নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি ক্লাব কার্যক্রমঃ শিক্ষার্থীরা পাচ্ছেন কর্মমুখী শিক্ষা by সাজ্জাদুল ইসলাম নয়ন
ইউনুস, সারিকা, সেজান_সবাই নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির (এনএসইউ) শিক্ষার্থী। নিয়মিত পড়াশোনার বাইরে তাঁরা ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গা থেকে ব্যবহৃত কাগজ সংগ্রহ করছেন। এই কাগজ পুনর্ব্যবহারের জন্য প্রক্রিয়াজাত করার লক্ষ্যেই তাঁদের মতো অনেকেই পুরো ক্যাম্পাস চষে বেড়াচ্ছেন। একটি ক্লাবও আছে তাঁদের। নাম আর্থ ক্লাব। পরিবেশ উন্নয়ন নিয়ে কাজ করার অংশ হিসেবে বিভিন্ন বর্জ্য রিসাইক্লিংয়ের কাজ করছে ক্লাবটি।
পড়াশোনার পাশাপাশি তাঁদের এ উদ্যোগ ইতিমধ্যে বেশ সুনাম কুড়িয়েছে। ভবিষ্যতে বিভিন্ন করপোরেট প্রতিষ্ঠান থেকে ব্যবহৃত কাগজ সংগ্রহ করে রিসাইক্লিং করে আবার তা ব্যবহারের পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের। ১৯৯৩ সালে এনএসইউর ক্লাব কার্যক্রম শুরু হয়। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি ক্লাব কার্যক্রম শিক্ষার্থীদের দিচ্ছে কর্মমুখী শিক্ষা। 'শিক্ষার সঙ্গে সম্পর্কহীন জীবন'_এই প্রবাদ ভুল প্রমাণ করতে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে, নিয়মিত পড়াশোনার পাশাপাশি তাঁদের মধ্যে নেতৃত্বের বিকাশ ঘটাতে এবং দেশ গড়ার কাজে আগামী প্রজন্ম গড়ে তুলতে এ রকম ১৮টি ক্লাব প্রতিষ্ঠা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এই ক্লাবগুলোর বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা কর্মজীবনের গুণাবলী অর্জন করতে পারেন_জানালেন এনএসইউ উপাচার্য ড. হাফিজ জি এ সিদ্দিকী।
ড. হাফিজ জি এ সিদ্দিকী বলেন, 'শুধু ক্লাস, ভালো রেজাল্ট, চাকরি_এসব কিছুতে শিক্ষার্থীদের মানসিক ক্ষুধা মেটানো যায় না। প্রত্যেক মানুষের মধ্যেই সুপ্ত প্রতিভা থাকে_কেউ গানে, কেউ নাচে, কেউ অভিনয়ে, কেউবা খেলাধুলায় প্রতিভাধর। আমরা যদি সুযোগ সৃষ্টি করে দিই, তাহলে প্রতিভা বিকশিত হবে। উপকৃত হবে সমাজ। সে ধারণা থেকে ক্লাবগুলো গঠন করা হয়। ভালো চাকরি একজন মানুষকে পরিপূর্ণতা দেয় না, যদি নেতৃত্বের বিকাশ না থাকে। এ গুণটা আসে এঙ্ট্রা কারিকুলামের মাধ্যমে। এঙ্ট্রা কারিকুলাম ও একাডেমিক পড়াশোনার অন্তর্ভুক্ত ব্যবহারিক শিক্ষা_এ দুইয়ের সমন্বয়ে কর্মজীবনের শিক্ষাটা এখানেই পেয়ে থাকেন শিক্ষার্থীরা। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নত বিশ্বের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পাঠ্য কারিকুলাম অনুসরণ করা হয়। এ ছাড়া ক্যাম্পাসটির অবকাঠামোও পড়াশোনার উপযোগী করে করা। আমরা সর্বোপরি কর্মমুখী শিক্ষার মাধ্যমে আলোকিত মানুষ গড়তে চাই।'
বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগের উপপরিচালক বিলাল আহমেদ জানান, এনএসইউতে বর্তমানে ১৮টি ক্লাব রয়েছে। এগুলো হলো_ডিবেট ক্লাব, সিনে অ্যান্ড ড্রামা ক্লাব, কালচারাল ক্লাব, সোশ্যাল সার্ভিসেস ক্লাব, আর্থ ক্লাব, ইংলিশ ক্লাব, ইয়াং ইকোনমিস্ট ফোরাম ক্লাব, ইয়াং এন্টারপ্রেনিউর সোসাইটি, গেমস অ্যান্ড স্পোর্টস ক্লাব, কম্পিউটার ক্লাব, ফটোগ্রাফি ক্লাব, ওয়্যারলেস ফোরাম ক্লাব, এমবিএ ক্লাব, লাইফ সায়েন্স ক্লাব, ফার্মা সোসাইটি, পাবলিক হেলথ ক্লাব ও আর্কিটেকচার ক্লাব।
আর্থ ক্লাবের সভাপতি ইউনুস আহমেদ সুজয় জানান, আর্থ ক্লাবের সদস্যরা যেসব কাগজের এক পাশ ব্যবহৃত হয়েছে সেগুলো সংগ্রহ করে খালি পাশটিতে লেখার জন্য সুন্দর করে বাইন্ডিং করছেন। ক্লাসের নোট নেওয়া থেকে শুরু করে বাসায় রাফ লেখার ব্যবস্থাটা হয়ে যাচ্ছে এ কাগজে। তাঁদের এ সাফল্যের স্বীকৃতি হিসেবে এ বছর পরিবেশ দিবস অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি আর্থ ক্লাব। তরুণ প্রজন্মকে পরিবেশসচেতন করতেই তাদের এত উদ্যোগ। ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক তাসমিনা ফেরদৌস বলেন, 'গাছ লাগানো থেকে শুরু করে পরিবেশবান্ধব বিষয় নিয়ে বিভিন্ন সময় কর্মসূচি থাকে। বন সংরক্ষণ ও নতুন করে বনায়নের ব্যাপারে আমরা পার্ক ও বনাঞ্চল রক্ষণাবেক্ষণ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে থাকি। দেশের বিভিন্ন স্থানে ভ্রমণ করতে হয় আমাদের। ভ্রমণের মাধ্যমেই এ বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়।'
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, শিক্ষার্থীদের ১৮টি ক্লাবের নিজস্ব ইভেন্ট থাকে সারা বছরই। সব ক্লাব প্রতিবছরই একত্রে মিলিত হয়। নাম দেওয়া হয় ক্লাব কার্নিভাল। এ আয়োজনের মাধ্যমে ক্লাবগুলোর সারা বছরের অর্জন, ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরা হয়।
১৯৯২ সালে ১৩৭ জন শিক্ষার্থী ও তিনটি বিভাগ (ব্যবসা প্রশাসন, কম্পিউটার সায়েন্স ও অর্থনীতি) নিয়ে পথচলা শুরু করে এনএসইউ। কালের বিবর্তনে ২০১১ সালে এসে এক হাজার ৭০০ শিক্ষার্থীকে সমাবর্তন দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ১৫ নম্বর প্লটে এনএসইউয়ের নিজস্ব অত্যাধুনিক ক্যাম্পাসে ২৬টি বিভাগে শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে। শিক্ষার্থী সংখ্যা প্রায় ১৫ হাজার (২০১০ পর্যন্ত)। প্রজ্বলিত আলোর শিখার মতোই ঝলমল করছে এনএসইউয়ের সাফল্য।
সুনাগরিক গড়ে তুলতে আন্তর্জাতিক
মানের বিশ্ববিদ্যালয় জরুরি : উপাচার্য
দেশের তরুণ প্রজন্মকে শিক্ষার মাধ্যমে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার জন্য আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন খুবই জরুরি বলে মনে করেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. হাফিজ জি এ সিদ্দিকী। তিনি বলেন, 'আমাদের দেশে এ ধরনের প্রচুর বিশ্ববিদ্যালয় দরকার, যেখান থেকে শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষাজীবনেই কর্মজীবনের অনেক অংশ অর্জন করতে পারবে। সুশিক্ষায় শিক্ষিত একটি তরুণ প্রজন্ম দেশকে অনেক উঁচুতে নিয়ে যেতে পারে।'
উপাচার্য বলেন, আন্তর্জাতিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়তে কিছু বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া উচিত। এ জন্য অবশ্যই উন্নতমানের কারিকুলাম থাকতে হবে, যা আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য। এই কারিকুলাম অনুসরণ করার জন্য থাকতে হবে উচ্চ শিক্ষিত শিক্ষক। শিক্ষার্থী ভর্তির ব্যাপারেও সচেতন থাকতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো সম্পর্কে উপাচার্য বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ভবনকে অবশ্যই অবকাঠামোর দিক দিয়ে উন্নত হতে হবে, যাতে আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা থাকবে। কম্পিউটারাইজড ল্যাব থাকবে। এমন একটি লাইব্রেরি থাকবে, যেখানে শিক্ষার্থীরা বসে কম্পিউটারের মাধ্যমে বিশ্বের যেকোনো দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের বই পড়তে পারে। উদাহরণ হিসেবে তিনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরির কথা বলেন।
বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদ অবশ্যই মানসম্পন্ন হতে হবে। সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নজরদারি থাকতে হবে। তবে এমন আইন করা যাবে না, যা বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় সাংঘর্ষিক। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ক্যাম্পাস নির্মাণের ক্ষেত্রে শুধু শর্তই নয়, প্রয়োজনীয় সহায়তাও দিতে হবে। উপাচার্য নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির মতো আরো আধুনিক মানের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে গুরুত্ব আরোপ করেন। সাক্ষাৎকার গ্রহণে মাহমুদুল হাসান
ড. হাফিজ জি এ সিদ্দিকী বলেন, 'শুধু ক্লাস, ভালো রেজাল্ট, চাকরি_এসব কিছুতে শিক্ষার্থীদের মানসিক ক্ষুধা মেটানো যায় না। প্রত্যেক মানুষের মধ্যেই সুপ্ত প্রতিভা থাকে_কেউ গানে, কেউ নাচে, কেউ অভিনয়ে, কেউবা খেলাধুলায় প্রতিভাধর। আমরা যদি সুযোগ সৃষ্টি করে দিই, তাহলে প্রতিভা বিকশিত হবে। উপকৃত হবে সমাজ। সে ধারণা থেকে ক্লাবগুলো গঠন করা হয়। ভালো চাকরি একজন মানুষকে পরিপূর্ণতা দেয় না, যদি নেতৃত্বের বিকাশ না থাকে। এ গুণটা আসে এঙ্ট্রা কারিকুলামের মাধ্যমে। এঙ্ট্রা কারিকুলাম ও একাডেমিক পড়াশোনার অন্তর্ভুক্ত ব্যবহারিক শিক্ষা_এ দুইয়ের সমন্বয়ে কর্মজীবনের শিক্ষাটা এখানেই পেয়ে থাকেন শিক্ষার্থীরা। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নত বিশ্বের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পাঠ্য কারিকুলাম অনুসরণ করা হয়। এ ছাড়া ক্যাম্পাসটির অবকাঠামোও পড়াশোনার উপযোগী করে করা। আমরা সর্বোপরি কর্মমুখী শিক্ষার মাধ্যমে আলোকিত মানুষ গড়তে চাই।'
বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগের উপপরিচালক বিলাল আহমেদ জানান, এনএসইউতে বর্তমানে ১৮টি ক্লাব রয়েছে। এগুলো হলো_ডিবেট ক্লাব, সিনে অ্যান্ড ড্রামা ক্লাব, কালচারাল ক্লাব, সোশ্যাল সার্ভিসেস ক্লাব, আর্থ ক্লাব, ইংলিশ ক্লাব, ইয়াং ইকোনমিস্ট ফোরাম ক্লাব, ইয়াং এন্টারপ্রেনিউর সোসাইটি, গেমস অ্যান্ড স্পোর্টস ক্লাব, কম্পিউটার ক্লাব, ফটোগ্রাফি ক্লাব, ওয়্যারলেস ফোরাম ক্লাব, এমবিএ ক্লাব, লাইফ সায়েন্স ক্লাব, ফার্মা সোসাইটি, পাবলিক হেলথ ক্লাব ও আর্কিটেকচার ক্লাব।
আর্থ ক্লাবের সভাপতি ইউনুস আহমেদ সুজয় জানান, আর্থ ক্লাবের সদস্যরা যেসব কাগজের এক পাশ ব্যবহৃত হয়েছে সেগুলো সংগ্রহ করে খালি পাশটিতে লেখার জন্য সুন্দর করে বাইন্ডিং করছেন। ক্লাসের নোট নেওয়া থেকে শুরু করে বাসায় রাফ লেখার ব্যবস্থাটা হয়ে যাচ্ছে এ কাগজে। তাঁদের এ সাফল্যের স্বীকৃতি হিসেবে এ বছর পরিবেশ দিবস অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি আর্থ ক্লাব। তরুণ প্রজন্মকে পরিবেশসচেতন করতেই তাদের এত উদ্যোগ। ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক তাসমিনা ফেরদৌস বলেন, 'গাছ লাগানো থেকে শুরু করে পরিবেশবান্ধব বিষয় নিয়ে বিভিন্ন সময় কর্মসূচি থাকে। বন সংরক্ষণ ও নতুন করে বনায়নের ব্যাপারে আমরা পার্ক ও বনাঞ্চল রক্ষণাবেক্ষণ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে থাকি। দেশের বিভিন্ন স্থানে ভ্রমণ করতে হয় আমাদের। ভ্রমণের মাধ্যমেই এ বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়।'
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, শিক্ষার্থীদের ১৮টি ক্লাবের নিজস্ব ইভেন্ট থাকে সারা বছরই। সব ক্লাব প্রতিবছরই একত্রে মিলিত হয়। নাম দেওয়া হয় ক্লাব কার্নিভাল। এ আয়োজনের মাধ্যমে ক্লাবগুলোর সারা বছরের অর্জন, ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরা হয়।
১৯৯২ সালে ১৩৭ জন শিক্ষার্থী ও তিনটি বিভাগ (ব্যবসা প্রশাসন, কম্পিউটার সায়েন্স ও অর্থনীতি) নিয়ে পথচলা শুরু করে এনএসইউ। কালের বিবর্তনে ২০১১ সালে এসে এক হাজার ৭০০ শিক্ষার্থীকে সমাবর্তন দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ১৫ নম্বর প্লটে এনএসইউয়ের নিজস্ব অত্যাধুনিক ক্যাম্পাসে ২৬টি বিভাগে শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে। শিক্ষার্থী সংখ্যা প্রায় ১৫ হাজার (২০১০ পর্যন্ত)। প্রজ্বলিত আলোর শিখার মতোই ঝলমল করছে এনএসইউয়ের সাফল্য।
সুনাগরিক গড়ে তুলতে আন্তর্জাতিক
মানের বিশ্ববিদ্যালয় জরুরি : উপাচার্য
দেশের তরুণ প্রজন্মকে শিক্ষার মাধ্যমে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার জন্য আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন খুবই জরুরি বলে মনে করেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. হাফিজ জি এ সিদ্দিকী। তিনি বলেন, 'আমাদের দেশে এ ধরনের প্রচুর বিশ্ববিদ্যালয় দরকার, যেখান থেকে শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষাজীবনেই কর্মজীবনের অনেক অংশ অর্জন করতে পারবে। সুশিক্ষায় শিক্ষিত একটি তরুণ প্রজন্ম দেশকে অনেক উঁচুতে নিয়ে যেতে পারে।'
উপাচার্য বলেন, আন্তর্জাতিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়তে কিছু বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া উচিত। এ জন্য অবশ্যই উন্নতমানের কারিকুলাম থাকতে হবে, যা আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য। এই কারিকুলাম অনুসরণ করার জন্য থাকতে হবে উচ্চ শিক্ষিত শিক্ষক। শিক্ষার্থী ভর্তির ব্যাপারেও সচেতন থাকতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো সম্পর্কে উপাচার্য বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ভবনকে অবশ্যই অবকাঠামোর দিক দিয়ে উন্নত হতে হবে, যাতে আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা থাকবে। কম্পিউটারাইজড ল্যাব থাকবে। এমন একটি লাইব্রেরি থাকবে, যেখানে শিক্ষার্থীরা বসে কম্পিউটারের মাধ্যমে বিশ্বের যেকোনো দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের বই পড়তে পারে। উদাহরণ হিসেবে তিনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরির কথা বলেন।
বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদ অবশ্যই মানসম্পন্ন হতে হবে। সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নজরদারি থাকতে হবে। তবে এমন আইন করা যাবে না, যা বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় সাংঘর্ষিক। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ক্যাম্পাস নির্মাণের ক্ষেত্রে শুধু শর্তই নয়, প্রয়োজনীয় সহায়তাও দিতে হবে। উপাচার্য নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির মতো আরো আধুনিক মানের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে গুরুত্ব আরোপ করেন। সাক্ষাৎকার গ্রহণে মাহমুদুল হাসান
No comments