সপ্তাহের নায়ক সপ্তাসিন্ধু by কফিল উদ্দিন
বগুড়ার সরকারি শাহসুলতান কলেজের অর্থনীতি
বিভাগের অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্র কফিল উদ্দিন। ২৩ জুন শেরপুরের এমআর
ছাত্রাবাসে মাদক বিক্রির প্রতিবাদ করায় মাদক বিক্রেতাদের হামলার শিকার হন
তিনি।
তাঁর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সবুজ চৌধুরী
মাদক বিক্রেতাদের প্রতিবাদ করার সাহস পেলেন কীভাবে?
আমাদের এমআর ছাত্রাবাসে প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ছাত্রাবাসের পাশের বাসিন্দা মোক্তার হোসেনসহ তার সহোদর দুই ভাই ফরিদ হোসেন ও গোলাম রব্বানী নেশাগ্রস্ত যুবকদের ছাত্রাবাসের ভেতরে এনে ফেনসিডিল বিক্রি করত। এতে ছাত্রাবাসে থাকা সব ছাত্রের লেখাপড়ায় বিঘ্ন ঘটত। এ কারণে আমি ছাত্রাবাসের ভেতরে মাদকদ্রব্য বিক্রি বন্ধ এবং ছাত্রাবাসের লেখাপড়ার পরিবেশ সৃষ্টির জন্য প্রতিবাদ করি।
তারপর?
প্রতিবাদের কারণে ওই তিন মাদক বিক্রেতা আমার ওপর লোহার রড ও লাঠিসোটা নিয়ে আক্রমণ করে রক্তাক্ত জখম করে ছাত্রাবাসের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে আমাকেসহ ছাত্রাবাসের অন্য ছাত্রদের জিম্মি করে রাখে। ঘটনার প্রায় এক ঘণ্টা পর পুলিশ এসে আমাদের উদ্ধার করে।
আপনি কি মনে করেন আপনার দেখাদেখি অন্য কেউ এ রকম ভূমিকায় এগিয়ে আসবে?
দেখুন, মাদককে ঘৃণা করে বেশির ভাগ মানুষ। আর যারা এসব বিক্রি করে, তারাও সংখ্যায় সামান্য। কিন্তু তারা বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক দলের নেতাদের আশ্রয়ে থাকে। মাদক বিক্রেতারা সংঘবদ্ধ হয়ে যে ধরনের আক্রমণ করে, তা প্রতিরোধ করাকে বাড়তি ঝামেলা হিসেবে মনে করে অনেকেই। যদি আইন প্রয়োগকারী সংস্থা তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় না দিয়ে সঠিক আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করে, তবে অনেকেই মাদক প্রতিরোধে ভূমিকা রাখতে পারে। এতে মাদকাসক্ত যুবকদের পরিবার-পরিজনেরা নেশার ছোবল থেকে তাদের রক্ষা করতে পারবে।
আপনি রক্তাক্ত জখমের ঘটনায় আইনের আশ্রয় নেওয়ার পরের ঘটনা বলবেন?
থানায় মামলা করার পর থেকেই মাদক বিক্রেতাদের আত্মীয়স্বজন আমাকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দেয়। জীবনের ভয়ে আমি ছাত্রাবাস ছেড়ে গ্রামের বাড়িতে চলে এসেছি। বাড়ি ফিরে এলেও মুঠোফোনে হুমকি অব্যাহত রয়েছে। আমি যে কলেজে যাব এবং ভালোভাবে বাড়ি ফিরে আসব, এখন এর কোনো নিশ্চয়তা নেই। বাড়ি থেকে বের হলেই আতঙ্কে থাকতে হচ্ছে। তবে মামলায় এজাহারভুক্ত দুজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করলেও মাদক বিক্রেতাদের পরিবারের সদস্যরা আমাকে হুমকি দিয়েই যাচ্ছে।
ওই এলাকাকে মাদকমুক্ত করতে আপনার পরামর্শ কী?
মাদকের বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার পাশাপাশি সাধারণ মানুষকেও ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
মাদক বিক্রেতাদের প্রতিবাদ করার সাহস পেলেন কীভাবে?
আমাদের এমআর ছাত্রাবাসে প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ছাত্রাবাসের পাশের বাসিন্দা মোক্তার হোসেনসহ তার সহোদর দুই ভাই ফরিদ হোসেন ও গোলাম রব্বানী নেশাগ্রস্ত যুবকদের ছাত্রাবাসের ভেতরে এনে ফেনসিডিল বিক্রি করত। এতে ছাত্রাবাসে থাকা সব ছাত্রের লেখাপড়ায় বিঘ্ন ঘটত। এ কারণে আমি ছাত্রাবাসের ভেতরে মাদকদ্রব্য বিক্রি বন্ধ এবং ছাত্রাবাসের লেখাপড়ার পরিবেশ সৃষ্টির জন্য প্রতিবাদ করি।
তারপর?
প্রতিবাদের কারণে ওই তিন মাদক বিক্রেতা আমার ওপর লোহার রড ও লাঠিসোটা নিয়ে আক্রমণ করে রক্তাক্ত জখম করে ছাত্রাবাসের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে আমাকেসহ ছাত্রাবাসের অন্য ছাত্রদের জিম্মি করে রাখে। ঘটনার প্রায় এক ঘণ্টা পর পুলিশ এসে আমাদের উদ্ধার করে।
আপনি কি মনে করেন আপনার দেখাদেখি অন্য কেউ এ রকম ভূমিকায় এগিয়ে আসবে?
দেখুন, মাদককে ঘৃণা করে বেশির ভাগ মানুষ। আর যারা এসব বিক্রি করে, তারাও সংখ্যায় সামান্য। কিন্তু তারা বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক দলের নেতাদের আশ্রয়ে থাকে। মাদক বিক্রেতারা সংঘবদ্ধ হয়ে যে ধরনের আক্রমণ করে, তা প্রতিরোধ করাকে বাড়তি ঝামেলা হিসেবে মনে করে অনেকেই। যদি আইন প্রয়োগকারী সংস্থা তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় না দিয়ে সঠিক আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করে, তবে অনেকেই মাদক প্রতিরোধে ভূমিকা রাখতে পারে। এতে মাদকাসক্ত যুবকদের পরিবার-পরিজনেরা নেশার ছোবল থেকে তাদের রক্ষা করতে পারবে।
আপনি রক্তাক্ত জখমের ঘটনায় আইনের আশ্রয় নেওয়ার পরের ঘটনা বলবেন?
থানায় মামলা করার পর থেকেই মাদক বিক্রেতাদের আত্মীয়স্বজন আমাকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দেয়। জীবনের ভয়ে আমি ছাত্রাবাস ছেড়ে গ্রামের বাড়িতে চলে এসেছি। বাড়ি ফিরে এলেও মুঠোফোনে হুমকি অব্যাহত রয়েছে। আমি যে কলেজে যাব এবং ভালোভাবে বাড়ি ফিরে আসব, এখন এর কোনো নিশ্চয়তা নেই। বাড়ি থেকে বের হলেই আতঙ্কে থাকতে হচ্ছে। তবে মামলায় এজাহারভুক্ত দুজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করলেও মাদক বিক্রেতাদের পরিবারের সদস্যরা আমাকে হুমকি দিয়েই যাচ্ছে।
ওই এলাকাকে মাদকমুক্ত করতে আপনার পরামর্শ কী?
মাদকের বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার পাশাপাশি সাধারণ মানুষকেও ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
No comments