অপহরণ নিয়ে সংলাপের জন্য উ. কোরিয়ায় জাপানি দূত
জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের সহযোগীর আকস্মিক উত্তর কোরিয়া সফর নিয়ে অবশেষে মুখ খুলেছে টোকিও। দেশটির অর্থনীতি পুনরুদ্ধারবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর সহযোগী ইসাও লিজিমার এই সফরে ১৯৭০ ও ১৯৮০-এর দশকে জাপানি নাগরিকদের অপহরণ নিয়ে আলোচনা হয়েছে।প্রতিমন্ত্রী আকিরা আমারি রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার প্রতিষ্ঠান এনএইচকের এক আলোচনা অনুষ্ঠানে বলেন, ‘এ অপহরণের ঘটনা জাপানের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অন্য দেশগুলোর স্বার্থের সঙ্গে এর সম্পর্ক নেই। এটা এমন একটি ব্যাপার যা জাপান নিজের মতো করেই সমাধান করতে চাইছে।’ ২০০২ সালে উত্তর কোরিয়া প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে জাপানি নাগরিকদের অপহরণের কথা স্বীকার করে। তবে সে সময় অপহূতদের ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য না দেওয়ায় জাপান ক্ষুব্ধ হয়। এর ফলে দুই দেশের সম্পর্কোন্নয়নের আলোচনার পথও ব্যাহত হয়।উত্তর কোরিয়ায় চার দিনের সফর শেষে গত শনিবার চীনের রাজধানী বেইজিং হয়ে দেশে ফেরেন লিজিমা। এনএইচকের খবর অনুযায়ী, বেইজিংয়ে সাংবাদিকেরা তাঁকে পিয়ংইয়ং সফরের বিষয়ে প্রশ্ন করেন। জবাবে লিজিমা বলেছিলেন, তিনি এ বিষয়ে কিছু বলতে পারবেন না। উত্তর কোরিয়া সম্প্রতি পরমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করার পর দেশটির সঙ্গে প্রতিবেশী দক্ষিণ কোরিয়া ও তার মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে ব্যাপক অবনতি ঘটে। উদ্বেগ সৃষ্টি হয় দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র জাপানেও। এই পরিস্থিতির মধ্যে লিজিমার পিয়ংইয়ং সফরকে অনেকে জাপানের সঙ্গে দেশটির সম্পর্কের বরফ গলানোর চেষ্টা হিসেবে দেখছেন। তবে দক্ষিণ কোরিয়া এ সফর পিয়ংইয়ংয়ের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমন্বিত পদক্ষেপের জন্য সহায়ক নয় বলে মন্তব্য করেছে। আর ওয়াশিংটন প্রকাশ করেছে বিস্ময়।
No comments