নিউট্রিনোর গতি নিয়ে আবার পরীক্ষা হবে
অতিপারমাণবিক কণা (সাবঅ্যাটমিক পার্টিকল) নিউট্রিনোর গতি আলোর গতির চেয়ে সত্যিই বেশি কি না, তা নিশ্চিত করতে আবার পরীক্ষা চালানো হবে। সুইজারল্যান্ডে অবস্থিত সার্ন গবেষণাগারের বিজ্ঞানীরা কিছুদিন আগে এক পরীক্ষার ভিত্তিতে দাবি করেছিলেন, নিউট্রিনোর গতি আলোর চেয়ে বেশি।
সার্নের যে বিজ্ঞানীরা প্রথম দাবিটি করেছিলেন, তাঁরাই নতুন করে আবার পরীক্ষা চালানোর উদ্যোগ নিয়েছেন। কিছু মহলের সমালোচনার মুখে তাঁরা প্রতিবেদনটি প্রকাশের আগে আরেকবার যাচাই করার সিদ্ধান্ত নেন। তবে এবার পরীক্ষাটি করা হবে ভিন্নভাবে। ইতিমধ্যে তাঁরা বিষয়টি গবেষকসহ সংশ্লিষ্ট সবার দেখার জন্য ইন্টারনেটে তুলে দিয়েছিলেন। বিশ্বের সৃষ্টিরহস্যসহ গুরুত্বপূর্ণ গবেষণার জন্য স্থাপিত সুবিশাল যন্ত্র লার্জ হ্যাড্রন কোলাইডার এই সার্নেই অবস্থিত।
সার্ন গবেষণাকেন্দ্রের পরিচালক সার্গিও বার্তোলুচি বলেন, তাঁরা একমুখী ব্যাখ্যা বাতিলের জন্য যা যা করা সম্ভব, তার সবই করছেন।
অপেরা কোলাবরেশনের গবেষক অ্যান্টোনিও ইরেডিটাটো ও তাঁর সহযোগীরা তিন বছর ধরে এ নিয়ে গবেষণা চালিয়ে আসছিলেন। তাঁরা সার্ন গবেষণাগার থেকে নিউট্রিনো কণা ভূ-অভ্যন্তর দিয়ে ৭৩২ কিলোমিটার দূরে ইতালির গ্রান স্যাসো গবেষণাগারের উদ্দেশে পাঠান। বিজ্ঞানীরা দেখতে পান, একই দূরত্ব আলো যে সময়ে অতিক্রম করতে সক্ষম, ওই অতিপারমাণবিক কণাগুলো তার চেয়ে এক সেকেন্ডের ৬০ বিলিয়ন ভাগের এক ভাগ আগে অতিক্রম করেছে।
আলোর চেয়ে নিউট্রিনো কণার গতি বেশি—এ আবিষ্কারের খবরে বিজ্ঞানীদের মধ্যে ব্যাপক বিতর্ক শুরু হয়। বিজ্ঞানীরা বেশ বিভ্রান্তিতে পড়েন। কারণ, আধুনিক পদার্থবিজ্ঞান এই ধারণার ওপর নির্ভরশীল যে মহাবিশ্বের কোনো কিছুই আলোর গতিকে অতিক্রম করতে পারে না। পদার্থবিজ্ঞানী অ্যালবার্ট আইনস্টাইন তাঁর বিখ্যাত থিওরি অব রিলেটিভিটিতে এ বিষয়টি তুলে ধরেছেন। এ পর্যন্ত হাজার হাজার পরীক্ষায় কোনো ধরনের কণার গতি আলোর চেয়ে বেশি হতে পারে—তা দেখা যায়নি।
সার্নের যে বিজ্ঞানীরা প্রথম দাবিটি করেছিলেন, তাঁরাই নতুন করে আবার পরীক্ষা চালানোর উদ্যোগ নিয়েছেন। কিছু মহলের সমালোচনার মুখে তাঁরা প্রতিবেদনটি প্রকাশের আগে আরেকবার যাচাই করার সিদ্ধান্ত নেন। তবে এবার পরীক্ষাটি করা হবে ভিন্নভাবে। ইতিমধ্যে তাঁরা বিষয়টি গবেষকসহ সংশ্লিষ্ট সবার দেখার জন্য ইন্টারনেটে তুলে দিয়েছিলেন। বিশ্বের সৃষ্টিরহস্যসহ গুরুত্বপূর্ণ গবেষণার জন্য স্থাপিত সুবিশাল যন্ত্র লার্জ হ্যাড্রন কোলাইডার এই সার্নেই অবস্থিত।
সার্ন গবেষণাকেন্দ্রের পরিচালক সার্গিও বার্তোলুচি বলেন, তাঁরা একমুখী ব্যাখ্যা বাতিলের জন্য যা যা করা সম্ভব, তার সবই করছেন।
অপেরা কোলাবরেশনের গবেষক অ্যান্টোনিও ইরেডিটাটো ও তাঁর সহযোগীরা তিন বছর ধরে এ নিয়ে গবেষণা চালিয়ে আসছিলেন। তাঁরা সার্ন গবেষণাগার থেকে নিউট্রিনো কণা ভূ-অভ্যন্তর দিয়ে ৭৩২ কিলোমিটার দূরে ইতালির গ্রান স্যাসো গবেষণাগারের উদ্দেশে পাঠান। বিজ্ঞানীরা দেখতে পান, একই দূরত্ব আলো যে সময়ে অতিক্রম করতে সক্ষম, ওই অতিপারমাণবিক কণাগুলো তার চেয়ে এক সেকেন্ডের ৬০ বিলিয়ন ভাগের এক ভাগ আগে অতিক্রম করেছে।
আলোর চেয়ে নিউট্রিনো কণার গতি বেশি—এ আবিষ্কারের খবরে বিজ্ঞানীদের মধ্যে ব্যাপক বিতর্ক শুরু হয়। বিজ্ঞানীরা বেশ বিভ্রান্তিতে পড়েন। কারণ, আধুনিক পদার্থবিজ্ঞান এই ধারণার ওপর নির্ভরশীল যে মহাবিশ্বের কোনো কিছুই আলোর গতিকে অতিক্রম করতে পারে না। পদার্থবিজ্ঞানী অ্যালবার্ট আইনস্টাইন তাঁর বিখ্যাত থিওরি অব রিলেটিভিটিতে এ বিষয়টি তুলে ধরেছেন। এ পর্যন্ত হাজার হাজার পরীক্ষায় কোনো ধরনের কণার গতি আলোর চেয়ে বেশি হতে পারে—তা দেখা যায়নি।
No comments