পদ্মা সেতুর টেন্ডার আহ্বান-স্বপ্নের বাস্তবায়ন দেখতে চাই
অবশেষে স্বপ্নের পদ্মা সেতুর দরপত্র
আহ্বান করা হয়েছে। সংশয় কিংবা আশা-নিরাশার দোলাচল তাতে কিছুটা স্তিমিত না
হলেও স্বপ্ন বাস্তবায়নের ক্ষীণ সম্ভাবনা এখন দেখা যেতেই পারে।
মহাজোট
সরকারের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি গত সাড়ে চার বছরে পূরণ করা সম্ভব না হওয়ায়
এই দরপত্র আহ্বানের বিষয়টিকে ভোটের আগে নির্বাচনী প্রচারের কৌশল হিসেবে
দেখা যেতে পারে। কিন্তু পদ্মা সেতু প্রকল্প থেকে পিছিয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ
যে নেই, সেটা স্বীকার করে নিতে হবে।
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের কাছে মহাজোট সরকারের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল পদ্মা সেতু নির্মাণ। কিন্তু গত চার বছরে আলোর মুখ দেখেনি প্রকল্পটি। এর আগে বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে একনেকে পাস হওয়া প্রকল্পটি নিয়ে হতাশা দেখা দেয় বিশ্বব্যাংক অর্থায়নে অনীহা প্রকাশ করার পর। দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অজুহাতে পদ্মা সেতু প্রকল্পে অর্থায়ন থেকে বিরত থাকে বিশ্বব্যাংক। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের বিষয়টি আলোচনায় আসে এরপর। কিন্তু এত বড় একটি প্রকল্প বাস্তবায়নের আর্থিক সামর্থ্যের পাশাপাশি বাংলাদেশের দক্ষতার বিষয়টিও আলোচিত হয়। এবারের প্রস্তাবিত বাজেটে পদ্মা সেতু প্রকল্পে ছয় হাজার ৮৫২ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। ৬.১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সেতু নির্মিত হলে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ২১টি জেলা সড়কপথে সরাসরি যুক্ত হবে রাজধানীর সঙ্গে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পদ্মা সেতু নির্মিত হলে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ১.২ শতাংশ বাড়বে। এ প্রকল্পের জন্য এরই মধ্যে শরীয়তপুর, মাদারীপুর ও মুন্সীগঞ্জে মোট দুই হাজার ৪৫২ একর জমি অধিগ্রহণ এবং ২৬০ একর জমি হুকুমদখল করা হয়েছে। জমির দাম বাবদ ক্ষতিগ্রস্তদের দেওয়া হচ্ছে প্রায় এক হাজার ১৪ কোটি টাকা।
দরপত্র আহ্বান করা হলেও প্রকল্পের মূল সেতুর দরপত্র মূল্যায়ন প্রক্রিয়া শেষ করতে পারবে না এই সরকার- বিশেষজ্ঞ মহলের এমনই অভিমত। কারণ এই মূল্যায়ন প্রক্রিয়া শেষ করতে সময় লাগবে ছয় মাস। তত দিনে সরকারের মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে। স্বাভাবিকভাবেই এই সরকারের আমলে পদ্মা সেতু নির্মাণের মূল কাজ শুরু করা সম্ভব নয়। অন্যদিকে আগামী নির্বাচনের ফলের ওপরও এই প্রকল্প অনেকটাই নির্ভর করে।
তবু নির্বাচনের আগে পদ্মা সেতু প্রকল্পের দরপত্র আহ্বানকে ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখতে হবে। প্রকল্পটি নিয়ে অনেক রশি টানাটানি হয়েছে। বিশ্বব্যাংক ও অন্য দাতা সংস্থা অর্থায়ন থেকে সরে যাওয়ায় যে অনিশ্চয়তা ও হতাশা দেখা দিয়েছিল, এর অনেকটাই এখন কেটে যাবে বলে মনে করা যেতে পারে। বিশেষ করে প্রকল্প এলাকায় যাদের জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছিল, তাদের হতাশা অনেকটা দূর হবে বলে মনে করা যেতে পারে। কাজেই দেরিতে হলেও যে প্রকল্পের দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে, সে প্রকল্প বাস্তবায়ন দেখতে
চাই আমরা।
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের কাছে মহাজোট সরকারের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল পদ্মা সেতু নির্মাণ। কিন্তু গত চার বছরে আলোর মুখ দেখেনি প্রকল্পটি। এর আগে বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে একনেকে পাস হওয়া প্রকল্পটি নিয়ে হতাশা দেখা দেয় বিশ্বব্যাংক অর্থায়নে অনীহা প্রকাশ করার পর। দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অজুহাতে পদ্মা সেতু প্রকল্পে অর্থায়ন থেকে বিরত থাকে বিশ্বব্যাংক। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের বিষয়টি আলোচনায় আসে এরপর। কিন্তু এত বড় একটি প্রকল্প বাস্তবায়নের আর্থিক সামর্থ্যের পাশাপাশি বাংলাদেশের দক্ষতার বিষয়টিও আলোচিত হয়। এবারের প্রস্তাবিত বাজেটে পদ্মা সেতু প্রকল্পে ছয় হাজার ৮৫২ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। ৬.১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সেতু নির্মিত হলে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ২১টি জেলা সড়কপথে সরাসরি যুক্ত হবে রাজধানীর সঙ্গে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পদ্মা সেতু নির্মিত হলে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ১.২ শতাংশ বাড়বে। এ প্রকল্পের জন্য এরই মধ্যে শরীয়তপুর, মাদারীপুর ও মুন্সীগঞ্জে মোট দুই হাজার ৪৫২ একর জমি অধিগ্রহণ এবং ২৬০ একর জমি হুকুমদখল করা হয়েছে। জমির দাম বাবদ ক্ষতিগ্রস্তদের দেওয়া হচ্ছে প্রায় এক হাজার ১৪ কোটি টাকা।
দরপত্র আহ্বান করা হলেও প্রকল্পের মূল সেতুর দরপত্র মূল্যায়ন প্রক্রিয়া শেষ করতে পারবে না এই সরকার- বিশেষজ্ঞ মহলের এমনই অভিমত। কারণ এই মূল্যায়ন প্রক্রিয়া শেষ করতে সময় লাগবে ছয় মাস। তত দিনে সরকারের মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে। স্বাভাবিকভাবেই এই সরকারের আমলে পদ্মা সেতু নির্মাণের মূল কাজ শুরু করা সম্ভব নয়। অন্যদিকে আগামী নির্বাচনের ফলের ওপরও এই প্রকল্প অনেকটাই নির্ভর করে।
তবু নির্বাচনের আগে পদ্মা সেতু প্রকল্পের দরপত্র আহ্বানকে ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখতে হবে। প্রকল্পটি নিয়ে অনেক রশি টানাটানি হয়েছে। বিশ্বব্যাংক ও অন্য দাতা সংস্থা অর্থায়ন থেকে সরে যাওয়ায় যে অনিশ্চয়তা ও হতাশা দেখা দিয়েছিল, এর অনেকটাই এখন কেটে যাবে বলে মনে করা যেতে পারে। বিশেষ করে প্রকল্প এলাকায় যাদের জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছিল, তাদের হতাশা অনেকটা দূর হবে বলে মনে করা যেতে পারে। কাজেই দেরিতে হলেও যে প্রকল্পের দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে, সে প্রকল্প বাস্তবায়ন দেখতে
চাই আমরা।
No comments