এপির খবর-জিএসপি স্থগিত হতে যাচ্ছে!
যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পণ্য রপ্তানির
ক্ষেত্রে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য সুবিধা বা জিএসপি থাকা-না থাকার ফলাফলের
অপেক্ষায় রয়েছে বাংলাদেশ। আজ শুক্রবারের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র থেকে
এ-সংক্রান্ত ফলাফল পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
শেষ মুহূর্তে
জিএসপি সুবিধা রক্ষায় সাত বছর পর দ্বিপক্ষীয় বিনিয়োগ ও বাণিজ্য সহযোগিতা
ফোরাম চুক্তি- টিকফা মন্ত্রিসভায় অনুমোদন দেওয়ার পর বাণিজ্য
মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের আশা, জিএসপি সুবিধাটা আপাতত বহালই থাকবে। তবে আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা এপি জানিয়েছে, বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা স্থগিত করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটন পোস্টেও এপির বরাত দিয়ে খবরটি ছাপা হয়েছে।
নিয়ম অনুযায়ী, আগামী ৩০ জুনের মধ্যে বাংলাদেশের জিএসপি বিষয়ে ওবামা প্রশাসনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হবে। তবে এর মধ্যে শনিবার ও রবিবার যুক্তরাষ্ট্রে সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় আজ শুক্রবারের মধ্যেই দেশটির কাছ থেকে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানা যাবে বলে ধারণা করছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় হিসেবে খ্যাত ইউনাইটেড স্টেটস ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভ (ইউএসটিআর) এ সিদ্ধান্ত জানাবে। তার আগে দেশটির প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার এতে স্বাক্ষর করার কথা রয়েছে। বারাক ওবামা এখন সেনেগাল সফরে রয়েছেন বলে জানা গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, দেশত্যাগের আগেই ওবামা এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করে গেছেন।
সংবাদ সংস্থা এপির তথ্য মতে, শ্রম অধিকার ও কারখানায় কাজের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ থাকায় বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা স্থগিত করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এ নিয়ে বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার রাতে ওবামা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘোষণা আসার কথা রয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসনাল একজন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এপি জানায়, দীর্ঘ কয়েক বছর বাংলাদেশের শ্রম পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের পর এ সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে ওয়াশিংটন। এ ক্ষেত্রে ওবামাকে তাড়িত করছেন ডেমোক্র্যাট দলের আইন প্রণেতারা, যা রানা প্লাজা ধসে হতাহতের ঘটনায় আরো গুরুত্ব পায়। জেনারেলাইজড সিস্টেম অব প্রেফারেন্সেস বা জিএসপির আওতায় বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রায় পাঁচ হাজার পণ্য রপ্তানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা পায়। যদিও কংগ্রেসনাল ওই কর্মকর্তা জানান, বাংলাদেশকে জিএসপি থেকে পুরোপুরি বাদ দেওয়া হবে না, বরং তা সাময়িক স্থগিত করা হবে। এ ক্ষেত্রে রোডম্যাপ অনুযায়ী শ্রম নিরাপত্তার বিষয়ে উন্নতি করলেই কেবল জিএসপি পুনর্বহালের সুযোগ দেওয়া হবে।
যুক্তরাষ্ট্রে জিএসপি সুবিধা থাকা-না থাকা প্রসঙ্গে কথা বলতে গতকাল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুব আহমেদের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল ও এসএমএস দেওয়া হলেও তিনি তাতে কোনো সাড়া দেননি। তবে গত বুধবার জিএসপিসংক্রান্ত যুক্তরাষ্ট্রের কোনো সিদ্ধান্ত জানা নেই উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, 'আমরাও ফলাফলের অপেক্ষায় আছি।'
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট একাধিক অতিরিক্ত সচিব ও যুগ্ম সচিব নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্তরাষ্ট্র কোনো ঘোষণা না দেওয়ায় তাঁরাও এ বিষয়ে কোনো কিছুই জানেন না। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে মিশ্র আভাস পাওয়া গেছে। তাই শেষ মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রের আনুষ্ঠানিক ঘোষণার অপেক্ষায় আছেন তাঁরা।
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের অন্যতম হলো তৈরি পোশাক। এ পণ্য ওই দেশে জিএসপি সুবিধা পায় না। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা হিমায়িত মৎস্য জিএসপি সুবিধার বাইরে। পণ্যটি অন্যান্য দেশের মতো যুক্তরাষ্ট্রেও শুল্কমুক্ত রপ্তানি সুবিধা ভোগ করে। তাই যুক্তরাষ্ট্রে জিএসপি বাতিল হলে দেশটিতে বাংলাদেশের রপ্তানি খুব একটা কমবে না বলে ধারণা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের। কারণ বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রে মোট যে পরিমাণ পণ্য রপ্তানি করে, তার মাত্র ৫ শতাংশ এ সুবিধা পায়। তবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আশঙ্কা, যুক্তরাষ্ট্রে জিএসপি বাতিল হলে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, কানাডাসহ অন্যান্য দেশেও এর প্রভাব পড়তে পারে। আর এটি হলে বাংলাদেশের রপ্তানির ওপর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের আশা, জিএসপি সুবিধাটা আপাতত বহালই থাকবে। তবে আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা এপি জানিয়েছে, বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা স্থগিত করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটন পোস্টেও এপির বরাত দিয়ে খবরটি ছাপা হয়েছে।
নিয়ম অনুযায়ী, আগামী ৩০ জুনের মধ্যে বাংলাদেশের জিএসপি বিষয়ে ওবামা প্রশাসনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হবে। তবে এর মধ্যে শনিবার ও রবিবার যুক্তরাষ্ট্রে সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় আজ শুক্রবারের মধ্যেই দেশটির কাছ থেকে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানা যাবে বলে ধারণা করছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় হিসেবে খ্যাত ইউনাইটেড স্টেটস ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভ (ইউএসটিআর) এ সিদ্ধান্ত জানাবে। তার আগে দেশটির প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার এতে স্বাক্ষর করার কথা রয়েছে। বারাক ওবামা এখন সেনেগাল সফরে রয়েছেন বলে জানা গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, দেশত্যাগের আগেই ওবামা এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করে গেছেন।
সংবাদ সংস্থা এপির তথ্য মতে, শ্রম অধিকার ও কারখানায় কাজের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ থাকায় বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা স্থগিত করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এ নিয়ে বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার রাতে ওবামা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘোষণা আসার কথা রয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসনাল একজন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এপি জানায়, দীর্ঘ কয়েক বছর বাংলাদেশের শ্রম পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের পর এ সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে ওয়াশিংটন। এ ক্ষেত্রে ওবামাকে তাড়িত করছেন ডেমোক্র্যাট দলের আইন প্রণেতারা, যা রানা প্লাজা ধসে হতাহতের ঘটনায় আরো গুরুত্ব পায়। জেনারেলাইজড সিস্টেম অব প্রেফারেন্সেস বা জিএসপির আওতায় বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রায় পাঁচ হাজার পণ্য রপ্তানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা পায়। যদিও কংগ্রেসনাল ওই কর্মকর্তা জানান, বাংলাদেশকে জিএসপি থেকে পুরোপুরি বাদ দেওয়া হবে না, বরং তা সাময়িক স্থগিত করা হবে। এ ক্ষেত্রে রোডম্যাপ অনুযায়ী শ্রম নিরাপত্তার বিষয়ে উন্নতি করলেই কেবল জিএসপি পুনর্বহালের সুযোগ দেওয়া হবে।
যুক্তরাষ্ট্রে জিএসপি সুবিধা থাকা-না থাকা প্রসঙ্গে কথা বলতে গতকাল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুব আহমেদের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল ও এসএমএস দেওয়া হলেও তিনি তাতে কোনো সাড়া দেননি। তবে গত বুধবার জিএসপিসংক্রান্ত যুক্তরাষ্ট্রের কোনো সিদ্ধান্ত জানা নেই উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, 'আমরাও ফলাফলের অপেক্ষায় আছি।'
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট একাধিক অতিরিক্ত সচিব ও যুগ্ম সচিব নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্তরাষ্ট্র কোনো ঘোষণা না দেওয়ায় তাঁরাও এ বিষয়ে কোনো কিছুই জানেন না। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে মিশ্র আভাস পাওয়া গেছে। তাই শেষ মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রের আনুষ্ঠানিক ঘোষণার অপেক্ষায় আছেন তাঁরা।
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের অন্যতম হলো তৈরি পোশাক। এ পণ্য ওই দেশে জিএসপি সুবিধা পায় না। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা হিমায়িত মৎস্য জিএসপি সুবিধার বাইরে। পণ্যটি অন্যান্য দেশের মতো যুক্তরাষ্ট্রেও শুল্কমুক্ত রপ্তানি সুবিধা ভোগ করে। তাই যুক্তরাষ্ট্রে জিএসপি বাতিল হলে দেশটিতে বাংলাদেশের রপ্তানি খুব একটা কমবে না বলে ধারণা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের। কারণ বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রে মোট যে পরিমাণ পণ্য রপ্তানি করে, তার মাত্র ৫ শতাংশ এ সুবিধা পায়। তবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আশঙ্কা, যুক্তরাষ্ট্রে জিএসপি বাতিল হলে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, কানাডাসহ অন্যান্য দেশেও এর প্রভাব পড়তে পারে। আর এটি হলে বাংলাদেশের রপ্তানির ওপর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
No comments