ইউনূস-ফখরুল বৈঠক'গ্রামীণ ব্যাংক ভাঙার প্রস্তাব ষড়যন্ত্রমূলক'
গ্রামীণ ব্যাংক বিভক্তির প্রস্তাবকে
ষড়যন্ত্রমূলক হিসেবে অভিহিত করে তা থেকে সরকারকে বিরত থাকার আহ্বান
জানিয়েছে বিএনপি। সেই সঙ্গে গ্রামীণ ব্যাংকের পাশে থাকারও আশ্বাস দিয়েছে
দলটি।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে মিরপুরে ইউনূস সেন্টারে
গ্রামীণ ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও নোবেল পুরস্কার বিজয়ী
অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকের পর বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে
ফিরে দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ তথ্য দেন।
সকাল ৯টা থেকে পৌনে ১০টা পর্যন্ত ইউনূস সেন্টারে ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেন ফখরুল। বৈঠকে দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাবিহ উদ্দিন আহমেদও উপস্থিত ছিলেন। পরে সেখান থেকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গিয়ে সকাল ১১টায় ফখরুল সাংবাদিকদের কাছে বৈঠকের বিষয়বস্তু তুলে ধরেন।
ফখরুল বলেন, 'গ্রামীণ ব্যাংক ও মুহাম্মদ ইউনূসের ওপর সরকার রুষ্ট হয়ে এসব করছে। গ্রামীণ ব্যাংক ইনকোয়ারি কমিশন এই প্রতিষ্ঠানকে ১৯ টুকরো করার প্রস্তাব করেছে। এটা একটি ষড়যন্ত্রমূলক চক্রান্ত বলে আমরা মনে করি। আমরা সরকারের এহেন কর্মকাণ্ডে উদ্বেগ ও নিন্দা জানাচ্ছি। সরকারকে বলব, দাম্ভিকতা পরিহার করে বাস্তবতা বুঝে চক্রান্তের পথ থেকে সরে আসুন। গ্রামীণ ব্যাংককে তার মতো করে চলতে দিন।'
মির্জা ফখরুল বলেন, 'মুহাম্মদ ইউনূস সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেশনাল অ্যাওয়ার্ড সম্মান লাভ করেছেন। তাঁকে অভিনন্দন জানাতে আমি গ্রামীণ সেন্টারে গিয়েছিলাম। আমরা গ্রামীণ ব্যাংকের বর্তমান অবস্থা নিয়ে আলোচনা করেছি। বিএনপি গ্রামীণ ব্যাংকের পাশে আছে, থাকবে- এই সমর্থনও জানিয়েছি।' এক প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, 'রাজনৈতিক কোনো বিষয় নিয়ে আমরা আলোচনা করিনি। কারণ ইউনূস সাহেব রাজনীতি করেন না।' বিএনপি ক্ষমতায় গেলে গ্রামীণ ব্যাংককে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনবে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'এ বিষয়ে সংসদে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ যে কথা বলেছেন, আমরা তাই করব।'
সরকারের আচরণে ক্ষোভ প্রকাশ করে মির্জা ফখরুল বলেন, 'অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংকের মাধ্যমে ৮৪ লাখ নারীকে সচ্ছলতা দিয়ে গ্রামীণ অর্থনীতিকে সজীব করেছেন। এই অর্থনীতিকে আমরা ম্যাজিক ইকোনমি বলছি। আজকে তাঁকে হেয় প্রতিপন্ন করা হচ্ছে। তাঁর প্রতি দুর্ব্যবহার করছে সরকার। তারা গ্রামীণ ব্যাংক ও অধ্যাপক ইউনূসের ওপর খৰ হস্ত চালাচ্ছে।'
ইউনূসের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, 'তিনি অর্থনীতির শিক্ষক ছিলেন। আমি অর্থনীতির ছাত্র ছিলাম। আমাদের মধ্যে সখ্য বহুদিনের। মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশের একজন অবিস্মরণীয় গর্বের নাম। দেশে এ রকম মানুষের সংখ্যা একেবারেই কম। বিদেশে গেলে নোবেল বিজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের কথা বললে আমাদের বাংলাদেশিদের আলাদা মর্যাদা দেয়। এই প্রজ্ঞাবান দূরদৃষ্টিসম্পন্ন ব্যক্তিত্বকে সরকার পদে পদে হেনস্তা করছে।'
কয়েক দিন আগে বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার অভিনন্দনপত্র মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে পৌঁছে দেন দলের সহসভাপতি শমসের মবিন চৌধুরী ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. ওসমান ফারুক।
পদ্মা সেতুর টেন্ডার পাগলের প্রলাপ : ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়বস্তু তুলে ধরা ছাড়াও সাম্প্রতিক বিষয় নিয়েও কথা বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, 'পদ্মা সেতু আমাদের জনগণের একটি আশার আলো ছিল। সরকারের একগুঁয়েমি ও দাম্ভিকতার কারণে বিশ্বব্যাংক এই সেতু প্রকল্প থেকে অর্থায়ন তুলে নিয়ে গেছে। সবাই বলেছে, বিশ্বব্যাংক ছাড়া এ ধরনের বৃহৎ সেতু নির্মাণ অসম্ভব। এখন পদ্মা সেতুর টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে। এটি পাগলের প্রলাপ ছাড়া কিছুই নয়। বিশ্বব্যাংক ছাড়া এই সেতু নির্মাণ ইমপসিবল।' তিনি আরো বলেন, সেতু নির্মাণে অর্থ হয়তো পাওয়া যাবে; কিন্তু এতে কোনো ভালো নির্মাতা প্রতিষ্ঠান জড়িত হবে না। যেখানে বিশ্বব্যাংক ও এডিবির মতো প্রতিষ্ঠান যুক্ত থাকে না, সেখানে ভালো নির্মাতারা আসবে না। ফখরুল অভিযোগ করে বলেন, শুধু এক দুর্নীতিপরায়ণ ব্যক্তিকে বাঁচাতে পদ্মা সেতু প্রকল্প থেকে বিশ্বব্যাংককে হারাতে হলো।
নির্দলীয় সরকার ব্যবস্থা সংযোজন করুন : মির্জা ফখরুল বলেন, 'কেবল প্রধানমন্ত্রীর কারণে নির্দলীয় সরকারের ব্যবস্থা সংবিধান থেকে বাতিল করা হয়েছে। এর ফলে গোটা জাতিকে আজ অনিশ্চয়তা, রক্তপাত ও সংঘর্ষের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। সরকারকে বলব, এখনো সময় আছে, দাম্ভিকতা ছেড়ে দিয়ে বাস্তবতা মেনে নিন। জনগণের মুখের ভাষা বুঝতে চেষ্টা করুন। নির্দলীয় সরকার ব্যবস্থা সংবিধানে সংযোজন করুন।'
সকাল ৯টা থেকে পৌনে ১০টা পর্যন্ত ইউনূস সেন্টারে ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেন ফখরুল। বৈঠকে দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাবিহ উদ্দিন আহমেদও উপস্থিত ছিলেন। পরে সেখান থেকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গিয়ে সকাল ১১টায় ফখরুল সাংবাদিকদের কাছে বৈঠকের বিষয়বস্তু তুলে ধরেন।
ফখরুল বলেন, 'গ্রামীণ ব্যাংক ও মুহাম্মদ ইউনূসের ওপর সরকার রুষ্ট হয়ে এসব করছে। গ্রামীণ ব্যাংক ইনকোয়ারি কমিশন এই প্রতিষ্ঠানকে ১৯ টুকরো করার প্রস্তাব করেছে। এটা একটি ষড়যন্ত্রমূলক চক্রান্ত বলে আমরা মনে করি। আমরা সরকারের এহেন কর্মকাণ্ডে উদ্বেগ ও নিন্দা জানাচ্ছি। সরকারকে বলব, দাম্ভিকতা পরিহার করে বাস্তবতা বুঝে চক্রান্তের পথ থেকে সরে আসুন। গ্রামীণ ব্যাংককে তার মতো করে চলতে দিন।'
মির্জা ফখরুল বলেন, 'মুহাম্মদ ইউনূস সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেশনাল অ্যাওয়ার্ড সম্মান লাভ করেছেন। তাঁকে অভিনন্দন জানাতে আমি গ্রামীণ সেন্টারে গিয়েছিলাম। আমরা গ্রামীণ ব্যাংকের বর্তমান অবস্থা নিয়ে আলোচনা করেছি। বিএনপি গ্রামীণ ব্যাংকের পাশে আছে, থাকবে- এই সমর্থনও জানিয়েছি।' এক প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, 'রাজনৈতিক কোনো বিষয় নিয়ে আমরা আলোচনা করিনি। কারণ ইউনূস সাহেব রাজনীতি করেন না।' বিএনপি ক্ষমতায় গেলে গ্রামীণ ব্যাংককে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনবে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'এ বিষয়ে সংসদে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ যে কথা বলেছেন, আমরা তাই করব।'
সরকারের আচরণে ক্ষোভ প্রকাশ করে মির্জা ফখরুল বলেন, 'অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংকের মাধ্যমে ৮৪ লাখ নারীকে সচ্ছলতা দিয়ে গ্রামীণ অর্থনীতিকে সজীব করেছেন। এই অর্থনীতিকে আমরা ম্যাজিক ইকোনমি বলছি। আজকে তাঁকে হেয় প্রতিপন্ন করা হচ্ছে। তাঁর প্রতি দুর্ব্যবহার করছে সরকার। তারা গ্রামীণ ব্যাংক ও অধ্যাপক ইউনূসের ওপর খৰ হস্ত চালাচ্ছে।'
ইউনূসের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, 'তিনি অর্থনীতির শিক্ষক ছিলেন। আমি অর্থনীতির ছাত্র ছিলাম। আমাদের মধ্যে সখ্য বহুদিনের। মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশের একজন অবিস্মরণীয় গর্বের নাম। দেশে এ রকম মানুষের সংখ্যা একেবারেই কম। বিদেশে গেলে নোবেল বিজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের কথা বললে আমাদের বাংলাদেশিদের আলাদা মর্যাদা দেয়। এই প্রজ্ঞাবান দূরদৃষ্টিসম্পন্ন ব্যক্তিত্বকে সরকার পদে পদে হেনস্তা করছে।'
কয়েক দিন আগে বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার অভিনন্দনপত্র মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে পৌঁছে দেন দলের সহসভাপতি শমসের মবিন চৌধুরী ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. ওসমান ফারুক।
পদ্মা সেতুর টেন্ডার পাগলের প্রলাপ : ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়বস্তু তুলে ধরা ছাড়াও সাম্প্রতিক বিষয় নিয়েও কথা বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, 'পদ্মা সেতু আমাদের জনগণের একটি আশার আলো ছিল। সরকারের একগুঁয়েমি ও দাম্ভিকতার কারণে বিশ্বব্যাংক এই সেতু প্রকল্প থেকে অর্থায়ন তুলে নিয়ে গেছে। সবাই বলেছে, বিশ্বব্যাংক ছাড়া এ ধরনের বৃহৎ সেতু নির্মাণ অসম্ভব। এখন পদ্মা সেতুর টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে। এটি পাগলের প্রলাপ ছাড়া কিছুই নয়। বিশ্বব্যাংক ছাড়া এই সেতু নির্মাণ ইমপসিবল।' তিনি আরো বলেন, সেতু নির্মাণে অর্থ হয়তো পাওয়া যাবে; কিন্তু এতে কোনো ভালো নির্মাতা প্রতিষ্ঠান জড়িত হবে না। যেখানে বিশ্বব্যাংক ও এডিবির মতো প্রতিষ্ঠান যুক্ত থাকে না, সেখানে ভালো নির্মাতারা আসবে না। ফখরুল অভিযোগ করে বলেন, শুধু এক দুর্নীতিপরায়ণ ব্যক্তিকে বাঁচাতে পদ্মা সেতু প্রকল্প থেকে বিশ্বব্যাংককে হারাতে হলো।
নির্দলীয় সরকার ব্যবস্থা সংযোজন করুন : মির্জা ফখরুল বলেন, 'কেবল প্রধানমন্ত্রীর কারণে নির্দলীয় সরকারের ব্যবস্থা সংবিধান থেকে বাতিল করা হয়েছে। এর ফলে গোটা জাতিকে আজ অনিশ্চয়তা, রক্তপাত ও সংঘর্ষের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। সরকারকে বলব, এখনো সময় আছে, দাম্ভিকতা ছেড়ে দিয়ে বাস্তবতা মেনে নিন। জনগণের মুখের ভাষা বুঝতে চেষ্টা করুন। নির্দলীয় সরকার ব্যবস্থা সংবিধানে সংযোজন করুন।'
No comments