচ্ছে এমন সরকার, যা জনগণের এবং জনগণের দ্বারা এবং জনগণের জন্যই তৈরি। প্রায় আড়াই হাজার বছর আগে গ্রিসে গণতান্ত্রিক ধারণার উদ্ভব। কিন্তু নিম্নশ্রেণীর প্রাণীতে গণতন্ত্রের চর্চা তার অনেক আগে থেকেই। কয়েক বছরের গবেষণায় ইউরোশিয়ার লাল হরিণের কথার প্রমাণ পেয়েছেন প্রাণীবিদেরা। দলবদ্ধভাবে বাস করে এ হরিণরা। এদের সারা দিনের কাজ ঘাস খাওয়া আর আরাম করে শুয়ে জাবর কাটা। জাবর কাটা শেষ হলে অনেকেই আবার ঘাস খেতে মাঠে যেতে চায়। কিন্তু সে সময় হয়তো অনেকের জাবর কাটা শেষই হয়নি বা ঘাস খাওয়ার চেয়ে শুয়ে থাকতেই ইচ্ছুক। তাই এক দল ঘাস খেতে মাঠে যায়, আরেক দল শুয়েই থাকে। পরীক্ষায় দেখা গেছে, দলের কমপক্ষে ৬০ শতাংশ রাজি হলেই কেবল লাল হরিণরা কোথাও যেতে পারে। নইলে ঘাস খেতে ইচ্ছুক হরিণদের সেখানেই শুয়ে থাকতে হয়।
কোনো কাজের আগে দলের সিংহভাগের মতামত নিতে দেখা যায় আফ্রিকান মহিষদের। কোথাও যাওয়ার আগে বয়স্ক মেয়ে মহিষগুলো পথের দিকে একবার দাঁড়ায়। এরপর সেই পথে চলতে শুরু করে একটু পিছিয়ে আবার বসে পড়ে। এতে দলের অন্যরা তাদের উদ্দেশ্য বুঝতে পারে। তবে দলের অধিকাংশ মহিষ রাজি থাকলেই সেখানে যেতে পারে তারা। মজার ব্যাপার হচ্ছে, এই ভোটাভুটিতে কেবল বয়স্ক মেয়েমহিষরাই অংশ নেয়, পুরুষেরা নয়। শিম্পাঞ্জি আর বেবুনের সঙ্গে মানুষের জিনোমের প্রায় ৯৮ শতাংশ মিল।
সে কারণেই হয়তো মানুষের স্বভাবের সঙ্গেও ওদের মিল আছে। তবে জোর যার মুল্লুক তার নয়, শিম্পাঞ্জিদের নেতা নির্বাচনে ভোটাভুটি হয়। অবশ্য আনুষ্ঠানিকভাবে ওদের মধ্যে কোনো ভোট হয় না, এই যা পার্থক্য। শিম্পাঞ্জি সমাজে ভোটারদের, বিশেষ করে মেয়েদের জোরালো সমর্থন না পেলে কেউ দলের নেতা হিসেবে দীর্ঘদিন টিকে থাকতে পারে না।
No comments