প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি-বুয়েট শিক্ষক রানার সাত বছর সশ্রম কারাদণ্ড
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেসবুকে
হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে বুয়েটের যন্ত্রকৌশল (মেকানিক্যাল
ইঞ্জিনিয়ারিং) বিভাগের প্রভাষক হাফিজুর রহমান রানাকে সাত বছরের সশ্রম
কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। রানা পলাতক রয়েছেন।
হাফিজুর
রহমান রানাকে তথ্যপ্রযুক্তি আইন ২০০৬-এর ৫৭ (১) ধারায় পাঁচ বছর ও দণ্ডবিধির
৫০৬ ধারায় দুই বছর কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার
জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জহুরুল হক এ রায় ঘোষণা করেন।
গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর রানার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন একই আদালত। ১৪ অক্টোবর থেকে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। বিচার চলাকালে আদালতে পাঁচজনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।
প্রসঙ্গত, ফেসবুকে শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির অভিযোগে গত বছরের ২৩ এপ্রিল জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরাপত্তা চেয়ে শাহবাগ থানায় একটি জিডি করেন। এতে তিনি উল্লেখ করেন, হাফিজুর রহমান রানা সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি দিয়ে একটি স্ট্যাটাস দেন। তাতে তিনি লিখেন, 'হায়েনা, ওই হায়েনা; তুই দেশকে খেয়েছিস, এখন বুয়েটকে খাবি... পারবি না। আমরা বুয়েটের শিক্ষক ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা হলাম শিকারি। প্রথমে তোর মাথায় গুলি করব, পরে পেটে। তারপর মাথা কেটে বুয়েটের সামনে টানিয়ে রাখব, যাতে আর কোনো হায়েনার আক্রমণে বুয়েট আক্রান্ত না হয়।'
ওই জিডির বিষয়ে পরিদর্শক বিপ্লব কিশোর শীল তদন্তের অনুমতি চেয়ে ২৪ এপ্রিল আদালতে আবেদন করেন। বিষয়টি স্পর্শকাতর ও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এ ব্যাপারে তদন্ত করে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন আদালত।
গত বছরের ২৫ এপ্রিল শাহবাগ থানা থেকে অভিযোগটি তদন্তের জন্য ঢাকা মহানগর অপরাধ গোয়েন্দা বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনারের কাছে (সাইবার) পাঠানো হয়।
তদন্তে হুমকির সত্যতা পাওয়ায় গত বছর ১৭ জুন শাহবাগ থানার পরিদর্শক বিপ্লব কিশোর শীল আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন।
গত বছর ১৯ জুন সিএমএম আদালত হাফিজুর রহমান রানার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। ১৪ আগস্ট তিনি হাইকোর্টে আত্মসমর্পণ করে জামিন পান। পরে ১৮ সেপ্টেম্বর নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পান তিনি। এর পর আবার গা-ঢাকা দেন রানা।
গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর রানার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন একই আদালত। ১৪ অক্টোবর থেকে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। বিচার চলাকালে আদালতে পাঁচজনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।
প্রসঙ্গত, ফেসবুকে শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির অভিযোগে গত বছরের ২৩ এপ্রিল জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরাপত্তা চেয়ে শাহবাগ থানায় একটি জিডি করেন। এতে তিনি উল্লেখ করেন, হাফিজুর রহমান রানা সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি দিয়ে একটি স্ট্যাটাস দেন। তাতে তিনি লিখেন, 'হায়েনা, ওই হায়েনা; তুই দেশকে খেয়েছিস, এখন বুয়েটকে খাবি... পারবি না। আমরা বুয়েটের শিক্ষক ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা হলাম শিকারি। প্রথমে তোর মাথায় গুলি করব, পরে পেটে। তারপর মাথা কেটে বুয়েটের সামনে টানিয়ে রাখব, যাতে আর কোনো হায়েনার আক্রমণে বুয়েট আক্রান্ত না হয়।'
ওই জিডির বিষয়ে পরিদর্শক বিপ্লব কিশোর শীল তদন্তের অনুমতি চেয়ে ২৪ এপ্রিল আদালতে আবেদন করেন। বিষয়টি স্পর্শকাতর ও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এ ব্যাপারে তদন্ত করে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন আদালত।
গত বছরের ২৫ এপ্রিল শাহবাগ থানা থেকে অভিযোগটি তদন্তের জন্য ঢাকা মহানগর অপরাধ গোয়েন্দা বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনারের কাছে (সাইবার) পাঠানো হয়।
তদন্তে হুমকির সত্যতা পাওয়ায় গত বছর ১৭ জুন শাহবাগ থানার পরিদর্শক বিপ্লব কিশোর শীল আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন।
গত বছর ১৯ জুন সিএমএম আদালত হাফিজুর রহমান রানার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। ১৪ আগস্ট তিনি হাইকোর্টে আত্মসমর্পণ করে জামিন পান। পরে ১৮ সেপ্টেম্বর নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পান তিনি। এর পর আবার গা-ঢাকা দেন রানা।
No comments