কাট্টলী বিলের অতিথিরা by সাধন বিকাশ চাকমা
বাংলা বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী শীত শুরু হতে আরও কয়েকটা দিন বাকি। বাতাসে কিন্তু শীতের বার্তা রটে গেছে আগেই। ঘটেছে পরিযায়ী পাখির আগমন। ঝাঁকে ঝাঁকে পাখি এসে বসতে শুরু করেছে কাট্টলী বিলে। এদের কলকাকলিতে মুখরিত হয়ে উঠছে গোটা বিল।
বছর কয়েক ধরে পাখিগুলো নিরাপদ স্থান হিসেবে বেছে নিয়েছে রাঙামাটির লংগদু উপজেলা সদর ইউনিয়নের এই বিলকে।বিলের আশপাশের লোকজন ও জেলেদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ছয় থেকে সাত বছর ধরে এখানে দেশিসহ পরিযায়ী পাখিদের আনাগোনা চোখে পড়ছে। শীতের শুরুতেই এগুলো খাবারের জন্য ছুটে আসে বিলে। শীতের তীব্রতার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এদের সংখ্যাও যেন বাড়তে থাকে। শীত শেষ, পাখিরাও যায় উড়ে। বছর ছয়েক আগে অসাধু শিকারিদের আনাগোনা ছিল এখানে। এখন আর নেই। এলাকাবাসী ও কয়েক শ জেলে মিলে পাখি শিকার না করতে সচেতনতা গড়ে তুলেছেন।
বিলের মাঝখান দিয়ে লঞ্চ ও ইঞ্জিনচালিত নৌকা আসা-যাওয়া করছে। যাত্রীরা উঁকি দিয়ে মুগ্ধ দৃষ্টিতে দেখছে পাখিগুলোকে। কয়েক শ জেলে নৌকা নিয়ে মাছ ধরছেন। পাখির ঝাঁক তাঁদের কাছাকাছি এসে খাবার খুঁজছে। এদের মধ্যে পাতিহাঁসই বেশি। এ ছাড়া আছে পানকৌড়ি, সাদা বকসহ নাম না-জানা কত পাখি।
কাট্টলী বিলের জেলে জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘১০ বছর ধরে এ বিলে মাছ ধরছি। প্রতিবছর শীতের শুরুতে পাখিগুলো আসা শুরু করে। আমাদের নৌকার কাছাকাছি এসে খাবার খুঁজে।’ ইঞ্জিনচালিত নৌকার চালক ইউসুফ আলী বলেন, ‘প্রতিদিন যাত্রী নিয়ে বিলের মাঝখান দিয়ে চলে যাই। অনেক যাত্রী পাখির ঝাঁক দেখে মুগ্ধ হয়। যাত্রীরা পাখিদের কাছে এসে নৌকার গতি কমানোর জন্য অনুরোধ করেন।’
বাঘাইছড়ি পরিবেশ সুরক্ষার আন্দোলন কমিটির সভাপতি ও বাংলাদেশ প্রাণীবিজ্ঞান সমিতির সদস্য আবুল ফজল জানান, প্রতিবছর শীত মৌসুমে লংগদুর কাট্টলী বিলে খাবারের খোঁজে অতিথি পাখিদের আগমন ঘটে।
No comments