সমুদ্রপথে মালয়েশিয়া যাত্রা- আবারও সাগরে ট্রলারডুবি এবার নিখোঁজ ১৫ জন
কক্সবাজারের টেকনাফ উপকূলে গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ৫২ জন যাত্রী নিয়ে মালয়েশিয়াগামী আরও একটি ট্রলার ডুবে গেছে। যাত্রীদের অনেকে সাঁতরে কূলে আসতে পারলেও শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ১৫ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
গত ২৭ অক্টোবর রাতে সেন্ট মার্টিন দ্বীপের অদূরে ১২৮ জন এবং ৭ নভেম্বর টেকনাফ উপকূলে ১১০ জন যাত্রী নিয়ে বঙ্গোপসাগরে দুটি ট্রলার ডুবে যায়। ওই দুটি ঘটনায় এখন পর্যন্ত দুই শতাধিক যাত্রী নিখোঁজ রয়েছেন।স্থানীয় সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান হামিদুর রহমান বলেন, স্থানীয় কিছু দালাল অর্ধশতাধিক ব্যক্তিকে একটি ইঞ্জিনচালিত ট্রলারে তুলে দেয়। মঙ্গলবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে ধারণক্ষমতার তিন গুণ যাত্রীবোঝাই ট্রলারটি শাহপরীর দ্বীপ মোদরমোকাম সমুদ্র চ্যানেলে গিয়ে ঢেউয়ের ধাক্কায় উল্টে যায়। স্থানীয় জেলেরা ২০-২৫ জন যাত্রীকে উদ্ধার করেন। কয়েকজন সাঁতরে কূলে উঠতে সক্ষম হন। কিন্তু গতকাল বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত স্থানীয় ডেইলপাড়ার আবদুল হাকিমসহ ১৫ জন যাত্রী নিখোঁজ রয়েছেন।
সূত্রমতে, আবদুল হাকিম ছাড়া নিখোঁজ অন্যরা রোহিঙ্গা। সাঁতরে কূলে আসা টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ধুমপ্রাংবিল গ্রামের মো. ইলিয়াছ (২৪), মো. ভুট্টো (২২), কালা পুতু (২৬) ও শাহপরীর দ্বীপের ডেইলপাড়ার আবুল কাছিম (১৯) বলেন, শাহপরীর দ্বীপের দক্ষিণপাড়ার দালাল মো. শফিক ও নূর হাকিম মাঝি এবং মিস্ত্রিপাড়ার শরীফ হোসেন ও মো. হোসেন মালয়েশিয়ায় পাঠানোর জন্য তাঁদের কাছ থেকে মাথাপিছু ২০ হাজার টাকা নিয়েছেন।
তাঁরা বলেছেন, মালয়েশিয়ায় নিয়ে যাওয়ার জন্য গভীর সমুদ্রে বড় একটি জাহাজ অপেক্ষা করছে। ঘোলাপাড়া ঘাট দিয়ে তাঁদের ছোট ট্রলারে তুলে নেওয়া হবে। এরপর গভীর সমুদ্রে গিয়ে বড় জাহাজে তোলা হবে। কথামতো দালালেরা মঙ্গলবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে ৫২ জন যাত্রীকে ঘোলাপাড়ায় নিয়ে যায়। তারপর তাঁদের একটি ছোট ইঞ্জিনচালিত ট্রলারে তোলা হয়। রাত তিনটার দিকে ট্রলারটি বদরমোকাম সমুদ্র চ্যানেলে গিয়ে দুলতে থাকে। এ সময় যাত্রীরা কান্নাকাটি শুরু করলে মাঝি ট্রলারটি কূলে ভেড়ানোর চেষ্টা করেন। এরই মধ্যে ঢেউয়ের ধাক্কায় ট্রলারটি উল্টে ডুবে যায়। এ সময় তাঁরা সাঁতরে কূলে উঠতে সক্ষম হন। যাত্রীদের বেশির ভাগই রোহিঙ্গা।
No comments