সীমান্তে হত্যা-সত্যিকার আস্থার অভাব
পাশাপাশি ভৌগোলিক অবস্থানের দুটি
বন্ধুপ্রতিম দেশের সীমান্তে যে পরিবেশ বজায় থাকা উচিত, তা বাংলাদেশের সঙ্গে
ভারত বা মিয়ানমার কারোরই নেই। ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের সঙ্গে
বিজিবির যোগাযোগ আগের তুলনায় অনেক নিবিড়
হলেও
পার্শ্ববর্তী অন্য দেশ মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী নাসাকা বাহিনীর সঙ্গে
যোগাযোগ প্রয়োজনের তুলনায় অনেক দুর্বল। তবে ভারতের সঙ্গে স্থলসীমান্ত অনেক
বেশি বিস্তৃত এবং চোরাচালানের আধিক্য থাকায় হতাহতের সংখ্যা অনেক বেশি।
বুধবার বিজিবি সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর
জেনারেল আজিজ আহমেদ যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা থেকে প্রকারান্তরে এমন কথাই
পরিস্ফুটিত হয়েছে। তাঁর বক্তব্য থেকে জানা গেছে, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী
বাহিনী এবং সে দেশের নাগরিকদের হাতে গত সাড়ে চার বছরে ২১৪ জন বাংলাদেশি
নিহত হয়েছে এবং আহত হয়েছে ৩২৩ জন। উল্লেখ্য, ভারতের সঙ্গে সীমান্তে যেসব
হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকে, তার পেছনে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই অবৈধভাবে গরু ও
ফেনসিডিল চোরাচালানের ঘটনা বিদ্যমান। আর মিয়ানমারের সঙ্গে সাধারণত রোহিঙ্গা
পুশ এবং পুশব্যাক নিয়ে সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে।
নিঃসন্দেহে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে সাড়ে চার বছরে ২১৪ জন বাংলাদেশি নাগরিকের নিহত হওয়া অস্বাভাবিক পরিবেশেরই প্রমাণ বহন করে। এটাও প্রমাণ করে যে সীমান্তের এই হত্যাকাণ্ড দুটি দেশের অভ্যন্তরীণ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির দুর্বলতারই বহিঃপ্রকাশ। আমরা জানি, বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকায় অনেক অবৈধ ফেনসিডিল কারখানা গড়ে উঠেছে। এই কারখানাগুলো থেকে পাচারকারীরা অর্থ আয়ের লোভ দেখিয়ে দরিদ্র মানুষকে ব্যবহার করে ফেনসিডিল আমদানি করে। যদিও সেসব কারখানা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে এবং ভারতের অভ্যন্তরে অন্য স্থান থেকে বর্তমানে ফেনসিডিল আনা হয় বলে বিজিবি মহাপরিচালক জানিয়েছেন। এটা অনুমেয়, শুধু এই প্রশ্রয়টি ভারতের অভ্যন্তরীণ প্রশাসন না দিলে সীমান্তে হতাহতের ঘটনা কমে আসবে। অন্যদিকে যারা ভারতে অবৈধভাবে প্রবেশ করে এবং অবৈধ পণ্য দেশে প্রবেশ করায়, তাদের প্রতিহত করাও বিজিবির একটি প্রধান দায়িত্ব। সেই সঙ্গে এ কথাও দুই দেশের সীমান্তরক্ষীদের মনে রাখা দরকার, শুধু আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধুত্বের চুক্তি দিয়ে সীমান্তে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখা যাবে না। এ জন্য পারস্পরিক আস্থা, বিশ্বস্ততা ও আন্তরিকতা গড়ে ওঠা খুবই জরুরি। সীমান্তের অপর পারের একজন মানুষের দিকে সহানুভূতির দৃষ্টিতে তাকানো প্রয়োজন। সব ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা কমিয়ে আনতে বিএসএফ ও নাসাকার সঙ্গে ঘন ঘন বৈঠক ও বিভিন্ন বিষয়ে আন্তরিক আলোচনার আয়োজন করলে সমস্যা অনেকটাই কমে আসবে বলে আমরা মনে করি।
নিঃসন্দেহে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে সাড়ে চার বছরে ২১৪ জন বাংলাদেশি নাগরিকের নিহত হওয়া অস্বাভাবিক পরিবেশেরই প্রমাণ বহন করে। এটাও প্রমাণ করে যে সীমান্তের এই হত্যাকাণ্ড দুটি দেশের অভ্যন্তরীণ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির দুর্বলতারই বহিঃপ্রকাশ। আমরা জানি, বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকায় অনেক অবৈধ ফেনসিডিল কারখানা গড়ে উঠেছে। এই কারখানাগুলো থেকে পাচারকারীরা অর্থ আয়ের লোভ দেখিয়ে দরিদ্র মানুষকে ব্যবহার করে ফেনসিডিল আমদানি করে। যদিও সেসব কারখানা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে এবং ভারতের অভ্যন্তরে অন্য স্থান থেকে বর্তমানে ফেনসিডিল আনা হয় বলে বিজিবি মহাপরিচালক জানিয়েছেন। এটা অনুমেয়, শুধু এই প্রশ্রয়টি ভারতের অভ্যন্তরীণ প্রশাসন না দিলে সীমান্তে হতাহতের ঘটনা কমে আসবে। অন্যদিকে যারা ভারতে অবৈধভাবে প্রবেশ করে এবং অবৈধ পণ্য দেশে প্রবেশ করায়, তাদের প্রতিহত করাও বিজিবির একটি প্রধান দায়িত্ব। সেই সঙ্গে এ কথাও দুই দেশের সীমান্তরক্ষীদের মনে রাখা দরকার, শুধু আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধুত্বের চুক্তি দিয়ে সীমান্তে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখা যাবে না। এ জন্য পারস্পরিক আস্থা, বিশ্বস্ততা ও আন্তরিকতা গড়ে ওঠা খুবই জরুরি। সীমান্তের অপর পারের একজন মানুষের দিকে সহানুভূতির দৃষ্টিতে তাকানো প্রয়োজন। সব ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা কমিয়ে আনতে বিএসএফ ও নাসাকার সঙ্গে ঘন ঘন বৈঠক ও বিভিন্ন বিষয়ে আন্তরিক আলোচনার আয়োজন করলে সমস্যা অনেকটাই কমে আসবে বলে আমরা মনে করি।
No comments