কুইক রেন্টালকে দীর্ঘ করার ফন্দি by আরিফুজ্জামান তুহিন
একসময় স্বল্পমেয়াদের জন্য অনুমোদন দেওয়া
বিতর্কিত রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোকে এবার সুবিধাভোগী
মালিকদের চাপের মুখে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতায় আনার তৎপরতা শুরু হয়েছে।
ইন্ডিপেন্ডেন্ট
পাওয়ার প্রডিউসারের (আইপিপি) আদলে এসব কেন্দ্র থেকে ১৫ ও ২০ বছর মেয়াদে
বিদ্যুৎ কেনার পরিকল্পনা চলছে। এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে গত এপ্রিলে
বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোফাজ্জেল হোসেনকে প্রধান করে আট
সদস্যের একটি কমিটি করা হয়। তারা কোন কোন রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল
বিদ্যুৎকেন্দ্রের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি ক্রয় চুক্তি করা যাবে তার একটি তালিকা
তৈরি করবে। সেখান থেকে বেছে নিয়ে বিভিন্ন কেন্দ্রের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি
চুক্তি করা হবে। গত ১৫ জুনের মধ্যে তালিকা চূড়ান্ত করে ওই কমিটির প্রতিবেদন
দেওয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত তা হয়নি। কমিটি সূত্রে জানা গেছে, সদস্যদের
অনেকে নানা কাজে বিদেশ সফরে ব্যস্ত থাকায় এখন পর্যন্ত তালিকা করা সম্ভব
হয়নি।
এদিকে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা অভিযোগ করেছেন, অদক্ষ ব্যবস্থাপনার কারণে বেশির ভাগ সময় বিকল থাকা এসব রেন্টাল-কুইক রেন্টাল কেন্দ্র থেকে বেশি দামে নিয়মিত বিদ্যুৎ কেনার চুক্তি করা হলে এ খাতে সরকারের লোকসানের পরিমাণ আরো বাড়বে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রেন্টাল থেকে দীর্ঘমেয়াদি বিদ্যুৎ কেনার উদ্যোগ নেওয়ার আগে ও পরে এসব বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালিকরা তালিকাভুক্ত হওয়ার জন্য ব্যাপক হারে বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয় আবেদন করেছেন। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত মোট ১৪টি কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু এসব কেন্দ্রের মালিকরা মন্ত্রণালয়ে দেনদরবার করে মেয়াদ বাড়িয়ে নিচ্ছেন। সাম্প্রতিক সময়ে দেখা যাচ্ছে, মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদনের নামে তারা দীর্ঘমেয়াদি ১৫ বছরের জন্য অনুমোদন চাইছে। এ নিয়ে বিদ্যুৎ খাতের প্রভাবশালী ব্যবসায়ীরা সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগ করে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।
অভিযোগ রয়েছে, পুরনো যন্ত্রপাতি দিয়ে স্থাপন করায় অনেক কেন্দ্রেই মাসের অধিকাংশ সময় উৎপাদন বন্ধ থাকে। তার পরও চুক্তিমাফিক বিদ্যুতের মিনিমাম গ্যারান্টি পেমেন্ট নিয়ে কোটি কোটি টাকা আয় করছে তারা। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মতে, এসব রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল কেন্দ্র থেকে আইপিপির আদলে দীর্ঘমেয়াদি বিদ্যুৎ কেনার চুক্তি করা হলেও ওইসব কেন্দ্র বন্ধই থাকবে- মাঝখান থেকে মিনিমাম গ্যারান্টি পেমেন্টের নামে তারা নিয়মিত কোটি কোটি টাকার বিল নিয়ে যাবে।
এ সম্পর্কে জানতে চাইলে মোফাজ্জেল হোসেন বলেন, 'আমরা তালিকা তৈরি কাজ শুরু করেছি। আরো কিছুদিন সময় লাগবে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিতে।' তিনি আরো বলেন, 'রেন্টাল থেকে আইপিপি করা যাবে না। কারণ আমাদের বিদ্যমান আইনে তা করা সম্ভব নয়। তবে রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর সঙ্গে আইপিপির আদলে দীর্ঘমেয়াদি বিদ্যুৎ কেনার চুক্তি করা যেতে পারে।'
পুরনো যন্ত্রপাতি দিয়ে স্থাপন করার কারণে রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো এখনই নিয়মিত বিদ্যুৎ দিতে পারছে না। তাহলে এসব কেন্দ্রের সঙ্গে কেন দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি করা হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে মোফাজ্জেল হোসেন বলেন, 'এটা ঠিক যে দেশের সব রেন্টাল কেন্দ্রের যন্ত্রপাতি নতুন নয়। অনেক কেন্দ্র বন্ধ রয়েছে। তবে যেসব কেন্দ্রের সক্ষমতা নেই আমরা তাদের ব্যাপারে সুপারিশ করব না।'
এদিকে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞদের অভিযোগ, রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়মিত করা হলে এ খাতে লুটপাট দীর্ঘস্থায়ী হবে। জনগণের অর্থ লুটপাট করার জন্যই এ বন্দোবস্ত হচ্ছে। সরকারের অনুগত কিছু ব্যবসায়ী এর সুবিধা পাবেন।'
জানতে চাইলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক ও তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্যসচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, 'লুটপাট স্থায়ীকরণের জন্য এটা করা হচ্ছে। এর সঙ্গে বিদ্যুতের উৎপাদন বাড়ানোর কোনো সম্পর্ক নেই।' তিনি আরো বলেন, 'বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সরকার কিছু নীতি গ্রহণ করলে স্বল্পমেয়াদি সহজ সমাধান ছিল। যেমন সরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো সংস্কার করা, গ্যাসভিত্তিক কেন্দ্র নির্মাণ করা, দেশীয় সংস্থা দিয়ে গ্যাস উত্তোলন করা। সরকার এসব না করে বরং কনোকো-ফিলিপস, গ্যাজপ্রম ও এশিয়া এনার্জিকে দিয়ে জ্বালানি খাতে বিদেশিদের জন্য লুটের ব্যবস্থা করেছে। আর দেশীয় কমিশনভোগীদের দিয়েছে রেন্টাল ও কুইক রেন্টালের নামে লুটপাটের সুযোগ।'
জানা যায়, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসে তিনটি রেন্টাল (৩ বছর মেয়াদি) ও ১৭টি কুইক রেন্টাল (৫ বছর মেয়াদি) বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করে, যার মোট উৎপাদন ক্ষমতা এক হাজার ৬৫৩ মেগাওয়াট। এর আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে উৎপাদনে আসে আরো পাঁচটি রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্র।
রেন্টাল-কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর কয়েকটির চলতি বছর আর বেশির ভাগেরই ২০১৫ সালের দিকে মেয়াদ শেষ হবে। মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই কেন্দ্রগুলোর উদ্যোক্তারা বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) সঙ্গে নিয়মিত বিদ্যুৎকেন্দ্র হিসেবে দীর্ঘমেয়াদি ক্রয় চুক্তি করার লক্ষ্যে বিশেষভাবে তৎপর হয়ে উঠেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রথম দিকে বিদ্যুৎ সংকট মোকাবিলার জন্য রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল বিদ্যুতের প্রয়োজন ছিল। কিন্তু এখন এ ধরনের অদক্ষ কেন্দ্রগুলো থেকে বিদ্যুৎ কেনার কোনো মানে হয় না।
এ বিষয়ে গঠিত কমিটির সদস্য পাওয়ার সেলের পরিচালক (ব্যবস্থাপনা) মোহাম্মদ হোসাইন গত বুধবার কালের কণ্ঠকে বলেন, 'এ নিয়ে কমিটি এখনো কাজ করে যাচ্ছে। তবে অনেক সদস্য গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় কাজে দেশের বাইরে থাকায় কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি হয়নি।'
ভর্তুকির টাকা যাবে ব্যবসায়ীদের পকেটে : সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গতবারের তুলনায় এবার বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকির পরিমাণ কিছুটা কমে গেছে। গতবার ছিল ছয় হাজার কোটি টাকা, এবার তা পাঁচ হাজার কোটি টাকা। গত অর্থবছরে বিদ্যুৎ খাতে দেওয়া ভর্তুকির পুরো টাকাই ব্যয় হয়েছে রেন্টাল-কুইক রেন্টাল থেকে এক হাজার ৬৫৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কিনতে গিয়ে। এসব বিদ্যুতের ইউনিটপ্রতি দাম আট টাকা থেকে শুরু করে ক্ষেত্রবিশেষ ৫০ টাকারও বেশি। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলেছেন, এবারও ভর্তুকির পুরোটাই যাবে রেন্টাল-কুইক রেন্টালের বিদ্যুৎ কেনার জন্য।
এদিকে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা অভিযোগ করেছেন, অদক্ষ ব্যবস্থাপনার কারণে বেশির ভাগ সময় বিকল থাকা এসব রেন্টাল-কুইক রেন্টাল কেন্দ্র থেকে বেশি দামে নিয়মিত বিদ্যুৎ কেনার চুক্তি করা হলে এ খাতে সরকারের লোকসানের পরিমাণ আরো বাড়বে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রেন্টাল থেকে দীর্ঘমেয়াদি বিদ্যুৎ কেনার উদ্যোগ নেওয়ার আগে ও পরে এসব বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালিকরা তালিকাভুক্ত হওয়ার জন্য ব্যাপক হারে বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয় আবেদন করেছেন। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত মোট ১৪টি কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু এসব কেন্দ্রের মালিকরা মন্ত্রণালয়ে দেনদরবার করে মেয়াদ বাড়িয়ে নিচ্ছেন। সাম্প্রতিক সময়ে দেখা যাচ্ছে, মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদনের নামে তারা দীর্ঘমেয়াদি ১৫ বছরের জন্য অনুমোদন চাইছে। এ নিয়ে বিদ্যুৎ খাতের প্রভাবশালী ব্যবসায়ীরা সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগ করে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।
অভিযোগ রয়েছে, পুরনো যন্ত্রপাতি দিয়ে স্থাপন করায় অনেক কেন্দ্রেই মাসের অধিকাংশ সময় উৎপাদন বন্ধ থাকে। তার পরও চুক্তিমাফিক বিদ্যুতের মিনিমাম গ্যারান্টি পেমেন্ট নিয়ে কোটি কোটি টাকা আয় করছে তারা। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মতে, এসব রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল কেন্দ্র থেকে আইপিপির আদলে দীর্ঘমেয়াদি বিদ্যুৎ কেনার চুক্তি করা হলেও ওইসব কেন্দ্র বন্ধই থাকবে- মাঝখান থেকে মিনিমাম গ্যারান্টি পেমেন্টের নামে তারা নিয়মিত কোটি কোটি টাকার বিল নিয়ে যাবে।
এ সম্পর্কে জানতে চাইলে মোফাজ্জেল হোসেন বলেন, 'আমরা তালিকা তৈরি কাজ শুরু করেছি। আরো কিছুদিন সময় লাগবে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিতে।' তিনি আরো বলেন, 'রেন্টাল থেকে আইপিপি করা যাবে না। কারণ আমাদের বিদ্যমান আইনে তা করা সম্ভব নয়। তবে রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর সঙ্গে আইপিপির আদলে দীর্ঘমেয়াদি বিদ্যুৎ কেনার চুক্তি করা যেতে পারে।'
পুরনো যন্ত্রপাতি দিয়ে স্থাপন করার কারণে রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো এখনই নিয়মিত বিদ্যুৎ দিতে পারছে না। তাহলে এসব কেন্দ্রের সঙ্গে কেন দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি করা হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে মোফাজ্জেল হোসেন বলেন, 'এটা ঠিক যে দেশের সব রেন্টাল কেন্দ্রের যন্ত্রপাতি নতুন নয়। অনেক কেন্দ্র বন্ধ রয়েছে। তবে যেসব কেন্দ্রের সক্ষমতা নেই আমরা তাদের ব্যাপারে সুপারিশ করব না।'
এদিকে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞদের অভিযোগ, রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়মিত করা হলে এ খাতে লুটপাট দীর্ঘস্থায়ী হবে। জনগণের অর্থ লুটপাট করার জন্যই এ বন্দোবস্ত হচ্ছে। সরকারের অনুগত কিছু ব্যবসায়ী এর সুবিধা পাবেন।'
জানতে চাইলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক ও তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্যসচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, 'লুটপাট স্থায়ীকরণের জন্য এটা করা হচ্ছে। এর সঙ্গে বিদ্যুতের উৎপাদন বাড়ানোর কোনো সম্পর্ক নেই।' তিনি আরো বলেন, 'বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সরকার কিছু নীতি গ্রহণ করলে স্বল্পমেয়াদি সহজ সমাধান ছিল। যেমন সরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো সংস্কার করা, গ্যাসভিত্তিক কেন্দ্র নির্মাণ করা, দেশীয় সংস্থা দিয়ে গ্যাস উত্তোলন করা। সরকার এসব না করে বরং কনোকো-ফিলিপস, গ্যাজপ্রম ও এশিয়া এনার্জিকে দিয়ে জ্বালানি খাতে বিদেশিদের জন্য লুটের ব্যবস্থা করেছে। আর দেশীয় কমিশনভোগীদের দিয়েছে রেন্টাল ও কুইক রেন্টালের নামে লুটপাটের সুযোগ।'
জানা যায়, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসে তিনটি রেন্টাল (৩ বছর মেয়াদি) ও ১৭টি কুইক রেন্টাল (৫ বছর মেয়াদি) বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করে, যার মোট উৎপাদন ক্ষমতা এক হাজার ৬৫৩ মেগাওয়াট। এর আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে উৎপাদনে আসে আরো পাঁচটি রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্র।
রেন্টাল-কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর কয়েকটির চলতি বছর আর বেশির ভাগেরই ২০১৫ সালের দিকে মেয়াদ শেষ হবে। মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই কেন্দ্রগুলোর উদ্যোক্তারা বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) সঙ্গে নিয়মিত বিদ্যুৎকেন্দ্র হিসেবে দীর্ঘমেয়াদি ক্রয় চুক্তি করার লক্ষ্যে বিশেষভাবে তৎপর হয়ে উঠেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রথম দিকে বিদ্যুৎ সংকট মোকাবিলার জন্য রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল বিদ্যুতের প্রয়োজন ছিল। কিন্তু এখন এ ধরনের অদক্ষ কেন্দ্রগুলো থেকে বিদ্যুৎ কেনার কোনো মানে হয় না।
এ বিষয়ে গঠিত কমিটির সদস্য পাওয়ার সেলের পরিচালক (ব্যবস্থাপনা) মোহাম্মদ হোসাইন গত বুধবার কালের কণ্ঠকে বলেন, 'এ নিয়ে কমিটি এখনো কাজ করে যাচ্ছে। তবে অনেক সদস্য গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় কাজে দেশের বাইরে থাকায় কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি হয়নি।'
ভর্তুকির টাকা যাবে ব্যবসায়ীদের পকেটে : সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গতবারের তুলনায় এবার বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকির পরিমাণ কিছুটা কমে গেছে। গতবার ছিল ছয় হাজার কোটি টাকা, এবার তা পাঁচ হাজার কোটি টাকা। গত অর্থবছরে বিদ্যুৎ খাতে দেওয়া ভর্তুকির পুরো টাকাই ব্যয় হয়েছে রেন্টাল-কুইক রেন্টাল থেকে এক হাজার ৬৫৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কিনতে গিয়ে। এসব বিদ্যুতের ইউনিটপ্রতি দাম আট টাকা থেকে শুরু করে ক্ষেত্রবিশেষ ৫০ টাকারও বেশি। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলেছেন, এবারও ভর্তুকির পুরোটাই যাবে রেন্টাল-কুইক রেন্টালের বিদ্যুৎ কেনার জন্য।
No comments