বাংলাদেশ হবে ভারতের পরিবহন সড়ক, সব সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত
আগামী এক মাস সময়ের মধ্যেই বাংলাদেশকে পরিবহন সড়ক হিসেবে ব্যবহার করতে যাচ্ছে ভারত। ইতোমধ্যে ভারতের ত্রিপুরায় খাদ্যশস্য পরিবহনে বাংলাদেশ অনুমতি দিয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতের ইন্দো-এশিয়ান নিউজ সার্ভিস (আইএএনএস)।শনিবার আইএএনএস- কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা জানিয়েছেন ত্রিপুরার খাদ্যমন্ত্রী ভানুলাল সাহা। বার্তা সংস্থাটির কাছে তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে ১০ হাজার মেট্রিক টন খাদ্যশস্য নিজ ভূ-খণ্ডের ওপর দিয়ে ত্রিপুরায় পরিবহনে সম্মত হয়েছে বাংলাদেশ সরকার।’ নিরাপত্তা বিষয়ক কিছু বিষয় নিষ্পত্তির পর এক মাসের মধ্যে এই খাদ্যশস্য পরিবহন শুরু হবে বলে জানান ভানুলাল। পশ্চিমবঙ্গের হালদিয়া বন্দর দিয়ে প্রবেশ করে আশুগঞ্জ হয়ে ভারতের দক্ষিণ-পূর্ব মিজোরাম, মণিপুর ও ত্রিপুরা রাজ্যে যাবে। প্রথমবারের এই চালানে চাল, গম ও চিনি নেওয়া হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের মুখ্য সচিব বি কে রায় আইএএনএস- কে জানান, ‘এই খাদ্যশস্য পরিবহনের জন্য ইতিমধ্যে দরপত্রও ডেকেছে ফুড করপোরেশন অব ইন্ডিয়া।’ সময় এবং খরচ বাঁচাতে বাংলাদেশের নদীপথ ও স্থলসড়ক ব্যবহার করে পশ্চিমবঙ্গ থেকে এদিকের দক্ষিণ-পূর্ব প্রদেশগুলোয় খাদ্যশস্য ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য নেওয়ার প্রক্রিয়া দীর্ঘ মেয়াদে চালু রাখতে চায় ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। বর্ষা মৌসুমসহ বছরের বেশিরভাগ সময় ভারতের এ প্রদেশগুলো খাদ্যের সরবরাহ সংকটে থাকে। খাদ্যপণ্য সংরক্ষণ ব্যবস্থার ঘাটতি, মালবাহী রেল ইঞ্জিনের অভাবসহ নানা কারণে এই সংকট বিরাজ করে বলে মন্ত্রী জানান। এছাড়া এসব রাজ্যের সঙ্গে ভারতের কেন্দ্রসহ অন্যান্য রাজ্যের বাণিজ্যিক সম্পর্কের ঘাটতির মূলে রয়েছে স্থলপথের বৈরী অবস্থা। রাজ্যগুলোর চারপাশজুড়ে রয়েছে মিয়ানমার, ভূটান, চীন ও বাংলাদেশ। মূল ভূ-খণ্ডের সঙ্গে যুক্ত অঞ্চলটি পাহাড়ি হওয়ায় সেখান দিয়ে পণ্য পরিবহন অত্যন্ত দুরূহ। অপ্রতুল যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে পশ্চিমবঙ্গ ও আসামের মধ্যকার বাংলাদেশ রুটটি ভারতের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করে দেশটির সরকার। বিশেষ করে বর্ষার মৌসুমে বন্যা ও ভূমিধসের কারণে ভারতের মূলভাগের সঙ্গে এ রাজ্যসমূহের সড়কপথ অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ থাকে। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য থেকে ভারী যন্ত্রাংশ কোনো কিছুই সরবরাহ সম্ভব হয় না। ফলে ভারত বহুদিন ধরে বাংলাদেশের কাছে রেলওয়ে, সড়কপথ ও সমুদ্রবন্দর ব্যবহারে অনুমতি চেয়ে আসছে। খরচ ও সময়ের দিক দিয়ে এটি তাদের জন্য অত্যন্ত লাভজনক হবে।
উল্লেখ্য, নয়াদিল্লি থেকে গোয়াহাটি হয়ে আগরতলার দূরত্ব যেখানে ২৬৩৭ কিলোমিটার আর কলকাতা ১ হাজার ৬৫০ কিলোমিটার সেখানে কলকাতা থেকে বাংলাদেশ হয়ে আগরতলা মাত্র ৩৫০ কিলোমিটারের দূরত্বে। ফলে বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে পণ্য পরিবহন করতে পারলে ভারতের কেন্দ্রের সঙ্গে এসব রাজ্যের প্রায় সাড়ে ছয়শ’ কিলোমিটার দূরত্ব কমিয়ে আনা সম্ভব। এতে দেশটির অন্যান্য অংশের সঙ্গে রাজ্যগুলোর বাণিজ্যিক ব্যবধান কমিয়ে আনা সম্ভব। সময় ও খরচ উভয়ই হিসেবেই লাভজনক। বাণিজ্যিক বিচ্ছিন্নতার কারণে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে এ অঞ্চলের মানুষের দূরত্বও কমিয়ে আনতে সক্ষম হবে নয়াদিল্লি। ২০১১ সালের মে মাসে ত্রিপুরায় একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে প্রয়োজনীয় যন্ত্রাপাতি নেয়া হয় বাংলাদেশের ভূ-খণ্ড ব্যবহার করে। ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলা থেকে ২৬ কিলোমিটার দূরে পালটানায় ওই বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ হচ্ছে। বাংলাদেশ-ভারত ট্রান্সশিপমেন্টের আওতায় ওই যন্ত্রাংশের চালান বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ত্রিপুরা নেয়া হয়। এদিকে, নেপাল ও ভূটান তাদের ব্যবসা বাড়াতে এই পরিবহন সুবিধা ব্যবহারে আগ্রহী হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আগামী এক মাস সময়ের মধ্যেই বাংলাদেশকে পরিবহন সড়ক হিসেবে ব্যবহার করতে যাচ্ছে ভারত। ইতোমধ্যে ভারতের ত্রিপুরায় খাদ্যশস্য পরিবহনে বাংলাদেশ অনুমতি দিয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতের ইন্দো-এশিয়ান নিউজ সার্ভিস (আইএএনএস)।শনিবার আইএএনএস- কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা জানিয়েছেন ত্রিপুরার খাদ্যমন্ত্রী ভানুলাল সাহা। বার্তা সংস্থাটির কাছে তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে ১০ হাজার মেট্রিক টন খাদ্যশস্য নিজ ভূ-খণ্ডের ওপর দিয়ে ত্রিপুরায় পরিবহনে সম্মত হয়েছে বাংলাদেশ সরকার।’ নিরাপত্তা বিষয়ক কিছু বিষয় নিষ্পত্তির পর এক মাসের মধ্যে এই খাদ্যশস্য পরিবহন শুরু হবে বলে জানান ভানুলাল। পশ্চিমবঙ্গের হালদিয়া বন্দর দিয়ে প্রবেশ করে আশুগঞ্জ হয়ে ভারতের দক্ষিণ-পূর্ব মিজোরাম, মণিপুর ও ত্রিপুরা রাজ্যে যাবে। প্রথমবারের এই চালানে চাল, গম ও চিনি নেওয়া হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের মুখ্য সচিব বি কে রায় আইএএনএস- কে জানান, ‘এই খাদ্যশস্য পরিবহনের জন্য ইতিমধ্যে দরপত্রও ডেকেছে ফুড করপোরেশন অব ইন্ডিয়া।’ সময় এবং খরচ বাঁচাতে বাংলাদেশের নদীপথ ও স্থলসড়ক ব্যবহার করে পশ্চিমবঙ্গ থেকে এদিকের দক্ষিণ-পূর্ব প্রদেশগুলোয় খাদ্যশস্য ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য নেওয়ার প্রক্রিয়া দীর্ঘ মেয়াদে চালু রাখতে চায় ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। বর্ষা মৌসুমসহ বছরের বেশিরভাগ সময় ভারতের এ প্রদেশগুলো খাদ্যের সরবরাহ সংকটে থাকে। খাদ্যপণ্য সংরক্ষণ ব্যবস্থার ঘাটতি, মালবাহী রেল ইঞ্জিনের অভাবসহ নানা কারণে এই সংকট বিরাজ করে বলে মন্ত্রী জানান। এছাড়া এসব রাজ্যের সঙ্গে ভারতের কেন্দ্রসহ অন্যান্য রাজ্যের বাণিজ্যিক সম্পর্কের ঘাটতির মূলে রয়েছে স্থলপথের বৈরী অবস্থা। রাজ্যগুলোর চারপাশজুড়ে রয়েছে মিয়ানমার, ভূটান, চীন ও বাংলাদেশ।
মূল ভূ-খণ্ডের সঙ্গে যুক্ত অঞ্চলটি পাহাড়ি হওয়ায় সেখান দিয়ে পণ্য পরিবহন অত্যন্ত দুরূহ। অপ্রতুল যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে পশ্চিমবঙ্গ ও আসামের মধ্যকার বাংলাদেশ রুটটি ভারতের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করে দেশটির সরকার। বিশেষ করে বর্ষার মৌসুমে বন্যা ও ভূমিধসের কারণে ভারতের মূলভাগের সঙ্গে এ রাজ্যসমূহের সড়কপথ অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ থাকে। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য থেকে ভারী যন্ত্রাংশ কোনো কিছুই সরবরাহ সম্ভব হয় না। ফলে ভারত বহুদিন ধরে বাংলাদেশের কাছে রেলওয়ে, সড়কপথ ও সমুদ্রবন্দর ব্যবহারে অনুমতি চেয়ে আসছে। খরচ ও সময়ের দিক দিয়ে এটি তাদের জন্য অত্যন্ত লাভজনক হবে।
উল্লেখ্য, নয়াদিল্লি থেকে গোয়াহাটি হয়ে আগরতলার দূরত্ব যেখানে ২৬৩৭ কিলোমিটার আর কলকাতা ১ হাজার ৬৫০ কিলোমিটার সেখানে কলকাতা থেকে বাংলাদেশ হয়ে আগরতলা মাত্র ৩৫০ কিলোমিটারের দূরত্বে। ফলে বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে পণ্য পরিবহন করতে পারলে ভারতের কেন্দ্রের সঙ্গে এসব রাজ্যের প্রায় সাড়ে ছয়শ’ কিলোমিটার দূরত্ব কমিয়ে আনা সম্ভব। এতে দেশটির অন্যান্য অংশের সঙ্গে রাজ্যগুলোর বাণিজ্যিক ব্যবধান কমিয়ে আনা সম্ভব। সময় ও খরচ উভয়ই হিসেবেই লাভজনক। বাণিজ্যিক বিচ্ছিন্নতার কারণে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে এ অঞ্চলের মানুষের দূরত্বও কমিয়ে আনতে সক্ষম হবে নয়াদিল্লি। ২০১১ সালের মে মাসে ত্রিপুরায় একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে প্রয়োজনীয় যন্ত্রাপাতি নেয়া হয় বাংলাদেশের ভূ-খণ্ড ব্যবহার করে। ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলা থেকে ২৬ কিলোমিটার দূরে পালটানায় ওই বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ হচ্ছে। বাংলাদেশ-ভারত ট্রান্সশিপমেন্টের আওতায় ওই যন্ত্রাংশের চালান বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ত্রিপুরা নেয়া হয়। এদিকে, নেপাল ও ভূটান তাদের ব্যবসা বাড়াতে এই পরিবহন সুবিধা ব্যবহারে আগ্রহী হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আগামী এক মাস সময়ের মধ্যেই বাংলাদেশকে পরিবহন সড়ক হিসেবে ব্যবহার করতে যাচ্ছে ভারত। ইতোমধ্যে ভারতের ত্রিপুরায় খাদ্যশস্য পরিবহনে বাংলাদেশ অনুমতি দিয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতের ইন্দো-এশিয়ান নিউজ সার্ভিস (আইএএনএস)।শনিবার আইএএনএস- কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা জানিয়েছেন ত্রিপুরার খাদ্যমন্ত্রী ভানুলাল সাহা। বার্তা সংস্থাটির কাছে তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে ১০ হাজার মেট্রিক টন খাদ্যশস্য নিজ ভূ-খণ্ডের ওপর দিয়ে ত্রিপুরায় পরিবহনে সম্মত হয়েছে বাংলাদেশ সরকার।’ নিরাপত্তা বিষয়ক কিছু বিষয় নিষ্পত্তির পর এক মাসের মধ্যে এই খাদ্যশস্য পরিবহন শুরু হবে বলে জানান ভানুলাল। পশ্চিমবঙ্গের হালদিয়া বন্দর দিয়ে প্রবেশ করে আশুগঞ্জ হয়ে ভারতের দক্ষিণ-পূর্ব মিজোরাম, মণিপুর ও ত্রিপুরা রাজ্যে যাবে। প্রথমবারের এই চালানে চাল, গম ও চিনি নেওয়া হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের মুখ্য সচিব বি কে রায় আইএএনএস- কে জানান, ‘এই খাদ্যশস্য পরিবহনের জন্য ইতিমধ্যে দরপত্রও ডেকেছে ফুড করপোরেশন অব ইন্ডিয়া।’ সময় এবং খরচ বাঁচাতে বাংলাদেশের নদীপথ ও স্থলসড়ক ব্যবহার করে পশ্চিমবঙ্গ থেকে এদিকের দক্ষিণ-পূর্ব প্রদেশগুলোয় খাদ্যশস্য ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য নেওয়ার প্রক্রিয়া দীর্ঘ মেয়াদে চালু রাখতে চায় ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। বর্ষা মৌসুমসহ বছরের বেশিরভাগ সময় ভারতের এ প্রদেশগুলো খাদ্যের সরবরাহ সংকটে থাকে। খাদ্যপণ্য সংরক্ষণ ব্যবস্থার ঘাটতি, মালবাহী রেল ইঞ্জিনের অভাবসহ নানা কারণে এই সংকট বিরাজ করে বলে মন্ত্রী জানান। এছাড়া এসব রাজ্যের সঙ্গে ভারতের কেন্দ্রসহ অন্যান্য রাজ্যের বাণিজ্যিক সম্পর্কের ঘাটতির মূলে রয়েছে স্থলপথের বৈরী অবস্থা। রাজ্যগুলোর চারপাশজুড়ে রয়েছে মিয়ানমার, ভূটান, চীন ও বাংলাদেশ।
মূল ভূ-খণ্ডের সঙ্গে যুক্ত অঞ্চলটি পাহাড়ি হওয়ায় সেখান দিয়ে পণ্য পরিবহন অত্যন্ত দুরূহ। অপ্রতুল যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে পশ্চিমবঙ্গ ও আসামের মধ্যকার বাংলাদেশ রুটটি ভারতের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করে দেশটির সরকার। বিশেষ করে বর্ষার মৌসুমে বন্যা ও ভূমিধসের কারণে ভারতের মূলভাগের সঙ্গে এ রাজ্যসমূহের সড়কপথ অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ থাকে। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য থেকে ভারী যন্ত্রাংশ কোনো কিছুই সরবরাহ সম্ভব হয় না। ফলে ভারত বহুদিন ধরে বাংলাদেশের কাছে রেলওয়ে, সড়কপথ ও সমুদ্রবন্দর ব্যবহারে অনুমতি চেয়ে আসছে। খরচ ও সময়ের দিক দিয়ে এটি তাদের জন্য অত্যন্ত লাভজনক হবে।
No comments